নিউজ ডেস্ক:
স্কুলে চলছে গরমের ছুটি। তাই সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুটির বাড়িতে বায়না ধরেছে যে, এই ছুটির দিনগুলোতে কিছু একটা করতে হবে। অনেক পরিকল্পনার পর সেই শিশু সিদ্ধান্ত নেয় যে, পথ চলতি মানুষের কাছে লেবুর শরবত বিলি করবে সে। আর এরপরেই ঘটে মহা বিপত্তি। শরবত বিক্রির দায়ে বিশাল জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। পূর্ব লন্ডন শহরের টাওয়ার হ্যামলেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
জাজান যায়, প্রথমে ঠিক হয় বাড়ির সামনে একটি টেবিল পেতে নানা ধরনের ড্রাই ফ্রুট বিক্রি করা হবে। যদিও সেই চিন্তা কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলিয়ে যায়। তারপর ঠিক হয় ছোটদের জন্য জামা বিক্রি হবে। এর কোনটার পিছনে টাকা রোজগার করা উদ্দেশ্য নয় শিশুটির। শুধুই মজা আর নতুন কিছু শেখা। তবে ড্রাই ফ্রুট বা জামা বিক্রি করা হয়নি তার। শেষে ঠিক হয় বাড়িতে তৈরি লেবুর শরবত পথ চলতি মানুষকে দেবে সে।
শিশুটির বাবা অ্যান্ড্রে স্পাইসার। এলাকার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি। গরমের ছুটিতে তার কন্যার এই ‘অদ্ভূত আবদার’ পূরণ করতে বেশ খুশিই হয়েছিলেন। এরপর কিছু দিন টাওয়ার হ্যামলেটের সামনে একটি টেবিল পেতে শুরু হয় লেবুর শরবত দেওয়ার কাজ। রাস্তা দিয়ে যাওয়া পথ চলতি মানুষরাও সেখানে দাঁড়িয়ে শিশুটির হাত থেকে সেই শরবত নিয়ে খায়। তাদের কাছে খুব মজার বিষয় ছিল সেই ঘটনাটি।
কিন্তু সেই খুশি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অপমাণ আর চোখের পানিতে পরিণত হল অ্যান্ড্রে স্পাইসার ও তাঁর পাঁচ বছরের শিশুটির কাছে। সেদিন সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উপস্থিত হন এক এনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তা। তিনি সেখানে এসেই ওই কাজের জন্য শিশুটি ও তার বাবাকে অপমাণ করেন। শুধু তাই নয়, ১২ হাজার ৫০০ টাকার জরিমানাও করেন। কারণ হিসেবে দেখান হয়, শিশুটি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করছে সেখানে। শুধু ওই বিপুল অর্থ ফাইন করাই নয়, ১৪ দিনের মধ্যে টাকা জমা না দিলে আরও বড় শাস্তির জরিমানাও জারি করে যান।
ঘটনায় হতচকিত শিশুটি ও অ্যান্ড্রে। গোটা বিষয়টি এনফোর্সমেন্ট বিভাগে জানানোর পাশাপাশি মিডিয়াতেও জানান তিনি। সংশয় প্রকাশ করেন, সেই বিভাগের কাজ নিয়ে। যদিও, তার চিঠি পেয়েই জরিমানা তুলে নেয় তারা। সেই সঙ্গে অ্যান্ড্রে ও তার কন্যার কাছে ক্ষমা চাওয়া হয় এনফোর্সমেন্ট বিভাগের পক্ষ থেকে।