শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

বাংলাদেশ থেকে চাল ও কলা আমদানি করবে মালয়েশিয়া!

  • আপডেট সময় : ০৩:২২:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিজাত পণ্যের উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চেয়ে মালয়েশিয়ার কৃষিমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো শ্রী আহমদ সাবেরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ মিশনের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। শুক্রবার সারদাং মাহা সচিবালয়ের বারনাস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চাল ও কলা আমদানির বিষয়ে দেশটির কৃষিমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

মালয়েশিয়ার এই আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে কার্যত কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈপ্লবিক উন্নতিরই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এর মাধ্যমে অপ্রচলিত রফতানি দ্রব্য কলা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন ক্ষেত্র যেমন তৈরি হলো, তেমনি চালের বাজার ছুটলো নতুন ঠিকানায়।

এর আগে ইরাক, শ্রীলংকা, মিসর, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, মরক্কো আর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে চাল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানো হয়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ মালয়েশিয়া মোটা দাগের চাল আমদানিকারক হওয়ায় বাংলাদেশের বাজার সম্ভাবনা এখানে তুলনামূলক ভালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে অপ্রচলিত রফতানি পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের উন্নত মানের কলাও উঠে আসবে বিশ্ববাজারে। বছর চারেক আগে পোল্যান্ডে রফতানি শুরু হওয়ার পর থেকেই হারানো কলার বাজারের জন্যও বিষয়টাকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া চাল নিতে শুরু করলে কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া, ফিলিপাইন আর ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাজার ধরাও সহজ হবে বাংলাদেশের পক্ষে। সম্ভব হবে আগে থেকেই চালের বিশ্ববাজার ধরে রাখা দেশগুলোর সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে সফল হওয়া।

পাশাপাশি ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জলপথে ২০ হাজার কেজি সাগরকলা পোল্যান্ডে রফতানির মাধ্যমে শুরু হওয়া কলা বাণিজ্যও নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে মালয়েশিয়ার বাজারে। গত চার বছরে বিশ্ববাজারে কলা রফতানিতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও এবার মালয়েশিয়া নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের সামনে।

বাংলাদেশের কলার গুণগত মান অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ভালো বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। খ্যাতি রয়েছে নরসিংদী, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ (রামপাল), যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর আর পাবনা অঞ্চলের কলার। মৌসুমী জলবায়ুর দেশ হওয়ায় দেশের উচ্চভূমিতে সারাবছরই কলার চাষ করা সম্ভব বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অপ্রচলিত পণ্যের মধ্যে ইতোমধ্যেই শাক-সবজি আর ফুল রফতানিতে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। বহুল পরিচিত সাগর কলা ছাড়াও অগ্নিস্বর, অমৃতসাগর, দুধসর, চিনিচাম্পা, সবরি ইত্যাদি কলার স্বাদ সহজেই বিশ্ববাজারে কদর বাড়িয়ে দিতে পারে ভেষজগুণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কলার। আর মালয়েশিয়া থেকে শুরু হতে পারে কলা রফতানির নতুন পর্ব।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) রইছ হাসান সারোয়ার, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় দাস উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

বাংলাদেশ থেকে চাল ও কলা আমদানি করবে মালয়েশিয়া!

আপডেট সময় : ০৩:২২:২৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

কৃষিজাত পণ্যের উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চেয়ে মালয়েশিয়ার কৃষিমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো শ্রী আহমদ সাবেরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ মিশনের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। শুক্রবার সারদাং মাহা সচিবালয়ের বারনাস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চাল ও কলা আমদানির বিষয়ে দেশটির কৃষিমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলে মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

মালয়েশিয়ার এই আগ্রহ প্রকাশের মাধ্যমে কার্যত কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের বৈপ্লবিক উন্নতিরই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এর মাধ্যমে অপ্রচলিত রফতানি দ্রব্য কলা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন ক্ষেত্র যেমন তৈরি হলো, তেমনি চালের বাজার ছুটলো নতুন ঠিকানায়।

এর আগে ইরাক, শ্রীলংকা, মিসর, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, মরক্কো আর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে চাল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানো হয়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ মালয়েশিয়া মোটা দাগের চাল আমদানিকারক হওয়ায় বাংলাদেশের বাজার সম্ভাবনা এখানে তুলনামূলক ভালো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে অপ্রচলিত রফতানি পণ্য হিসেবে বাংলাদেশের উন্নত মানের কলাও উঠে আসবে বিশ্ববাজারে। বছর চারেক আগে পোল্যান্ডে রফতানি শুরু হওয়ার পর থেকেই হারানো কলার বাজারের জন্যও বিষয়টাকে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া চাল নিতে শুরু করলে কেনিয়া, উগান্ডা, তানজানিয়া, ফিলিপাইন আর ইন্দোনেশিয়াসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাজার ধরাও সহজ হবে বাংলাদেশের পক্ষে। সম্ভব হবে আগে থেকেই চালের বিশ্ববাজার ধরে রাখা দেশগুলোর সঙ্গে সুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে সফল হওয়া।

পাশাপাশি ২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জলপথে ২০ হাজার কেজি সাগরকলা পোল্যান্ডে রফতানির মাধ্যমে শুরু হওয়া কলা বাণিজ্যও নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে মালয়েশিয়ার বাজারে। গত চার বছরে বিশ্ববাজারে কলা রফতানিতে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও এবার মালয়েশিয়া নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের সামনে।

বাংলাদেশের কলার গুণগত মান অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় ভালো বলে এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। খ্যাতি রয়েছে নরসিংদী, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ (রামপাল), যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর আর পাবনা অঞ্চলের কলার। মৌসুমী জলবায়ুর দেশ হওয়ায় দেশের উচ্চভূমিতে সারাবছরই কলার চাষ করা সম্ভব বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অপ্রচলিত পণ্যের মধ্যে ইতোমধ্যেই শাক-সবজি আর ফুল রফতানিতে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। বহুল পরিচিত সাগর কলা ছাড়াও অগ্নিস্বর, অমৃতসাগর, দুধসর, চিনিচাম্পা, সবরি ইত্যাদি কলার স্বাদ সহজেই বিশ্ববাজারে কদর বাড়িয়ে দিতে পারে ভেষজগুণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কলার। আর মালয়েশিয়া থেকে শুরু হতে পারে কলা রফতানির নতুন পর্ব।

বৈঠকে মালয়েশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) রইছ হাসান সারোয়ার, কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় দাস উপস্থিত ছিলেন।