শিরোনাম :
Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ Logo সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ীর খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ দিয়ে লাপাত্তা টিসিএফ Logo ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু; শিক্ষার্থীরা রাবি মেডিকেলের নাম দিল নাপা সেন্টার Logo জাতির উন্নতির জন্য জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন – মির্জা গালিব Logo গোপালগঞ্জে চলমান কারফিউ’র মেয়াদ বাড়লো Logo লেডি দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সভা মাদক সমাজ ও জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় ………….সাখাওয়াত জামিল সৈকত Logo অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও শিক্ষক নিয়োগের ভাইভাতে ডাক পেলেন না আজমল Logo যেভাবে আমরা ইতিহাসের শরিক হলাম Logo সিরাজগঞ্জ এলজিইডিতে বিদায়ী ও নবনিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর সংবর্ধনা

তালিবানের দেশে একাকিনী যে নারী সিমা আজমি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

আফগানিস্তান, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ছবি। সঙ্গে, অবশ্যই সেখানকার মহিলা ও শিশুদের দুর্দশার কথা।

তালিবান উপদ্রবে এই দেশের মহিলাদের জীবনযাত্রা যে কেবলমাত্র দুর্বিষহ, তা বললে বোধহয় কমই বলা হবে। নিজের ইচ্ছেমতো কোনও কাজ করা, তাঁদের কল্পনাতীত।
এ হেন দেশে খানিক ব্যতিক্রম সিমা আজমি। বয়স মাত্র ২০। মধ্য আফগানিস্তানের জাঘোরির বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে ইরানে গিয়ে তিনি মার্শাল আর্ট-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কুংফু-র ‘উশু’ স্টাইল শিখে, দেশে এসে তা শেখাচ্ছেন অন্যান্য মেয়েদের। ইরানে থাকাকালীন, সিমা আজমি দু’টি প্রতিযোগিতায় সোনা ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।

রাজধানী শহর কাবুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারা গোষ্ঠির মেয়েরাই মূলত আসে সিমা আজমির কাছে উশু-র প্রশিক্ষণ নিতে। বর্তমানে সিমার ৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে রাইহানা আমিরি, তারই বয়সি। গুরুদক্ষিণা হিসেবে প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে মাসে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নেন সিমা। তাঁর কাছে আসল ব্যাপারটি, মেয়েদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। মহিলারা নিজেই যেন নিজের সুরক্ষা করতে পারেন এই কুংফু বিদ্যার দ্বারা।

এ ছাড়াও, সিমা আজমির রয়েছে অন্য এক ভাবনা— আন্তর্জাতিক স্তরে, কাবুলের উশু টিম ভাগ নেবে কোনও একদিন। বর্তমানে, আফগানিস্তান থেকে মহিলা খেলোয়াড়রদের দেখা গেছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। যদিও, যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা তাঁরা পান না। প্রশিক্ষণের জন্যও যা পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, তাও মেলে না সিমাদের। কখনও তাঁরা প্র্যাকটিস করেন কাবুলের বরফঢাকা পাহাড়ে। কখনও বা একটি ছোট্ট ক্লাবে। ইরান থেকে চাইনিজ কুংফুতে ব্যবহৃত ‘শাওলিন সোর্ড’ আনিয়েছেন সিমা। এবং শাওলিন ইউনিফর্ম তৈরি করিয়েছেন কাবুল শহরের এক দর্জিকে দিয়ে।

সূত্র: এবেলা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে মিলল শিক্ষার্থীর মরদেহ

তালিবানের দেশে একাকিনী যে নারী সিমা আজমি !

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

আফগানিস্তান, নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ছবি। সঙ্গে, অবশ্যই সেখানকার মহিলা ও শিশুদের দুর্দশার কথা।

তালিবান উপদ্রবে এই দেশের মহিলাদের জীবনযাত্রা যে কেবলমাত্র দুর্বিষহ, তা বললে বোধহয় কমই বলা হবে। নিজের ইচ্ছেমতো কোনও কাজ করা, তাঁদের কল্পনাতীত।
এ হেন দেশে খানিক ব্যতিক্রম সিমা আজমি। বয়স মাত্র ২০। মধ্য আফগানিস্তানের জাঘোরির বাসিন্দা। গত তিন বছর ধরে ইরানে গিয়ে তিনি মার্শাল আর্ট-এর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কুংফু-র ‘উশু’ স্টাইল শিখে, দেশে এসে তা শেখাচ্ছেন অন্যান্য মেয়েদের। ইরানে থাকাকালীন, সিমা আজমি দু’টি প্রতিযোগিতায় সোনা ও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।

রাজধানী শহর কাবুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজারা গোষ্ঠির মেয়েরাই মূলত আসে সিমা আজমির কাছে উশু-র প্রশিক্ষণ নিতে। বর্তমানে সিমার ৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে রাইহানা আমিরি, তারই বয়সি। গুরুদক্ষিণা হিসেবে প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে মাসে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০ টাকা নেন সিমা। তাঁর কাছে আসল ব্যাপারটি, মেয়েদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। মহিলারা নিজেই যেন নিজের সুরক্ষা করতে পারেন এই কুংফু বিদ্যার দ্বারা।

এ ছাড়াও, সিমা আজমির রয়েছে অন্য এক ভাবনা— আন্তর্জাতিক স্তরে, কাবুলের উশু টিম ভাগ নেবে কোনও একদিন। বর্তমানে, আফগানিস্তান থেকে মহিলা খেলোয়াড়রদের দেখা গেছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। যদিও, যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা তাঁরা পান না। প্রশিক্ষণের জন্যও যা পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, তাও মেলে না সিমাদের। কখনও তাঁরা প্র্যাকটিস করেন কাবুলের বরফঢাকা পাহাড়ে। কখনও বা একটি ছোট্ট ক্লাবে। ইরান থেকে চাইনিজ কুংফুতে ব্যবহৃত ‘শাওলিন সোর্ড’ আনিয়েছেন সিমা। এবং শাওলিন ইউনিফর্ম তৈরি করিয়েছেন কাবুল শহরের এক দর্জিকে দিয়ে।

সূত্র: এবেলা