শিরোনাম :
Logo  ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার Logo ইবিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ Logo সুন্দরবনে বন বিভাগের পৃথক অভিযানে ৫ জেলে আটক  ৩টা নৌকা, জাল, বিষের বোতল সহ মাছ জব্দ  Logo পলাশবাড়ীতে ভূয়া সমিতির নামে পৌনে এক কোটির টাকার গাছ বিক্রি করে অর্থ লুটপাট Logo কুবিতে এক সাংবাদিক সংগঠনের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo পঞ্চগড়ে ভিডাব্লিউবি কার্ড বিতরণ নিয়ে লিখিত অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজগঞ্জে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নিহত, চারজন আহত Logo ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কচুয়ায় ফসলি জমি নষ্ট করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন, বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকি  Logo চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ Logo ইবিতে “ক্যারিয়ার গাইডলাইন ফর ফ্রেশার্স ২০২৫” অনুষ্ঠিত 

যেখানে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হলেই পুরস্কার !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭
  • ৭৫৯ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অফিসে আসার পর থেকেই আমাদের চোখ থাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে। কখন অফিসের সময় শেষ হবে আর কখন বাড়ি ফিরব। তবে জাপানের বিষয়টি একদমই আলাদা। সেখানে কর্মীদের অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ে তো বের করা যায়ই না, বরং নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বহু সময় তারা অফিস করে। আর কাজ-পাগল জাপানিদের এ অভ্যাস দূর করতে এবার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান সরকার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।

এ ব্যাপারে টোকিওভিত্তিক পাবলিক রিলেশনস ফার্ম সানি সাইড আপ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার কর্মক্ষেত্র থেকে আগে বের হলেই তারা কর্মীদের পুরস্কৃত করবে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও অফিসে থাকতে চায়। আর এতে দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে কর্মীদের পারিবারিক জীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তেমন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়। বাড়তি চাপের ফলে বহু জাপানিই বিয়ে কিংবা পরিবার গঠন করতে আগ্রহী হয় না। এছাড়া পরিবার থাকলেও অনেকে তাদের সময় দিতে পারে না। ফলে সার্বিকভাবে নানা ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাদের মাঝে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান রায়উটা হাতোরি বলেন, ‘জাপানের কর্ম সংস্কৃতিতে আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করতে চাই এবং দীর্ঘক্ষণ অফিসে থাকতে চাই। এ কারণে কেউই অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে চায় না।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাপান সরকার কাজ-পাগল জাপানিদের এ সমস্যা সমাধানে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কর্মীদের কাজ থেকে দ্রুত বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে জাপান সরকার। এতে কর্মক্ষেত্রের চাপ অনেক কমে যাবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

 ইবির পাঁচ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

যেখানে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হলেই পুরস্কার !

আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অফিসে আসার পর থেকেই আমাদের চোখ থাকে ঘড়ির কাঁটার দিকে। কখন অফিসের সময় শেষ হবে আর কখন বাড়ি ফিরব। তবে জাপানের বিষয়টি একদমই আলাদা। সেখানে কর্মীদের অফিস থেকে নির্দিষ্ট সময়ে তো বের করা যায়ই না, বরং নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বহু সময় তারা অফিস করে। আর কাজ-পাগল জাপানিদের এ অভ্যাস দূর করতে এবার নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে জাপান সরকার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিবিসি।

এ ব্যাপারে টোকিওভিত্তিক পাবলিক রিলেশনস ফার্ম সানি সাইড আপ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার কর্মক্ষেত্র থেকে আগে বের হলেই তারা কর্মীদের পুরস্কৃত করবে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও অফিসে থাকতে চায়। আর এতে দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে কর্মীদের পারিবারিক জীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তেমন বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও মানসিক সমস্যাও তৈরি হয়। বাড়তি চাপের ফলে বহু জাপানিই বিয়ে কিংবা পরিবার গঠন করতে আগ্রহী হয় না। এছাড়া পরিবার থাকলেও অনেকে তাদের সময় দিতে পারে না। ফলে সার্বিকভাবে নানা ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাদের মাঝে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান রায়উটা হাতোরি বলেন, ‘জাপানের কর্ম সংস্কৃতিতে আমরা সবাই কঠোর পরিশ্রম করতে চাই এবং দীর্ঘক্ষণ অফিসে থাকতে চাই। এ কারণে কেউই অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে চায় না।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাপান সরকার কাজ-পাগল জাপানিদের এ সমস্যা সমাধানে একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা কর্মীদের কাজ থেকে দ্রুত বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করবে জাপান সরকার। এতে কর্মক্ষেত্রের চাপ অনেক কমে যাবে বলে বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের।