শনিবার | ২৯ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসী আটক Logo মহেশখালীতে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারিগর আটক: Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৪২:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • ৭৬৪ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই সভাপাতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার (১৫ জুন) দুপুরে চরপুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সম্মেলন স্থগিত করেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ।

প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালীন সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিএনপির কর্মী শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মোঃ হালিম।

সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছত্তার হাওলাদার বলেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম খোকন মূলত খলিলুর রহমান শিকদারের বোন জামাই। আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, এই ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে আগে একটি সমঝোতা হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচনের কোন প্রয়োজন নেই, বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিবেচনার দাবি জানাব। এসব বক্তব্যের সময়, নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে খলিলুর রহমান শিকদারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করেন। এতে আমাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অপর দিকে খলিলুর রহমান শিকদার বলেন, আমাদের যারা ভোটার (কাউন্সিলর) ছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে ভোটার করা হয়েছে। কৌশলে আমাকে হারানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল। এসব কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সম্মেলনে একজন নেতা বক্তব্যকে আমাদের কর্মীরা সমর্থণ করেছিলেন, তখনেই আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নেতাকর্মীদের বলেছেন, আপনারা শান্ত থাকুন। আমরা সম্মেলন এখানে স্থগিত করছি, আপনার যার যার বাড়িতে যান। পরবর্তীতে সম্মেলনের সময় অনলাইনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ বলেন, সংঘর্ষ হওয়ায় বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৩০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই সভাপাতি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার (১৫ জুন) দুপুরে চরপুটিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সম্মেলন স্থগিত করেন জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ।

প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালীন সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার ও আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসলে নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বিএনপির কর্মী শিহাব শিকদার, এমদাদুল হাওলাদার, সাইফুল হাওলাদার, অহিদুল ইসলাম ও মোঃ হালিম।

সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছত্তার হাওলাদার বলেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম খোকন মূলত খলিলুর রহমান শিকদারের বোন জামাই। আব্দুল হালিম খোকনের বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, এই ইউনিয়নের কমিটি নিয়ে আগে একটি সমঝোতা হয়েছিল। এখন আবার নির্বাচনের কোন প্রয়োজন নেই, বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিবেচনার দাবি জানাব। এসব বক্তব্যের সময়, নেতাকর্মীরা একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে খলিলুর রহমান শিকদারের লোকজন আমাদের উপর হামলা করেন। এতে আমাদের ৬-৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

অপর দিকে খলিলুর রহমান শিকদার বলেন, আমাদের যারা ভোটার (কাউন্সিলর) ছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে ভোটার করা হয়েছে। কৌশলে আমাকে হারানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছিল। এসব কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সম্মেলনে একজন নেতা বক্তব্যকে আমাদের কর্মীরা সমর্থণ করেছিলেন, তখনেই আব্দুস ছত্তার হাওলাদারের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সম্মেলনের প্রধান অতিথি খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপকে ফোন করা হলেও, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তবে ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নেতাকর্মীদের বলেছেন, আপনারা শান্ত থাকুন। আমরা সম্মেলন এখানে স্থগিত করছি, আপনার যার যার বাড়িতে যান। পরবর্তীতে সম্মেলনের সময় অনলাইনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল আরিফ বলেন, সংঘর্ষ হওয়ায় বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।