শিরোনাম :

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ইরানের ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন ট্রাম্প

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭১৮ বার পড়া হয়েছে
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম দফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে, যা ইরানের ‘তেল নেটওয়ার্ক’ লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এমন প্রতিষ্ঠান, জাহাজ এবং ব্যক্তিরা রয়েছেন, যারা ইতোমধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের এক নির্বাহী আদেশের দুই দিন পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো, যা ইরানের ওপর পুনরায় ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের উদ্যোগের অংশ।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরানি সরকার তাদের তেল থেকে পাওয়া রাজস্ব ব্যবহার করে পরমাণু কর্মসূচি, প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদন এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব ক্ষতিকর কার্যক্রমের অর্থায়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেছিল। বাইডেন প্রশাসন এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলেও, একাধিক দফা আলোচনার পরও তা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা ইরানের ‘বিধ্বংসী ও অস্থিতিশীলতামূলক আচরণ’ বরদাশত করবে না। অন্যদিকে, ইরান বরাবরই তার তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে ‘ডাকাতি’ বলে অভিহিত করেছে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে না। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ক্রমশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াচ্ছে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করলেও, অন্যদিকে কূটনৈতিক সংলাপের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রেখেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি চাই ইরান একটি মহান ও সফল দেশ হোক, তবে এমন এক দেশ, যার পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না।’

তেহরান ইতোমধ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে জাতিগত নিধনের শামিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদপত্রের মানোন্নয়নে হচ্ছে টাস্কফোর্স

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ইরানের ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৪২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম দফার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে, যা ইরানের ‘তেল নেটওয়ার্ক’ লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় এমন প্রতিষ্ঠান, জাহাজ এবং ব্যক্তিরা রয়েছেন, যারা ইতোমধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের এক নির্বাহী আদেশের দুই দিন পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো, যা ইরানের ওপর পুনরায় ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের উদ্যোগের অংশ।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরানি সরকার তাদের তেল থেকে পাওয়া রাজস্ব ব্যবহার করে পরমাণু কর্মসূচি, প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন উৎপাদন এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সহায়তা দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এসব ক্ষতিকর কার্যক্রমের অর্থায়ন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় চীন, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করেছিল। বাইডেন প্রশাসন এই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে চাইলেও, একাধিক দফা আলোচনার পরও তা সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, তারা ইরানের ‘বিধ্বংসী ও অস্থিতিশীলতামূলক আচরণ’ বরদাশত করবে না। অন্যদিকে, ইরান বরাবরই তার তেল খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে ‘ডাকাতি’ বলে অভিহিত করেছে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছে না। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ক্রমশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াচ্ছে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করলেও, অন্যদিকে কূটনৈতিক সংলাপের সম্ভাবনাও উন্মুক্ত রেখেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি চাই ইরান একটি মহান ও সফল দেশ হোক, তবে এমন এক দেশ, যার পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না।’

তেহরান ইতোমধ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞদের মতে জাতিগত নিধনের শামিল।