শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির কবলে বাবা-ছেলে: কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ টাকা লুট Logo চুয়াডাঙ্গার আলোকদিয়ায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নিহত অজ্ঞাত নারীর পরিবারকে খুজছে পুলিশ Logo মাওলানা নাসির উদ্দিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলার এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মনোনীত Logo ঈদুল আযহার দুটি নাটকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং সংগীত শিল্পী সুমন মাহমুদ Logo জাতীয় নাগরিক পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা Logo চুয়াডাঙ্গায় দুই দেশের বাহিনীর মানবতায় মায়ের মরদেহ দেখল দুই মেয়ে Logo ‘নগরভবনে জনদুর্ভোগের দায় অন্তর্বর্তী সরকারের’ Logo সাতজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ দিলেন সালাহউদ্দিন Logo পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে Logo টানা বিক্ষোভের মুখে মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাচ্যুত

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৭২৩ বার পড়া হয়েছে

শুভ, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয় দুইদল শিক্ষার্থী।

বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, জিওগ্রাফি বিষয়টি পিএসসিতে নিবন্ধিত সাবজেক্ট, যার সাবজেক্ট কোড রয়েছে (৩১১)। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি বা শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স কোনটিই পিএসসি-তে নিবন্ধিত নেই সাবজেক্ট হিসেবে। যে কারণে জিওগ্রাফি না থাকলে আমরা বিসিএস (শিক্ষা) সহ জিওগ্রাফির নিবন্ধিত সরকারী চাকরিতে আবেদন করতে পারব না। বিভাগের নাম জিওগ্রাফি না রাখার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, কারণ জব সেক্টরে তীব্রভাবে সুযোগ কমে যাবে।

অপরদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পূর্বে আমাদের বিভাগের নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি। পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা একটি ন্যাক্কারজনক ও শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত একটি কাজ। আমরা এটার যথোপযুক্ত সমাধান চাই। এটা নিয়ে আমরা দাবি জানালেও গত ৫ মাস ধরে টালবাহানা করা হচ্ছে। যদি এরকম ভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো আর এজন্য দায়ী থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‌।

এদিকে শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এ সময় পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টির একটা যথাযথ সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা আমাদের কাছে যেসব দাবি দাওয়া দিয়েছ, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তোমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক আমরা সেটা চাই না। একাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর হয় এমন একটা সিদ্ধান্তই আসবে।

ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির কবলে বাবা-ছেলে: কুপিয়ে ও পিটিয়ে নগদ টাকা লুট

আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫

শুভ, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রশাসন ভবনের সামনে জড়ো হয় দুইদল শিক্ষার্থী।

বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, জিওগ্রাফি বিষয়টি পিএসসিতে নিবন্ধিত সাবজেক্ট, যার সাবজেক্ট কোড রয়েছে (৩১১)। কিন্তু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজি বা শুধু এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স কোনটিই পিএসসি-তে নিবন্ধিত নেই সাবজেক্ট হিসেবে। যে কারণে জিওগ্রাফি না থাকলে আমরা বিসিএস (শিক্ষা) সহ জিওগ্রাফির নিবন্ধিত সরকারী চাকরিতে আবেদন করতে পারব না। বিভাগের নাম জিওগ্রাফি না রাখার পরিকল্পনা শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত, কারণ জব সেক্টরে তীব্রভাবে সুযোগ কমে যাবে।

অপরদিকে বিভাগের নাম পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পূর্বে আমাদের বিভাগের নাম ছিল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি। পরবর্তীতে স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে বিভাগের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, যা একটি ন্যাক্কারজনক ও শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন জনিত একটি কাজ। আমরা এটার যথোপযুক্ত সমাধান চাই। এটা নিয়ে আমরা দাবি জানালেও গত ৫ মাস ধরে টালবাহানা করা হচ্ছে। যদি এরকম ভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো আর এজন্য দায়ী থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‌।

এদিকে শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। এ সময় পরবর্তী একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টির একটা যথাযথ সমাধানের আশ্বাস দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমরা আমাদের কাছে যেসব দাবি দাওয়া দিয়েছ, সেগুলো প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তোমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক আমরা সেটা চাই না। একাডেমিক কাউন্সিলে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর হয় এমন একটা সিদ্ধান্তই আসবে।