শিরোনাম :
Logo সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ Logo রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ দিতে যেয়ে হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী Logo ইবিতে রিপোর্টার্স ইউনিটির কমিটিতে নতুন নেতৃত্ব Logo অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ;বেরোবি উপাচার্য Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে পাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মানববন্ধন Logo খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি নির্বাচন ২০২৫ এর কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণা Logo কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অনশন Logo কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন—ইবি শিক্ষার্থীদের একাত্মতা Logo জাবিতে “সংগ্রামের শত রঙ” নামে জুলাই-বিপ্লবের আলোকচিত্র প্রদর্শনী Logo শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রদল

টেকনাফে ইয়াবা পাচার ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েই যাওয়ায় উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় উদ্বেগ

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৮ বার পড়া হয়েছে

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ:  টেকনাফ উপজেলায় মাদক ইয়াবা প্রতিরোধে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান থাকার স্বত্তেও ইয়াবা পাচার ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েই যাওয়ায়  উপজেলা মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বড় বড় ইয়াবা জব্দের ঘটনায় আসামী কিংবা মুল হোতারা আটক না হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করা হয়েছে।
গতকাল ৩০ এপ্রিল রোববার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, আইনশৃখলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের সাথে মাদক পাচারকারী গডফাদারসহ সকলের সখ্যতা রয়েছে। ফলে ইয়াবা অভিযান ও পাচার প্রতিরোধে সফলতা আসছেনা। সেন্টমার্টিনদ্বীপেও এখন মাদক ইয়াব ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কয়েকজন মহিলা সম্প্রতি বেপরোয়াভাবে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে শিগগিরই অভিযান করার জরুরী। বক্তারা মানবপাচার শূণ্যে নিয়ে আসায় আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশংসা করে আরো বলেন, শুধু বড় বড় ইয়াবার চালান আটক করে বাহবা নিলে হবেনা। এদের সাথে স¤পৃক্ত রাঘব বোয়ালদের খুঁজে বের করতে হবে। ইয়াবা উড়ে আসে না। নিশ্চয় কোন বাহন দিয়ে এদেশে পাচার হয়ে আসছে। ওই সব মাদক পাচারকারীদের কাছে বড় বড় ট্রলার ও ফিশিং বোট রয়েছে। ওই বাহন খুুঁজে প্রকৃত মালিককে বের করে আইনের আওতায় আনা না হলে অদুর ভবিষ্যতে ইয়াবা পাচার আরো ভয়াবহ
আকার ধারন করবে। সম্প্রতি মালিক বিহীন ১০ লক্ষ, ১২ লক্ষসহ প্রচুর ইয়াবা আটক করা হয়েছে।
অথচ কোন আসামী নেই এবং কোন পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। সভায় প্রকৃত মাদক ইয়াবা পাচারকারীদের নতুন তালিকা তৈরী করার আহবান জানান। ইয়াবা পাচারের পাশাপাশি এখন সেবনকারীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের আস্তানা চিহ্নীত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে আহবান জানান বক্তারা। নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকী বলেন, মাদক ইয়াবা শুধু টেকনাফের সমস্যা নয়। ইহা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ইয়াবা প্রতিরোধে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এই অঞ্চলে র‌্যাবের টহল জরুরী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী, সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ, সাবরাং ইউপি চেয়ার‌্যমান নুর হোসেন, টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল খায়ের, বিজিবি প্রতিনিধি ইব্রাহীম ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিসহ মিডিয়াকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সদ্য নির্বাচিত বোদা উপজেলা বিএনপির সভাপতিকে শোকজ

টেকনাফে ইয়াবা পাচার ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েই যাওয়ায় উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ:  টেকনাফ উপজেলায় মাদক ইয়াবা প্রতিরোধে আইনশৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান থাকার স্বত্তেও ইয়াবা পাচার ও সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েই যাওয়ায়  উপজেলা মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় জনপ্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি বড় বড় ইয়াবা জব্দের ঘটনায় আসামী কিংবা মুল হোতারা আটক না হওয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করা হয়েছে।
গতকাল ৩০ এপ্রিল রোববার টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উপজেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, আইনশৃখলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের সাথে মাদক পাচারকারী গডফাদারসহ সকলের সখ্যতা রয়েছে। ফলে ইয়াবা অভিযান ও পাচার প্রতিরোধে সফলতা আসছেনা। সেন্টমার্টিনদ্বীপেও এখন মাদক ইয়াব ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কয়েকজন মহিলা সম্প্রতি বেপরোয়াভাবে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে শিগগিরই অভিযান করার জরুরী। বক্তারা মানবপাচার শূণ্যে নিয়ে আসায় আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশংসা করে আরো বলেন, শুধু বড় বড় ইয়াবার চালান আটক করে বাহবা নিলে হবেনা। এদের সাথে স¤পৃক্ত রাঘব বোয়ালদের খুঁজে বের করতে হবে। ইয়াবা উড়ে আসে না। নিশ্চয় কোন বাহন দিয়ে এদেশে পাচার হয়ে আসছে। ওই সব মাদক পাচারকারীদের কাছে বড় বড় ট্রলার ও ফিশিং বোট রয়েছে। ওই বাহন খুুঁজে প্রকৃত মালিককে বের করে আইনের আওতায় আনা না হলে অদুর ভবিষ্যতে ইয়াবা পাচার আরো ভয়াবহ
আকার ধারন করবে। সম্প্রতি মালিক বিহীন ১০ লক্ষ, ১২ লক্ষসহ প্রচুর ইয়াবা আটক করা হয়েছে।
অথচ কোন আসামী নেই এবং কোন পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। সভায় প্রকৃত মাদক ইয়াবা পাচারকারীদের নতুন তালিকা তৈরী করার আহবান জানান। ইয়াবা পাচারের পাশাপাশি এখন সেবনকারীদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের আস্তানা চিহ্নীত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে আহবান জানান বক্তারা। নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকী বলেন, মাদক ইয়াবা শুধু টেকনাফের সমস্যা নয়। ইহা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ইয়াবা প্রতিরোধে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এই অঞ্চলে র‌্যাবের টহল জরুরী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী, সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ, সাবরাং ইউপি চেয়ার‌্যমান নুর হোসেন, টেকনাফ মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবুল খায়ের, বিজিবি প্রতিনিধি ইব্রাহীম ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিসহ মিডিয়াকর্মী উপস্থিত ছিলেন।