ব্রাজিলের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জানিয়েছেন টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতলে জাতীয় দল থেকে অবসর নিবেন।
তবে প্রথম শিরোপা জয়ের আনন্দ অন্য সব শিরোপার চেয়ে আলাদা বলেও জানান মার্টিনেজ।
ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটা আর্জেন্টিনা দলের ভেতর অন্যরকম এক বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। আর এক বছর পরই ২০২৬ বিশ্বকাপ। মেসিকে ছাড়াই এমন পারফরম্যান্সের পর আরও একটা বিশ্বকাপ জয়ের বিশ্বাস প্রবল ভাবেই জুগিয়েছে দলটা।
সুপার ক্ল্যাসিকোতে বরাবরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই ছিল টান টান উত্তেচনা। মাঠ ও মাঠের বাইরে কথার লড়াই। তবে সবশেষ ম্যাচে আলবিসেলেস্তেরা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সেই ম্যাচে ছিলেন না দলটার প্রাণ ভোমড় লিওনেল মেসি। আক্রমণ ভাগের অন্যতম সেনানী লাউতারো মার্টিনেজও মিস করেছেন সেই ম্যাচ। তারপরও ব্রাজিলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর তাতেই বুঝা যায় বিশ্বকাপ শিরোপাটা ধরে রাখার রসদ আছে স্ক্যালোনির দলের।
২০২২ সালের মতো ২০২৬ সালেও যদি লিওনেল মেসিরা শিরোপা ধরে রাখতে পারে তা হলে তো সোনায় সোহাগা। শিরোপা জয়ের সেই আনন্দে কি করবেন ফুটবলাররা? আর যে যাই করুক আর্জেন্টিনার বাজপাখি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঘোষণা দিয়েছেন চমকে দেয়ার মতো। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলে নাকি ফুটবলকেই বিদায় বলে দিবেন। বিপ্লে নামক একটি ওয়েবসাইটে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ার সম্পর্কে কথা বলেছেন।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়, অবসরে চলে যাবো। টানা দুইবার বিশ্বকাপ জেতা সাধারণ বিষয় নয়। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য জায়গা তৈরি করে দিতে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিবো।’
টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতিটাই বা কেমন হবে? সেই বিষয়েও কথা বলেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক বলেন, ‘২০২২ বিশ্বকাপের অনুভূতির মতো কিছুই হবে না। আমরা সবাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিততে দেখেছি। আমি জন্মের পর থেকে এটা দেখিনি। এখন সাত বছরের একটা বাচ্চাও জানে সে কী অনুভব করেছে। আপনি খুশি হবেন, উদযাপনও করবেন, কিন্তু আগের মতো অনুভূতি আর আসবে না।’
খোলাশা করেছেন ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ফাইনালের আগে কি করেছিলেন।
মার্টিনেজ বলেন, ‘ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের আগে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে অল অফ ডিউটি খেলছিলাম। স্ন্যাকস খাওয়া থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল ব্রিফিং শুরু হওয়া পর্যন্ত। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পর একটা কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। কোলো মুয়ানির সেই শট ঠেকিয়ে দেয়ার পর প্রায় তিন মাস রাতে ঘুম আসতো না। যার জন্য মনোবিদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিলেন।’
৩২ বছর বয়সি এই ফুটবলার এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলেছেন ৫১ ম্যাচ। যেখানে ২টি কোপা আমেরিকা ও ১টি বিশ্বকাপ জিতেছেন।