শিরোনাম :
Logo হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ Logo কচুয়ায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেল পুরস্কার পেল ১০ শিশু-কিশোর Logo চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১০ Logo দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের মতো কিছুই ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিরাপদ সড়ক চাই উদ্যোগে ডা. আমিনুল ইসলামকে ফুলেল সংবর্ধনা Logo আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক মাদক সম্রজ্ঞী মিনি বেগম মাদক বিক্রয়কালে হাতেনাতে গ্রেফতার Logo ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের আয়োজন Logo নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে না হলে দেশ অস্থিতিশীল হতে পারে, রয়টার্সকে মঈন খান Logo কলকাতাকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের প্রথম জয় Logo অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে চমক, তালিকায় ২ টেস্ট খেলা ব্যাটার

নগদ টাকার সংকটে ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৭১৯ বার পড়া হয়েছে

নগদ টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ অর্থের প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে এসএমই ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীরা বেশি বিপাকে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, জমা রাখা বড় অঙ্কের টাকা একসঙ্গে উত্তোলন করতে পারছেন না অনেকেই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদামতো অর্থ না পাওয়ায় ওই ব্যাংকগুলোর হিসাবধারী ব্যবসায়ীরা ও উদ্যোক্তারা সংকটে পড়েছেন। প্রয়োজনমতো অর্থ তুলতে না পারায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি এসব ব্যাংকে এলসি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সংকটের কারণে তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছে না বিদেশি ব্যাংকগুলো।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রথীন্দ্র নাথ পাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিস্ট্রিবিউটর আছে, যাদের টাকা আটকা পড়েছে। তাদের একটু ঝামেলা হচ্ছে। যারা ব্যাংকে বেশি টাকা রাখে না, তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা চাপ নেই। তারা নিয়মিত আমাদের পণ্য কেনে, বিক্রি করে ও টাকা দেয়। মূলত ডিফল্ট ব্যাংকে যাদের হিসাব ছিল, তারা টাকা তুলতে পারছে না।’

রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু গ্রাহক স্বল্প পরিমাণের টাকা উত্তোলন করছেন। তবে একই ব্যাংকের অন্য শাখায় চাহিদামতো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কাউন্টার থেকে বলা হয়, অনলাইন সেবা বন্ধ থাকায় টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

এই ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে মো. জুয়েল নামের এক গ্রাহকের। তিনি একটি জুয়েলার্সের মালিক। তিনি জানান, ‘সব সময় এই ব্যাংকে ১৪-১৫ লাখ টাকা জমা থাকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১২ লাখ টাকা ধাপে ধাপে তুলে ফেলি। সব টাকা একসঙ্গে পাইনি। কয়েকবার চেক নিয়ে আসতে হয়েছে। সময় নষ্ট করতে হয়েছে। এই টাকা তুলে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। আরো দুই লাখ টাকা আটকে আছে, যা ধীরে ধীরে তুলছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ওই অবস্থায় কে টাকা রাখবে বলেন? এখন এই ব্যাংক থেকে কম লেনদেন করি। কারণ চেক দিলে যদি আটকে দেয়, তাহলে তো ব্যবসা করতে পারব না। তবে এখান থেকে বলল, এখন থেকে যা টাকা রাখবেন, সেগুলো তুলতে পারবেন।’একটি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) বলেন, ‘এখনো আমাদের নগদ টাকার সংকট আছে। আমরা গ্রাহকদের প্রতিদিনই টাকা দিচ্ছি। কিন্তু একই গ্রাহককে বলে দিচ্ছি, সপ্তাহে দুই দিন নিয়েন। এখন মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছে। ব্যাংক তো আর কোথাও চলে যাবে না। আগে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল, সেটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে। আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে।’

কোহিনুর অ্যাগ্রো কেমিক্যালের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘এরা প্রায় এক বছর ধরে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আর গত সরকারের পতনের পর এটা আরো বেড়েছে। বেশ কয়েকবার এই ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য গিয়েও পাইনি।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার গণহত্যা মামলার প্রতিবেদন জমা; মিলেছে অপরাধের প্রমাণ

নগদ টাকার সংকটে ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ১০:১৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

নগদ টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক সময়ে নগদ অর্থের প্রবাহ কিছুটা বাড়লেও সংকট পুরোপুরি কাটেনি। বিশেষ করে এসএমই ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীরা বেশি বিপাকে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, জমা রাখা বড় অঙ্কের টাকা একসঙ্গে উত্তোলন করতে পারছেন না অনেকেই।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো থেকে চাহিদামতো অর্থ না পাওয়ায় ওই ব্যাংকগুলোর হিসাবধারী ব্যবসায়ীরা ও উদ্যোক্তারা সংকটে পড়েছেন। প্রয়োজনমতো অর্থ তুলতে না পারায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনকি এসব ব্যাংকে এলসি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। সংকটের কারণে তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছে না বিদেশি ব্যাংকগুলো।

এ প্রসঙ্গে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রথীন্দ্র নাথ পাল বলেন, ‘আমাদের কিছু ডিস্ট্রিবিউটর আছে, যাদের টাকা আটকা পড়েছে। তাদের একটু ঝামেলা হচ্ছে। যারা ব্যাংকে বেশি টাকা রাখে না, তাদের ক্ষেত্রে খুব একটা চাপ নেই। তারা নিয়মিত আমাদের পণ্য কেনে, বিক্রি করে ও টাকা দেয়। মূলত ডিফল্ট ব্যাংকে যাদের হিসাব ছিল, তারা টাকা তুলতে পারছে না।’

রাজধানীর পান্থপথে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু গ্রাহক স্বল্প পরিমাণের টাকা উত্তোলন করছেন। তবে একই ব্যাংকের অন্য শাখায় চাহিদামতো টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কাউন্টার থেকে বলা হয়, অনলাইন সেবা বন্ধ থাকায় টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

এই ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে মো. জুয়েল নামের এক গ্রাহকের। তিনি একটি জুয়েলার্সের মালিক। তিনি জানান, ‘সব সময় এই ব্যাংকে ১৪-১৫ লাখ টাকা জমা থাকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১২ লাখ টাকা ধাপে ধাপে তুলে ফেলি। সব টাকা একসঙ্গে পাইনি। কয়েকবার চেক নিয়ে আসতে হয়েছে। সময় নষ্ট করতে হয়েছে। এই টাকা তুলে নিজের কাছে রেখে দিয়েছি। আরো দুই লাখ টাকা আটকে আছে, যা ধীরে ধীরে তুলছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ওই অবস্থায় কে টাকা রাখবে বলেন? এখন এই ব্যাংক থেকে কম লেনদেন করি। কারণ চেক দিলে যদি আটকে দেয়, তাহলে তো ব্যবসা করতে পারব না। তবে এখান থেকে বলল, এখন থেকে যা টাকা রাখবেন, সেগুলো তুলতে পারবেন।’একটি ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) বলেন, ‘এখনো আমাদের নগদ টাকার সংকট আছে। আমরা গ্রাহকদের প্রতিদিনই টাকা দিচ্ছি। কিন্তু একই গ্রাহককে বলে দিচ্ছি, সপ্তাহে দুই দিন নিয়েন। এখন মানুষ ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে পাচ্ছে। ব্যাংক তো আর কোথাও চলে যাবে না। আগে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্ক ছিল, সেটা ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে। আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে।’

কোহিনুর অ্যাগ্রো কেমিক্যালের স্বত্বাধিকারী সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘এরা প্রায় এক বছর ধরে আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আর গত সরকারের পতনের পর এটা আরো বেড়েছে। বেশ কয়েকবার এই ব্যাংকে টাকা তোলার জন্য গিয়েও পাইনি।’