শিরোনাম :

প্রতি ৬ মাসে একটা দ্বীপ বদলে ফেলে ঠিকানা !

  • আপডেট সময় : ০২:১০:৪২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

৬ মাস দিন আর ৬ মাস রাতের দেশের কথা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু এমন দ্বীপের কথা শুনেছেন কি, যা বছরে ৬ মাস থাকে এক দেশের অধীনে, বাকি ৬ মাস অন্য দেশের অধীনে? এমন আজব দ্বীপ এই পৃথিবীতে একটিই আছে, যা প্রতি ৬ মাস নিজের দেশ বদলায়! স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যে দিয়ে বইছে বিডাসোয়া নদী। এই নদীতেই অবস্থিত ফিস্যান্ট দ্বীপ। ১৬৫৯ সালে দু দেশের প্রশাসকরা চুক্তির মাধ্যমে ৩০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইতি টানেন। সেই সময় ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে যে সীমান্ত চুক্তি হয় তাতে ফিস্যান্ট দ্বীপকে মাঝামাঝি ভাগ করে সীমান্ত রেখা না টেনে গোটা দ্বীপটিকে কন্ডোমিনিয়ামে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

কন্ডোমিনিয়ামের অর্থ কোনও একটি ভূখণ্ডের ওপর একাধিক রাষ্ট্রের স্বত্ব থাকা। তবে ফিস্যান্ট দ্বীপে একসঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের স্বত্ব নেই। এই ১.৬ একর এলাকা জুড়ে ছডানো দ্বীপ বছরে ৬ মাস থাকে ফ্রান্সের অধীনে আর ৬ মাস থাকে স্পেনের অধীনে। প্রতি ৬ মাস অন্তর দুই দেশের প্রশাসকরা এই দ্বীপে বৈঠক করে কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। বর্তমানে এই দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়া মানা। তবে বিডাসোয়া নদীতে ফিস্যান্ট আইল্যান্ড থেকে স্পেনের মূল ভূখণ্ড মাত্র ১০০ ফুট এবং ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ড মাত্র ১৫০ ফুট দূরে রয়েছে। তাই বেশ কাছ থেকেই দ্বীপটি দেখতে পান পর্যটকরা। বিভিন্ন সময় দুই দেশের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে এখানে। তাই ঐতিহাসিক দিক দিয়েও দ্বীপটির গুরুত্ব যথেষ্ট। সূত্র: এই সময়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

প্রতি ৬ মাসে একটা দ্বীপ বদলে ফেলে ঠিকানা !

আপডেট সময় : ০২:১০:৪২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

৬ মাস দিন আর ৬ মাস রাতের দেশের কথা তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু এমন দ্বীপের কথা শুনেছেন কি, যা বছরে ৬ মাস থাকে এক দেশের অধীনে, বাকি ৬ মাস অন্য দেশের অধীনে? এমন আজব দ্বীপ এই পৃথিবীতে একটিই আছে, যা প্রতি ৬ মাস নিজের দেশ বদলায়! স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যে দিয়ে বইছে বিডাসোয়া নদী। এই নদীতেই অবস্থিত ফিস্যান্ট দ্বীপ। ১৬৫৯ সালে দু দেশের প্রশাসকরা চুক্তির মাধ্যমে ৩০ বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইতি টানেন। সেই সময় ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে যে সীমান্ত চুক্তি হয় তাতে ফিস্যান্ট দ্বীপকে মাঝামাঝি ভাগ করে সীমান্ত রেখা না টেনে গোটা দ্বীপটিকে কন্ডোমিনিয়ামে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র।

কন্ডোমিনিয়ামের অর্থ কোনও একটি ভূখণ্ডের ওপর একাধিক রাষ্ট্রের স্বত্ব থাকা। তবে ফিস্যান্ট দ্বীপে একসঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রের স্বত্ব নেই। এই ১.৬ একর এলাকা জুড়ে ছডানো দ্বীপ বছরে ৬ মাস থাকে ফ্রান্সের অধীনে আর ৬ মাস থাকে স্পেনের অধীনে। প্রতি ৬ মাস অন্তর দুই দেশের প্রশাসকরা এই দ্বীপে বৈঠক করে কাগজপত্র হস্তান্তর করেন। বর্তমানে এই দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়া মানা। তবে বিডাসোয়া নদীতে ফিস্যান্ট আইল্যান্ড থেকে স্পেনের মূল ভূখণ্ড মাত্র ১০০ ফুট এবং ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ড মাত্র ১৫০ ফুট দূরে রয়েছে। তাই বেশ কাছ থেকেই দ্বীপটি দেখতে পান পর্যটকরা। বিভিন্ন সময় দুই দেশের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে এখানে। তাই ঐতিহাসিক দিক দিয়েও দ্বীপটির গুরুত্ব যথেষ্ট। সূত্র: এই সময়।