শিরোনাম :
Logo ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার Logo বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে আটক ৪৪৮ জন Logo ফ্রান্সে ভয়াবহ দাবানল, আহত শতাধিক মানুষ Logo জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা Logo বীরগঞ্জে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা Logo দিনমজুরি করেও স্বপ্ন দেখেছে আইনজীবী হওয়ার, পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হলেও পড়ালেখার ভবিষ্যৎ টাকার অভাবে অনিশ্চিৎ Logo কুবিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দায়িত্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা! Logo মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Logo সুপারস্টার ডি এ তায়েব অফিসিয়াল ফ্যান ক্লাবের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী” শিশু শিল্পী টুনটুনির জন্মদিন উদযাপন Logo রাবিতে ডাইনিং সংকটসহ ৫ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

আরও বাড়ল রিজার্ভ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১১:০০:১৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • ৭৬৯ বার পড়া হয়েছে

আরও বাড়ল রিজার্ভ

অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদের পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভও বেড়েছে। ঈদের সময় ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়া রপ্তানি আয়ও এসেছে। এরপরও মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হালনাগাদ এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২ জুন দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থাৎ গত বুধবার সেটি ২৬ কোটি ডলার বেড়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার হয়েছে।

 

একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ডলার। চলতি মাসের শুরুতে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। ১২ জুন সেটি বেড়ে হয় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গত বুধবার বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

 

গত মাসের শুরুতে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সপ্তাহে আমদানি বিল পরিশোধ বাবদ রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার দেওয়া হয়। তাতে গত ১৫ মে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারে নেমে যায়। তখন বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে হয় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ডলার। পরের পাঁচ সপ্তাহে অবশ্য মোট রিজার্ভ বেড়েছে।

 

আইএমএফ জুনের শেষ সপ্তাহে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, দেশে চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগের মাসগুলোর একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১১ কোটি ৮৬ লাখ, ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ, ৯৫ কোটি ৬ লাখ, ১০০ কোটি ৬৬ লাখ ও ১০০ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার। গত মে মাসে এসেছিল ২২৫ কোটি ডলার যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ধর্মীয় উৎসবগুলোকে সামনে রেখে দেশের অভিবাসী কর্মীরা সাধারণত বেশি অর্থ পাঠান।

 

এদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাস বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের প্রায় সমান রেমিট্যান্স এসে পড়েছে। আর গত এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে ১৯৬ কোটি ডলার, যা ১০ শতাংশের বেশি। এপ্রিলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছিলেন ২০৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময় অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯৪১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১৯ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগর বছর প্রায় তিনশত কোটি টাকা বেশি এসেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

 

সদ্য বিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে দেশে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ও ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

আরও বাড়ল রিজার্ভ

আপডেট সময় : ১১:০০:১৩ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

আরও বাড়ল রিজার্ভ

অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদের পর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রবাসী আয় বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভও বেড়েছে। ঈদের সময় ১৪ দিনে ১৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়া রপ্তানি আয়ও এসেছে। এরপরও মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের নিচে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) হালনাগাদ এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২ জুন দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৫২ কোটি ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থাৎ গত বুধবার সেটি ২৬ কোটি ডলার বেড়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার হয়েছে।

 

একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ কোটি ৮২ লাখ ডলার। চলতি মাসের শুরুতে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ডলার। ১২ জুন সেটি বেড়ে হয় ১ হাজার ৯২০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গত বুধবার বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ বেড়ে ১ হাজার ৯৫২ কোটি ৭৯ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

 

গত মাসের শুরুতে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ডলার। দ্বিতীয় সপ্তাহে আমদানি বিল পরিশোধ বাবদ রিজার্ভ থেকে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ১৬৩ কোটি ডলার দেওয়া হয়। তাতে গত ১৫ মে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৩৯০ কোটি ডলারে নেমে যায়। তখন বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে হয় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ডলার। পরের পাঁচ সপ্তাহে অবশ্য মোট রিজার্ভ বেড়েছে।

 

আইএমএফ জুনের শেষ সপ্তাহে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তিতে ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক বাজেট সহায়তা হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিতে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, দেশে চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে দেশে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগের মাসগুলোর একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ১১১ কোটি ৮৬ লাখ, ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ, ৯৫ কোটি ৬ লাখ, ১০০ কোটি ৬৬ লাখ ও ১০০ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির ঈদের আগে স্বাভাবিকভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার। গত মে মাসে এসেছিল ২২৫ কোটি ডলার যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ধর্মীয় উৎসবগুলোকে সামনে রেখে দেশের অভিবাসী কর্মীরা সাধারণত বেশি অর্থ পাঠান।

 

এদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৩৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাস বাকি থাকতেই আগের অর্থবছরের প্রায় সমান রেমিট্যান্স এসে পড়েছে। আর গত এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে ১৯৬ কোটি ডলার, যা ১০ শতাংশের বেশি। এপ্রিলে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছিলেন ২০৪ কোটি ডলার। আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের একই সময় অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মে মাস পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯৪১ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৯১৯ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার মার্কিন ডলার। এর আগর বছর প্রায় তিনশত কোটি টাকা বেশি এসেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

 

সদ্য বিদায়ী মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। গত এপ্রিল, মার্চ, ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারিতে দেশে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৪ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার, ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার, ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ও ২১০ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।