শুক্রবার | ২৮ নভেম্বর ২০২৫ | হেমন্তকাল
শিরোনাম :
Logo সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা Logo বুটেক্স অ্যালামনাই ইউএসএ-এর আত্মপ্রকাশ: যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের মিলনমেলা ও কমিটি গঠন Logo বুটেক্সের প্রথম সমাবর্তন আগামী ২৭ ডিসেম্বর Logo রাবিতে ইলা মিত্রকে নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo নোবিপ্রবির সঙ্গে তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর Logo নোবিপ্রবিতে গবেষণা, বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের করণীয় শীর্ষক প্রশিক্ষণ Logo রাবি ময়মনসিংহ জেলা সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা Logo “কণিকা”সংগঠনের সচেতনতা সেমিনার ও কুইজ এমইএস কলেজে অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি রবিউল হাসানকে চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার পদে বদলী Logo প্রতিষ্ঠার পর থেকে নির্মাণ হয়নি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থায়ী মর্গ, জীর্ণ-ভবনে ময়নাতদন্ত

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • ৭৭৯ বার পড়া হয়েছে
হাড়ের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। যদি ত্বক পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পায়, তবে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া ডায়েটে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার  পর্যাপ্ত পরিমাণে না রাখলেও ভুগতে পারেন ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে। আবার নির্দিষ্ট অসুখেও কারণেও শরীরের এটি শোষণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। কারণ যাই হোক, ভিটামিন ডি কমে গেলে কিছু লক্ষণে সেটা প্রকাশ পায়। জেনে নিন লক্ষণগুলো কী কী। 

১। ভিটামিন ডি কমে গেলে ভীষণ ক্লান্ত লাগে। যদিও ক্লান্ত লাগার অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে এর মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি।

২। হাড় এবং জয়েন্টে ব্যথা ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ। ভিটামিন ডি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে। ভিটামিনটির অভাবে তাই দুর্বল হয়ে পড়ে হাড়।

৩। ভিটামিন ডি এর অভাব পেশী ব্যথার কারণ হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ৭১ শতাংশ লোকের ভিটামিন ডি প্রয়োজনের তুলনায় কম।

৪। ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন ডি যৌগগুলোর উৎপাদন বাড়ায় যা ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫। অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দেরিতে ক্ষত নিরাময় হতে পারে।

৬। বিষণ্ণতা বা হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয় ও ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের বাঁচাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি সরাসরি কোষের সাথে যোগাযোগ করে যেগুলো সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য কাজ করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে তাই ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

কোন কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন ডি
কিছু মাছ, মাছের যকৃতের তেল, ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত খাবার এবং কমলার রসে মেলে ভিটামিন ডি। এছাড়া মাশরুম কিংবা ওটসেও পাওয়া যায় ভিটামিনটি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতক্ষীরা-০২ এ ধানের শীষের জয়ে নতুন অধ্যায়—বিএনপির একতাবদ্ধ ঘোষণা

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব

আপডেট সময় : ১১:৩২:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
হাড়ের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। যদি ত্বক পর্যাপ্ত সূর্যালোক না পায়, তবে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া ডায়েটে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার  পর্যাপ্ত পরিমাণে না রাখলেও ভুগতে পারেন ভিটামিন ডি এর ঘাটতিতে। আবার নির্দিষ্ট অসুখেও কারণেও শরীরের এটি শোষণ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। কারণ যাই হোক, ভিটামিন ডি কমে গেলে কিছু লক্ষণে সেটা প্রকাশ পায়। জেনে নিন লক্ষণগুলো কী কী। 

১। ভিটামিন ডি কমে গেলে ভীষণ ক্লান্ত লাগে। যদিও ক্লান্ত লাগার অনেক কারণই থাকতে পারে। তবে এর মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি।

২। হাড় এবং জয়েন্টে ব্যথা ভিটামিন ডি কমে যাওয়ার অন্যতম লক্ষণ। ভিটামিন ডি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে। ভিটামিনটির অভাবে তাই দুর্বল হয়ে পড়ে হাড়।

৩। ভিটামিন ডি এর অভাব পেশী ব্যথার কারণ হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ৭১ শতাংশ লোকের ভিটামিন ডি প্রয়োজনের তুলনায় কম।

৪। ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত কারণে হাড় ক্ষয় হয়ে যেতে পারে। ভিটামিন ডি যৌগগুলোর উৎপাদন বাড়ায় যা ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫। অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দেরিতে ক্ষত নিরাময় হতে পারে।

৬। বিষণ্ণতা বা হঠাৎ মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয় ও ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের বাঁচাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি সরাসরি কোষের সাথে যোগাযোগ করে যেগুলো সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য কাজ করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে তাই ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

কোন কোন খাবারে পাবেন ভিটামিন ডি
কিছু মাছ, মাছের যকৃতের তেল, ডিমের কুসুম, দুগ্ধজাত খাবার এবং কমলার রসে মেলে ভিটামিন ডি। এছাড়া মাশরুম কিংবা ওটসেও পাওয়া যায় ভিটামিনটি।