শিরোনাম :
Logo বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী Logo জাবি সাংবাদিককে হুমকি ও চাপ প্রয়োগের ঘটনায় ইবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ Logo চুয়াডাঙ্গায় টিকটকারের জুয়ার প্রচারণার বিরুদ্ধে সাদিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন Logo যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই Logo যুদ্ধ হলে ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবই দাঁড়াবে পাকিস্তানের পাশে, মোদিকে কঠোর হুঁশিয়ারি Logo কাশ্মীর নিয়ে ‘আগুনে ঘি’ ঢালল বিবিসি, উত্তপ্ত বার্তা ভারতের Logo প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত Logo রাজনৈতিক দলের ঠিকানা চশমার দোকান, মাদরাসা, ঠিকাদারি অফিস Logo যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo সন্ধ্যার মধ্যে তীব্র বজ্রপাত ও শক্তিশালী কালবৈশাখীর আশঙ্কা

নিউইয়র্ক টাইমসের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন; পাকিস্তানে হামলা করবে ভারত

কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তিও রয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।

হামলার পাঁচদিন পরও ভারত কোনো গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ী করেনি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণও প্রকাশ করেনি। যদিও ভারতীয় কর্মকর্তারা কূটনৈতিকদের জানান যে, অতীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার নজির এবং কিছু প্রযুক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান সংযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনো যথেষ্ট প্রমাণ না দেওয়ায় হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে, নয়তো মনে করছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান এতটাই শক্তিশালী যে, প্রতিক্রিয়ার জন্য কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই।

বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তি যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সতর্কতা ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ বর্তমানে অন্যান্য সঙ্কটে ব্যস্ত, যার ফলে ভারতের ওপর চাপ কম। ভারত সরকার এই বৈশ্বিক সমর্থনকে নিজের পক্ষের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছে।

বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল মার্কি বলেন, ২০১৯ সালের মতোই এবারও ভারত ‘কিছু বড় কিছু’ করার পরিকল্পনা করছে। তবে এবার হামলাকারী গোষ্ঠী ও প্রমাণের বিষয়টি বেশ জটিল। দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট নামক এক অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারতের দাবি, এটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ছদ্মবেশী সংগঠন।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেন, মোদির সামনে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া আর কোনো পথ নেই, কারণ ২০১৬ ও ২০১৯ সালের হামলার পরও ভারত জবাব দিয়েছিল। তবে তিনি আশাবাদী যে, সীমিত উত্তপ্ত পরিস্থিতি হলেও পুরোপুরি যুদ্ধ হবে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়ীর উদ্যোগে হুইল চেয়ার পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিবন্ধী

নিউইয়র্ক টাইমসের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন; পাকিস্তানে হামলা করবে ভারত

আপডেট সময় : ০১:৪৪:১৭ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে এবং হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তান পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তিও রয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে।

হামলার পাঁচদিন পরও ভারত কোনো গোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ী করেনি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রমাণও প্রকাশ করেনি। যদিও ভারতীয় কর্মকর্তারা কূটনৈতিকদের জানান যে, অতীতে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার নজির এবং কিছু প্রযুক্তিগত তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান সংযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনো যথেষ্ট প্রমাণ না দেওয়ায় হয় ভারত আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে, নয়তো মনে করছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের অবস্থান এতটাই শক্তিশালী যে, প্রতিক্রিয়ার জন্য কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই।

বিশ্বের অন্যান্য বড় শক্তি যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন—সতর্কতা ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশ বর্তমানে অন্যান্য সঙ্কটে ব্যস্ত, যার ফলে ভারতের ওপর চাপ কম। ভারত সরকার এই বৈশ্বিক সমর্থনকে নিজের পক্ষের ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছে।

বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল মার্কি বলেন, ২০১৯ সালের মতোই এবারও ভারত ‘কিছু বড় কিছু’ করার পরিকল্পনা করছে। তবে এবার হামলাকারী গোষ্ঠী ও প্রমাণের বিষয়টি বেশ জটিল। দ্য রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট নামক এক অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারতের দাবি, এটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ছদ্মবেশী সংগঠন।

ভারতের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন বলেন, মোদির সামনে সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানো ছাড়া আর কোনো পথ নেই, কারণ ২০১৬ ও ২০১৯ সালের হামলার পরও ভারত জবাব দিয়েছিল। তবে তিনি আশাবাদী যে, সীমিত উত্তপ্ত পরিস্থিতি হলেও পুরোপুরি যুদ্ধ হবে না।