বুধবার | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | শীতকাল
শিরোনাম :
Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের মিলাদ ও দোয়া Logo বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেন ধানের শীষের এমপি প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক Logo চাঁদপুরে গণফোরামের বিজয় দিবসের আলোচনা সভা এ বিজয় কোনো একক দলের নয়, এটি জাতির ঐতিহাসিক অর্জন-এডভোকেট সেলিম আকবর Logo মহান বিজয় দিবসে চাঁদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় সংবর্ধনা Logo চাঁদপুরে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ করল সর্বস্তরের মানুষ Logo কয়রায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত Logo সাতক্ষীরা–খুলনা মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাহেন্দ্রা উল্টে মা–ছেলে নিহত, আহত ৮ Logo খুবিতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপণ Logo মহান বিজয় দিবসে ইবির জুলাই ৩৬ হলের শ্রদ্ধাঞ্জলি

শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদের বেচা-কেনা

মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নতুন জামাকাপড় কিনে ঈদের আনন্দটা আরও বাড়িয়ে তুলেন।

এরই মধ্যে শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। শহরের নিউ মার্কেট, মুন্সি বাজার, নয়ানী বাজার মার্কেট, তিনানিবাজার মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।

ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

ঈদের জামায় এবার মেয়েদের জন্য পাকিস্তানি ড্রেস, থ্রিপিস, শাড়ি, আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। ‘‘আলহামদুলিল্লাহ ব্যবসা অনেক ভালো। এবার ঈদে নতুন নতুন কালেকশন আছে।” বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের দিনগুলোতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ঈদের কয়েকদিন আগে কেনাকাটা করবে বলে জানিয়েছেন ফুটপাতের দোকানীরা।

বস্ত্র মালিক সমিতি জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্র‍ের দাম মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে। সামনে আরও ভিড় বেশি থাকবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে খুবির ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এসোসিয়েশন (এনটিএ) এর বিবৃতি

শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদের বেচা-কেনা

আপডেট সময় : ১০:১৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

মুসলমানদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ। এই আনন্দে প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নতুন জামাকাপড় কিনে ঈদের আনন্দটা আরও বাড়িয়ে তুলেন।

এরই মধ্যে শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। শহরের নিউ মার্কেট, মুন্সি বাজার, নয়ানী বাজার মার্কেট, তিনানিবাজার মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।

ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

ঈদের জামায় এবার মেয়েদের জন্য পাকিস্তানি ড্রেস, থ্রিপিস, শাড়ি, আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ১৫ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। ‘‘আলহামদুলিল্লাহ ব্যবসা অনেক ভালো। এবার ঈদে নতুন নতুন কালেকশন আছে।” বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের দিনগুলোতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। ঈদের কয়েকদিন আগে কেনাকাটা করবে বলে জানিয়েছেন ফুটপাতের দোকানীরা।

বস্ত্র মালিক সমিতি জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্র‍ের দাম মানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে। সামনে আরও ভিড় বেশি থাকবে।