সোমবার | ১ ডিসেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির Logo চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’ গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলছে Logo বেগম খালেদা জিয়া’র আশু রোগমুক্তি কামনায় ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির আধুনিকায়নে ৩৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন Logo পর্যটক সেন্টমার্টিন পৌঁছলে ফুল দিয়ে পর্যটকদের বরণ Logo খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা, বীরগঞ্জ উপজেলায় অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ Logo চাঁদপুরে যোগদানের প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় Logo সদরপুরে গার্ডিয়ান এর এরিয়া অফিস উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ১০ লাখ টাকার মৃত্যু দাবী চেক বিতরণ। Logo ৪৫তম বিসিএস-এ ক্যাডার বুটেক্সের ১৩ শিক্ষার্থী Logo হাবিপ্রবিতে মশার উপদ্রবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের

২৫ বার পুলিশকে ভুয়া ফোন দুই খুদের, অতঃপর…

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭
  • ৭৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ছুটিতে বাড়িতে বসে ভীষণ একঘেয়ে লাগছিল। কী করবে বুঝেই উঠতে পারছিল না ওরা। মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল। পুলিশকে ফোন করলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পুলিশকে ২৫ বার ভুয়া ফোন করে ফেলল দুই ভাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফুলশিয়ারে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।

তবে তাদের এমনতরো মজা করাটা যে ঠিক হয়নি, তা বুঝতেও পেরেছে এই দুই ভাই। ভুয়া ফোন করার পর দুই ভাই ক্ষমা চেয়ে পুলিশকে চিঠিও লেখে। চিঠিতে দুই ভাই জানিয়েছে, তারা তাদের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। এবং তাদের যেন কোনও ভাবেই জেলে পাঠানো না হয়।

গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তাদের মা। বিষয়টি যখন জানতে পারেন তখন তার দুই ছেলেকে দিয়ে পুলিশের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখান তিনি। এবং সেই চিঠিটি ফুলশিয়ার পুলিশের কাছেও দিয়ে আসেন। চিঠিটি পড়ে ফুলশিয়ার পুলিশ একটুও বিব্রত হয়নি। বরং খুব মজা লেগেছে তাদের। চিঠিটি তৎক্ষণাৎ ফেইসবুকে পোস্ট করেন তাঁরা।

গত ৮ জুলাই ফুলশিয়ার পুলিশ বিভাগের ফেইসবুকে দুই ভাইয়ের হাতে লেখা চিঠিটি পোস্ট করা হয়। সঙ্গে জানানো হয়, স্কুলপড়ুয়া দুই ভাই তাদের মায়ের সঙ্গে থানায় এসেছিল। দুই ভাইয়ের ছোট ছোট হাত দিয়ে লেখা ক্ষমাপ্রার্থনা অবশ্য স্বীকার করেছে পুলিশ। ফুলশিয়ার পুলিশ বিভাগের তরফে ফেইসবুকে জানানো হয়েছে, ‘‌আমরা সকলে ভুল করি, ভুল করতে করতেই আমরা সঠিক বিষয়টা শিখতে পারি। ’‌

পুলিশের কাছে চাওয়া দুই ভাইয়ের আন্তরিক এই ক্ষমা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সকলের মন জয় করেছে। ‘‌আমরা ভেবেছিলাম এটা খুব মজার ব্যাপার হবে। পুলিশকে ফোন করে ভুল বাড়িতে পাঠিয়ে দেব এবং পুলিশ ভাববে ফোনটা তারাই করেছে। এটা করার একটাই কারণ ছিল, তখন আমার ঘুমোতে একটুও ইচ্ছা করছিল না। ’‌-এমনটাই চিঠিতে লিখেছিল এক জন।

আরেকচজন লেখে, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি জেলে না যাওয়ার জন্য সব কিছু করব। আমি কথা দিচ্ছি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি জেলে নয়, বাড়িতে থাকতে চাই।

ট্যাগস :

কারুবাক পাণ্ডুলিপি পুরস্কার পেলেন এইচএম জাকির

২৫ বার পুলিশকে ভুয়া ফোন দুই খুদের, অতঃপর…

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩৭ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ছুটিতে বাড়িতে বসে ভীষণ একঘেয়ে লাগছিল। কী করবে বুঝেই উঠতে পারছিল না ওরা। মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল। পুলিশকে ফোন করলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পুলিশকে ২৫ বার ভুয়া ফোন করে ফেলল দুই ভাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফুলশিয়ারে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।

তবে তাদের এমনতরো মজা করাটা যে ঠিক হয়নি, তা বুঝতেও পেরেছে এই দুই ভাই। ভুয়া ফোন করার পর দুই ভাই ক্ষমা চেয়ে পুলিশকে চিঠিও লেখে। চিঠিতে দুই ভাই জানিয়েছে, তারা তাদের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। এবং তাদের যেন কোনও ভাবেই জেলে পাঠানো না হয়।

গোটা ঘটনাটি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না তাদের মা। বিষয়টি যখন জানতে পারেন তখন তার দুই ছেলেকে দিয়ে পুলিশের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখান তিনি। এবং সেই চিঠিটি ফুলশিয়ার পুলিশের কাছেও দিয়ে আসেন। চিঠিটি পড়ে ফুলশিয়ার পুলিশ একটুও বিব্রত হয়নি। বরং খুব মজা লেগেছে তাদের। চিঠিটি তৎক্ষণাৎ ফেইসবুকে পোস্ট করেন তাঁরা।

গত ৮ জুলাই ফুলশিয়ার পুলিশ বিভাগের ফেইসবুকে দুই ভাইয়ের হাতে লেখা চিঠিটি পোস্ট করা হয়। সঙ্গে জানানো হয়, স্কুলপড়ুয়া দুই ভাই তাদের মায়ের সঙ্গে থানায় এসেছিল। দুই ভাইয়ের ছোট ছোট হাত দিয়ে লেখা ক্ষমাপ্রার্থনা অবশ্য স্বীকার করেছে পুলিশ। ফুলশিয়ার পুলিশ বিভাগের তরফে ফেইসবুকে জানানো হয়েছে, ‘‌আমরা সকলে ভুল করি, ভুল করতে করতেই আমরা সঠিক বিষয়টা শিখতে পারি। ’‌

পুলিশের কাছে চাওয়া দুই ভাইয়ের আন্তরিক এই ক্ষমা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সকলের মন জয় করেছে। ‘‌আমরা ভেবেছিলাম এটা খুব মজার ব্যাপার হবে। পুলিশকে ফোন করে ভুল বাড়িতে পাঠিয়ে দেব এবং পুলিশ ভাববে ফোনটা তারাই করেছে। এটা করার একটাই কারণ ছিল, তখন আমার ঘুমোতে একটুও ইচ্ছা করছিল না। ’‌-এমনটাই চিঠিতে লিখেছিল এক জন।

আরেকচজন লেখে, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি জেলে না যাওয়ার জন্য সব কিছু করব। আমি কথা দিচ্ছি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি জেলে নয়, বাড়িতে থাকতে চাই।