নিউজ ডেস্ক:
সফল এবং লক্ষ্যে নির্ভুল। রবিবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে উপর থেকে সারা পৃথিবীকে দেখার অনুভূতি দারুণ। গোটা বিশ্বটাই অসাধারণ লাগে! আরও জানিয়েছেন, পরীক্ষা যখন সফল, তখন এর ঢালাও উৎপাদন শুরু করা হবে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানোর জন্য। ছবিতে দেখা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী-আমলা-সহ কিম। সকলের মুখে সন্তুষ্টির হাসি লক্ষ্য করা গেছে।
এতে অবশ্য হাসি উড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার। গতকালই এই পরীক্ষাকে ‘বেপরোয়া’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সোল। আজও তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই পরীক্ষা তারই প্রমাণ। জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে এক সপ্তাহের মাথায় গতকাল ফের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চালায় কিমের দেশ। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ৫৬০ কিলেমিটারের বেশি পেরোতে পারেনি পুকচাং থেকে ছোড়া মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি। পুকগুকসং-টু নামে এই ক্ষেপণাস্ত্র ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। এটিতে ব্যবহার করা হয় ‘সলিড রকেট ফুয়েল’। এই জ্বালানিটি বিস্ফোরক জেলির মতো। যা তরল জ্বালানির চেয়ে কম ক্ষয়সৃষ্টিকারী। ফলে রকেটের জ্বালানি রাখার ট্যাঙ্কে সহজেই জমা করে রাখা যায় এটি।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের দাবি, নিশানায় আঘাত করার ক্ষেত্রে পুকগুকসং-টু ক্ষেপণাস্ত্রটি অব্যর্থ। সেনাবাহিনীকে সমৃদ্ধ করতে ব্যাপক হারে এই অস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, গতকাল উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল পেরিয়ে ৩৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছিল পুকগুকসং-টু। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার কিলোমিটারের বেশি উঁচুতে উঠতে পারেনি এটি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা