শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা Logo নারী শিক্ষার্থীদের কটুক্তির প্রতিবাদে ইবি ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন  Logo তারেক রহমান ও টুকুর খালাসে শিয়ালকোলে মিষ্টি বিতরণ Logo জাবির হল সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মানহানি, ছাত্রদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত কয়রার জনগণ, নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান  Logo জবির দু’টি হলের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর Logo সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমাদের নিয়োগের কাজ হচ্ছে: রাবি উপাচার্য Logo পলাশবাড়ীতে ভিডব্লিউবি তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ। Logo সাতক্ষীরায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী কোপা মাসুদসহ গ্রেপ্তার-৩ Logo সিরাজগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কলেজ ছাত্র কারাগারে

ভারতকে নিয়ে যে কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন। ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাশ্মীর নিয়ে কোনো দিন আপস করবে না পাকিস্তান। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু—যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ। এইদিন রাওয়ালপিন্ডির সেনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামক একটি আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আসিম মুনির বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যু ধামাচাপা দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহাল রয়েছে।

এসময় তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে বৈষম্য ও অন্যায় থেকেই।

এদিকে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলের অস্থিরতা বেলুচ জনগণের কারণে নয়, বরং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কারণে। এসময় তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসীরা বেলুচ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা ভারতের ছায়া-সংগঠন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রচার পাকিস্তান সহ্য করবে না।

এসময় আসিম মুনির পানি বণ্টন প্রসঙ্গে বলেন, ‘পানি পাকিস্তানের লাল রেখা। ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য আমরা মেনে নেব না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ২৪ কোটি পাকিস্তানির পানির অধিকার নিয়ে আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

উল্লেখ্য, দেশটির আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, এই আলোচনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা

ভারতকে নিয়ে যে কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

আপডেট সময় : ০৪:৪০:১২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির আবারও কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা দিলেন। ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‌‌‌‘কাশ্মীর নিয়ে কোনো দিন আপস করবে না পাকিস্তান। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু—যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ। এইদিন রাওয়ালপিন্ডির সেনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামক একটি আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আসিম মুনির বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যু ধামাচাপা দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহাল রয়েছে।

এসময় তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে বৈষম্য ও অন্যায় থেকেই।

এদিকে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলের অস্থিরতা বেলুচ জনগণের কারণে নয়, বরং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কারণে। এসময় তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসীরা বেলুচ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা ভারতের ছায়া-সংগঠন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রচার পাকিস্তান সহ্য করবে না।

এসময় আসিম মুনির পানি বণ্টন প্রসঙ্গে বলেন, ‘পানি পাকিস্তানের লাল রেখা। ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য আমরা মেনে নেব না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ২৪ কোটি পাকিস্তানির পানির অধিকার নিয়ে আপসের প্রশ্নই ওঠে না।

উল্লেখ্য, দেশটির আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, এই আলোচনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।