শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত Logo চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে তারুণ্যের আলো সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প Logo ফের ভূমিকম্প Logo কচুয়ায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে ৩০টি প্রদর্শনী

নেতার রিট; রাবিতে স্থগিত হলো শিক্ষক নিয়োগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নয়ন ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী অনার্স-মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০ এর উপরে থাকতে হবে। তবে শাখা ছাত্রদল নেতার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ হওয়ায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ রাবির কলা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেছেন

জানা যায় রিট দায়ের করা মো. বুলবুল রহমান উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ এবং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০।

ছাত্রদল নেতার এমন কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে উর্দু বিভাগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ভালো হওয়া প্রয়োজনীয়। শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলারে উর্দু বিভাগে মোট ৫৭ জন আবেদন করেছেন। যার মধ্যে শর্ত পূরণ করেছেন মোট ৪৭ জন। এদের প্রত্যেকেরই অনার্স ও মাস্টার্স দুটো মিলিয়ে রেজাল্ট খুবই ভালো এবং অনেকেরই সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৪.০০ আছে। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে আদালতে যে অভিযোগ করেছে তার অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট সিজিপিএ ৩.৩৫, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে রিট পিটিশনকারী ছাত্রদল নেতা মো. বুলবুল রহমান বলেন, ২০২৫ সালের পিএসসি সার্কুলারে সকল অনুষদে অনার্স-মাস্টার্সের ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য অনুষদের তুলনায় আমাদের কলা অনুষদের সিজিপিএ তুলনামূলক একটু কম হয়। আমি মনে করি এখানে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এজন্যই আমি রিট করেছিলাম। মহামান্য আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত মামলা চলবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় লিগ্যাল সেলের প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, আমরা জেনেছি যিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন, তার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ এবং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০-এর উপরে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৫০ উপরে থাকতে হবে। বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী চলে। তারা নিজের পরিচালিত নিয়মনীতি অনুযায়ী চলবে। শিক্ষা, গবেষণা এক্সিলেন্সি বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় যে নীতিমালা নেবে সেটাই চূড়ান্ত।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নেতার রিট; রাবিতে স্থগিত হলো শিক্ষক নিয়োগ

আপডেট সময় : ১০:০৪:১৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নয়ন ও পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী অনার্স-মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০ এর উপরে থাকতে হবে। তবে শাখা ছাত্রদল নেতার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ হওয়ায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ রাবির কলা অনুষদভুক্ত সকল বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করেছেন

জানা যায় রিট দায়ের করা মো. বুলবুল রহমান উর্দু বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ এবং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০।

ছাত্রদল নেতার এমন কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে উর্দু বিভাগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট ভালো হওয়া প্রয়োজনীয়। শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলারে উর্দু বিভাগে মোট ৫৭ জন আবেদন করেছেন। যার মধ্যে শর্ত পূরণ করেছেন মোট ৪৭ জন। এদের প্রত্যেকেরই অনার্স ও মাস্টার্স দুটো মিলিয়ে রেজাল্ট খুবই ভালো এবং অনেকেরই সিজিপিএ ৪.০০-এর মধ্যে ৪.০০ আছে। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে আদালতে যে অভিযোগ করেছে তার অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট সিজিপিএ ৩.৩৫, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

এ বিষয়ে রিট পিটিশনকারী ছাত্রদল নেতা মো. বুলবুল রহমান বলেন, ২০২৫ সালের পিএসসি সার্কুলারে সকল অনুষদে অনার্স-মাস্টার্সের ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু অন্য অনুষদের তুলনায় আমাদের কলা অনুষদের সিজিপিএ তুলনামূলক একটু কম হয়। আমি মনে করি এখানে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এজন্যই আমি রিট করেছিলাম। মহামান্য আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। যতদিন পর্যন্ত মামলা চলবে ততদিন শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় লিগ্যাল সেলের প্রশাসক অধ্যাপক আব্দুর রহিম বলেন, আমরা জেনেছি যিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন, তার অনার্সের সিজিপিএ ৩.৩৬ এবং মাস্টার্সে সিজিপিএ ৩.৫০-এর উপরে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী অনার্স-মাস্টার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৫০ উপরে থাকতে হবে। বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসিত ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট অনুযায়ী চলে। তারা নিজের পরিচালিত নিয়মনীতি অনুযায়ী চলবে। শিক্ষা, গবেষণা এক্সিলেন্সি বাড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় যে নীতিমালা নেবে সেটাই চূড়ান্ত।