সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন জানিয়েছেন, সরকার গঠনের নয় মাস পার হয়ে গেছে, এখনই সময় জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার। মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪–২০২৫: তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই ব্রিফিংয়ে সিপিডি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের নীতি প্রণয়নে ছয়টি খাত নিয়ে সুপারিশমালা উপস্থাপন করে।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে যে সরকারই দায়িত্বে থাকুক, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা থাকলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে বর্তমান বাজেট ঘাটতি, ঋণ নির্ভরতা ও মুদ্রাস্ফীতির চাপে অর্থনীতি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বিনিয়োগ আসবে না এবং কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে না। অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি।’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার গঠনের নয় মাস সময় পেরিয়ে গেছে। কাজেই এখনই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার।’ তিনি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও সেবা খাতে স্থায়ী অগ্রগতি আনতে অর্থনীতির প্রতিটি স্তরে সংস্কার জরুরি।’
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘শুধু সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ার কারণে বিনিয়োগে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে– এমন ধারণা ঠিক নয়। জ্বালানি সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে না পারা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারাও বড় কারণ।’
সিপিডি অর্থনীতির প্রতিটি খাতে দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৃথক টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করেছে। এই টাস্কফোর্সগুলো নীতি বাস্তবায়নের গতি আনবে এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।