শিরোনাম :
Logo ইরানি এমপিদের একযোগে স্লোগান—‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ পাকিস্তান!’ Logo রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে সবাই একমত: আমীর খসরু Logo সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে ঐকমত্য সৃষ্টি: সালাহউদ্দিন Logo সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির Logo ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে তানোর উপজেলা যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কী শুধু শোক প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ! Logo রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে ‌‘ঢাকার আসনে বিএনপির মনোনয়নের’ ভুয়া বিজ্ঞপ্তি Logo হোয়াইট হাউজে আকস্মিক ‘নিরাপত্তা’ বৈঠক ডাকলেন ট্রাম্প Logo ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ‍স্পষ্ট করলো ওমান Logo হাসিনা-কামালকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

দ্বিতীয় প্রেমিকের বাড়ির উঠানে মিলল প্রথম প্রেমিকের লাশ

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪২ বার পড়া হয়েছে

অপহরণের সাত দিন পর বাড়ির উঠান থেকে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার হল কলেজছাত্র সুমনের (১৭) মরদেহ। এ ঘটনায় সুমনের প্রেমিকা আন্নি আক্তার (১৯) ও তার আরেক প্রেমিক রবিনসহ (১৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল সোমবার রাতে শহরের সজবরখিলা এলাকার একটি বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত সুমন শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আর আন্নি আক্তার শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে।

অন্যদিকে রবিন শহরের সজবরখিলা এলাকার মো. ফোরকান পুলিশের ছেলে। এ ঘটনায় আন্নির বাবা মো. আজিম উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার ও সুমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে আন্নি পরে রবিন নামে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি সুমনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এদিকে গত ৪ নভেম্বর সোমবার বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে আনেন আন্নি আক্তার। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সুমনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে আন্নি ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে প্রথমে আন্নি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে মেরে শহরের সজবরখিলা এলাকায় তার বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়া গিয়েছিল। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল তিনজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তে আরও কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে এলে তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানি এমপিদের একযোগে স্লোগান—‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ পাকিস্তান!’

দ্বিতীয় প্রেমিকের বাড়ির উঠানে মিলল প্রথম প্রেমিকের লাশ

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:১৮ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

অপহরণের সাত দিন পর বাড়ির উঠান থেকে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার হল কলেজছাত্র সুমনের (১৭) মরদেহ। এ ঘটনায় সুমনের প্রেমিকা আন্নি আক্তার (১৯) ও তার আরেক প্রেমিক রবিনসহ (১৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গতকাল সোমবার রাতে শহরের সজবরখিলা এলাকার একটি বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত সুমন শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আর আন্নি আক্তার শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ি পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে।

অন্যদিকে রবিন শহরের সজবরখিলা এলাকার মো. ফোরকান পুলিশের ছেলে। এ ঘটনায় আন্নির বাবা মো. আজিম উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া ও আন্নি আক্তার শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত। সেই সুবাদে আন্নি আক্তার ও সুমনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে আন্নি পরে রবিন নামে আরেক ছেলের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি সুমনকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এদিকে গত ৪ নভেম্বর সোমবার বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে আনেন আন্নি আক্তার। তবে এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সুমনের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি এবং পরে আন্নি ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টারসহ কয়েকজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, তারা ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে প্রথমে আন্নি ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করলেও সুমনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে সোমবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে সুমনকে মেরে শহরের সজবরখিলা এলাকায় তার বাড়ির উঠানে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার দেখানো জায়গায় মাটি খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুরো ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করেছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সুমনের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে পাওয়া গিয়েছিল। প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল তিনজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তে আরও কেউ জড়িত থাকার বিষয় উঠে এলে তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।