শিরোনাম :
Logo বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর Logo ব্যানসন গ্ৰুপের কোনো ঘরবাড়ি থাকবে না; রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহী Logo নতুন পোপ নির্বাচিত হবে যেভাবে Logo শুল্কযুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রকে যে বার্তা দিলো চীন Logo পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Logo পারভেজ হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের মানববন্ধন Logo পঞ্চগড়ে ট্রাক মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মেকানিক নিহত, আহত সহকারী Logo সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চাঁদপুর সওজ বিভাগ Logo জাবিতে বটতলাসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ওয়াশরুম স্থাপনের দাবি লাল সবুজের Logo যবিপ্রবিতে সক্রিয় তেল চুরির সিন্ডিকেট, হাতেনাতে ধরা

কখন পানি খাবেন, খাওয়ার আগে না পরে

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭০৮ বার পড়া হয়েছে
পানির অপর নাম জীবন। এটা শুধু কথার কথা নয়। এই কথা বৈজ্ঞানিকভাবেও সত্য। দেহে রক্ত, উৎসেচক, হরমোন তৈরি থেকে শুরু করে রেচন পদার্থ বের করে দেওয়া, হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা, মল নরম করাসহ একাধিক জরুরি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানি। এ কারণে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতেই হবে।

তবে পানি পান নিয়ে জটিলতাও কম নেই। অনেকেই বুঝতে পারেন না খাওয়ার আগে না পরে, ঠিক কোন সময়ে পানি পান করলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়, এমনকী হজমশক্তি বাড়ে। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

ঈশানীর কথায়, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফল হবে ভয়াবহ। শুধু তাই নয়, ডিহাইড্রেশনের কারণে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরে টক্সিসিটি বৃদ্ধি সহ একাধিক জটিলতার আশঙ্কাও বাড়ে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে।

​খাওয়ার আগে না পরে পানি পান করা উচিত

​ঈশানীর কথায়, খাওয়ার আগে বা পরে পানি পান করায় কোনও বাধা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে পানি পান করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ, খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই বেশি উপকার পাবেন।

বিশেষ করে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, তারা অবশ্যই খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এই কাজ করতে পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ঠিক একইভাবে, খাওয়ার ৩০ মিনিট পর পানি পান করলে হজম ক্ষমতা বাড়বে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক পেটের সমস্যা কমবে।

খাওয়ার সময় পানি নয়​

অনেকেই খাওয়ার একদম আগে-পরে বা খাওয়ার সময়ই অল্প অল্প করে পানি পান করেন। পুষ্টিবিদ ঈষানীর ভাষায়, এই সময় পানি পান করলে পেটে উপস্থিত অ্যাসিড নিজের কাজটি ঠিকমতো করতে পারে না। ফলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। এই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমসহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশী কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির নিকট হস্তান্তর

কখন পানি খাবেন, খাওয়ার আগে না পরে

আপডেট সময় : ০৮:৪০:১০ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
পানির অপর নাম জীবন। এটা শুধু কথার কথা নয়। এই কথা বৈজ্ঞানিকভাবেও সত্য। দেহে রক্ত, উৎসেচক, হরমোন তৈরি থেকে শুরু করে রেচন পদার্থ বের করে দেওয়া, হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা, মল নরম করাসহ একাধিক জরুরি কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানি। এ কারণে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতেই হবে।

তবে পানি পান নিয়ে জটিলতাও কম নেই। অনেকেই বুঝতে পারেন না খাওয়ার আগে না পরে, ঠিক কোন সময়ে পানি পান করলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়, এমনকী হজমশক্তি বাড়ে। এ ব্যাপারে কথা বলেছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়।

ঈশানীর কথায়, শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার ফল হবে ভয়াবহ। শুধু তাই নয়, ডিহাইড্রেশনের কারণে হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে শরীরে টক্সিসিটি বৃদ্ধি সহ একাধিক জটিলতার আশঙ্কাও বাড়ে। এ কারণে প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতেই হবে।

​খাওয়ার আগে না পরে পানি পান করা উচিত

​ঈশানীর কথায়, খাওয়ার আগে বা পরে পানি পান করায় কোনও বাধা নেই। তবে সেক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে পানি পান করাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ, খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই বেশি উপকার পাবেন।

বিশেষ করে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি, তারা অবশ্যই খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এই কাজ করতে পারলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ঠিক একইভাবে, খাওয়ার ৩০ মিনিট পর পানি পান করলে হজম ক্ষমতা বাড়বে। এমনকী কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক পেটের সমস্যা কমবে।

খাওয়ার সময় পানি নয়​

অনেকেই খাওয়ার একদম আগে-পরে বা খাওয়ার সময়ই অল্প অল্প করে পানি পান করেন। পুষ্টিবিদ ঈষানীর ভাষায়, এই সময় পানি পান করলে পেটে উপস্থিত অ্যাসিড নিজের কাজটি ঠিকমতো করতে পারে না। ফলে খাবার সহজে হজম হতে চায় না। এই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমসহ একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।