শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

মাত্র ৪৮ ঘন্টায় হত্যার রহস্য উম্মোচন! মাদকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লিটনকে জবাই করে হত্যা করে বন্ধুরা

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৭:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • ৮৪৯ বার পড়া হয়েছে

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

পাওনা টাকা পরিশোধ না করে নতুন মোবাইল ফোনটি হস্তগত করার জন্যই বন্ধুদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় লিটন। হত্যাকারীরা সবাই মাদকাসক্ত একত্রে মাদক গ্রহণের পর লিটনকে নেশা ভালো হবে বলে একটি ট্যাবলেট খাইতে বলে তার বন্ধু নূর হোসেন। বন্ধুর কথামত নেশার সাথে অচেতন  ট্যাবলেট খাইলে লিটন অচেতন হয়ে পড়ে।

এরপর নূর হোসেনের নেতৃত্বে আনোয়ারসহ তিন-চারজন মিলে লিটনকে জবাই করে হত্যা করে।

এদিকে  পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ৪৮  ঘণ্টার মধ্যে এই আলোচিত হত্যায় জড়িত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে খুনিরা আদালতে লিটন হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। পুরো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শুধুমাত্র পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য।

আসামিদের নিকট মৃত লিটন ধারে টাকা দিয়েছিল আসামিরা ইতিমধ্যেই আদালতে লিটন হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে।

খুনের বর্ণনা শুনলে গা শিউরে ওঠে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন গাইবান্ধা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল  আসাদুজ্জামান আসাদ এর নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের চৌকস একটি দল দ্রুততম সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান গত ৪ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জের হীরক পাড়ার একটি কলা বাগানের ভীতর হতে গলাকাটা অবস্থায় লিটন কে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা আশরাফ আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান মামলা দায়েরের পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনে ব্যবহৃত চাকু ও মৃত লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদের আসামি নূর হোসেন ও আনোয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি বরাত দিয়ে বলেন আসামিরা পরস্পর বন্ধু এবং একই এলাকার বাসিন্দা প্রায়ই তারা একত্রে নির্জন স্থানে মাদক সেবন করতো।

ঘটনার দিন তারা একত্রে মাদক সেবনের পর অচেতন লিটনের হাত পা চেপে ধরে জবাই করে।

গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার গোবিন্দগঞ্জ থানা ভাগ দরিয়া গ্রামের জামিরুল  ইসলামের ছেলে ও নূর হোসেনে একই গ্রামের বাচ্চা মিয়ার ছেলে এছাড়াও আসামি রনি কুমার মহন্ত বর্ধনকুঠি গ্রামের বিস্বজিত মহন্তের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

মাত্র ৪৮ ঘন্টায় হত্যার রহস্য উম্মোচন! মাদকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লিটনকে জবাই করে হত্যা করে বন্ধুরা

আপডেট সময় : ০৭:৫৭:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :

পাওনা টাকা পরিশোধ না করে নতুন মোবাইল ফোনটি হস্তগত করার জন্যই বন্ধুদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় লিটন। হত্যাকারীরা সবাই মাদকাসক্ত একত্রে মাদক গ্রহণের পর লিটনকে নেশা ভালো হবে বলে একটি ট্যাবলেট খাইতে বলে তার বন্ধু নূর হোসেন। বন্ধুর কথামত নেশার সাথে অচেতন  ট্যাবলেট খাইলে লিটন অচেতন হয়ে পড়ে।

এরপর নূর হোসেনের নেতৃত্বে আনোয়ারসহ তিন-চারজন মিলে লিটনকে জবাই করে হত্যা করে।

এদিকে  পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ৪৮  ঘণ্টার মধ্যে এই আলোচিত হত্যায় জড়িত রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে খুনিরা আদালতে লিটন হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। পুরো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে শুধুমাত্র পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য।

আসামিদের নিকট মৃত লিটন ধারে টাকা দিয়েছিল আসামিরা ইতিমধ্যেই আদালতে লিটন হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে।

খুনের বর্ণনা শুনলে গা শিউরে ওঠে এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন গাইবান্ধা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি সার্কেল  আসাদুজ্জামান আসাদ এর নেতৃত্বে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের চৌকস একটি দল দ্রুততম সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান গত ৪ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জের হীরক পাড়ার একটি কলা বাগানের ভীতর হতে গলাকাটা অবস্থায় লিটন কে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা আশরাফ আলী বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো জানান মামলা দায়েরের পর থেকেই তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

আসামি নূর হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনে ব্যবহৃত চাকু ও মৃত লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদের আসামি নূর হোসেন ও আনোয়ার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি বরাত দিয়ে বলেন আসামিরা পরস্পর বন্ধু এবং একই এলাকার বাসিন্দা প্রায়ই তারা একত্রে নির্জন স্থানে মাদক সেবন করতো।

ঘটনার দিন তারা একত্রে মাদক সেবনের পর অচেতন লিটনের হাত পা চেপে ধরে জবাই করে।

গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার গোবিন্দগঞ্জ থানা ভাগ দরিয়া গ্রামের জামিরুল  ইসলামের ছেলে ও নূর হোসেনে একই গ্রামের বাচ্চা মিয়ার ছেলে এছাড়াও আসামি রনি কুমার মহন্ত বর্ধনকুঠি গ্রামের বিস্বজিত মহন্তের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।