শিরোনাম :
Logo সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন Logo বর্ষায় মসলা সংরক্ষণের ৫ উপায় Logo ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত

ট্রাম্প, ওবামা কিংবা পুতিন সবাই যখন শরণার্থী !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

শিরোনাম দেখেই অনেকের চোখ কপালে উঠতে পারে। বিশ্ব নেতা এরা, বলতে গেলে পুরো বিশ্বই এদের কোথায় ওঠে আর বসে। আর সেখানে তারা কেন গৃহহীন রিফিউজি হতে যাবেন!

এমন গল্পটা তৈরি করেছেন সিরিয়ান এক আর্টিস্ট। দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পকলা প্রতিবাদের একটা বড় মাধ্যম। আর তেমনটাই করে দেখিয়েছেন সিরিয়ার শরণার্থী আর্টিস্ট আব্দুল্লাহ আল ওমারি।


এই শিল্পী বিশ্ব নেতাদের পোট্রেট এঁকেছেন। কিন্তু একটু ভিন্ন ভাবে। তিনি বিশ্ব নেতাদেরকে শরণার্থী হিসেবে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ব নেতাদের কাতারে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা,   রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমি পুতিন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বাদ যাননি ইরানের নেতা আহমেদি নেজাদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কিংবা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও।

ছবিতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা বাচ্চা কাঁধে নিয়ে জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটি ছবি সেখানে বোঝানো হচ্ছে তার পরিবার যাদের তিনি হারিয়েছেন। এই ছবিটি দিয়েই যেন সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়।


অপর একটি ছবিতে দেখা যায় কিম জং উন একটা ছোট বাচ্চা। যে কিনা খেলনা একটি মিসাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখেও বিষণ্নতা লক্ষ্য করা যায়।

আরেকটি ছবিতে দেখা যায় পুতিন সাহায্য চাচ্ছে। হাতে একটা বোর্ড। তাতে লেখা আমাকে সাহায্য করুন, ঈশ্বর ও আপনাকে সাহায্য করবে।


আরো একটি ছবিতে দেখা যায় ওবামা, পুতিন, বাশার আল আসাদ, কিম জং উন সহ বেশ কিছু বিশ্ব নেতা শরণার্থী ক্যাম্পে আসা রিলিফের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবার মুখে ক্লান্তি আর বিষণ্নতার ছাপ স্পষ্ট।

এই ছবিগুলো আঁকতে আব্দুল্লাহ আল ওমারি সময় নিয়েছেন উনিশ মাস। এই উনিশ মাস ধরে আঁকা ছবিগুলো বর্তমানে দুবাই গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বে সাড়া ফেলেছে এই ছবিগুলো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সবচেয়ে টেকসই টেলিকম কোম্পানির স্বীকৃতি পেল গ্রামীণফোন

ট্রাম্প, ওবামা কিংবা পুতিন সবাই যখন শরণার্থী !

আপডেট সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

শিরোনাম দেখেই অনেকের চোখ কপালে উঠতে পারে। বিশ্ব নেতা এরা, বলতে গেলে পুরো বিশ্বই এদের কোথায় ওঠে আর বসে। আর সেখানে তারা কেন গৃহহীন রিফিউজি হতে যাবেন!

এমন গল্পটা তৈরি করেছেন সিরিয়ান এক আর্টিস্ট। দীর্ঘদিন ধরেই শিল্পকলা প্রতিবাদের একটা বড় মাধ্যম। আর তেমনটাই করে দেখিয়েছেন সিরিয়ার শরণার্থী আর্টিস্ট আব্দুল্লাহ আল ওমারি।


এই শিল্পী বিশ্ব নেতাদের পোট্রেট এঁকেছেন। কিন্তু একটু ভিন্ন ভাবে। তিনি বিশ্ব নেতাদেরকে শরণার্থী হিসেবে দেখিয়েছেন। এই বিশ্ব নেতাদের কাতারে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা,   রাশিয়ান নেতা ভ্লাদিমি পুতিন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বাদ যাননি ইরানের নেতা আহমেদি নেজাদ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কিংবা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও।

ছবিতে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটা বাচ্চা কাঁধে নিয়ে জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। হাতে একটি ছবি সেখানে বোঝানো হচ্ছে তার পরিবার যাদের তিনি হারিয়েছেন। এই ছবিটি দিয়েই যেন সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায়।


অপর একটি ছবিতে দেখা যায় কিম জং উন একটা ছোট বাচ্চা। যে কিনা খেলনা একটি মিসাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার মুখেও বিষণ্নতা লক্ষ্য করা যায়।

আরেকটি ছবিতে দেখা যায় পুতিন সাহায্য চাচ্ছে। হাতে একটা বোর্ড। তাতে লেখা আমাকে সাহায্য করুন, ঈশ্বর ও আপনাকে সাহায্য করবে।


আরো একটি ছবিতে দেখা যায় ওবামা, পুতিন, বাশার আল আসাদ, কিম জং উন সহ বেশ কিছু বিশ্ব নেতা শরণার্থী ক্যাম্পে আসা রিলিফের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবার মুখে ক্লান্তি আর বিষণ্নতার ছাপ স্পষ্ট।

এই ছবিগুলো আঁকতে আব্দুল্লাহ আল ওমারি সময় নিয়েছেন উনিশ মাস। এই উনিশ মাস ধরে আঁকা ছবিগুলো বর্তমানে দুবাই গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বে সাড়া ফেলেছে এই ছবিগুলো।