শিরোনাম :
Logo বাগেরহাটে জামায়াত কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ঝালকাঠিতে হিউম্যান এ্যাকর্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি’র উদ্যোগে “ঈদ উপহার” বিতরণ-২০২৫ অনুষ্ঠিত  Logo কয়রায় ৩ তিন ব্যাপী ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন Logo চুয়াডাঙ্গায় জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাজতির মৃত্যু Logo নিজেই ঠিকাদার! আসেন না অফিসে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান Logo শ্যামনগর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেনর বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ Logo বাজেট আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল: আমীর খসরু Logo দূনীর্তিবাজ কর্মচারীর ক্ষমতা ও আয়ের উৎস কোথায় ফ্যাসিবাদি সরকারের দোসর কচুয়ার দুর্নীতির আরেক নাম মোহাম্মদ কাউসার Logo কচুয়ায় ইটবোঝাই ট্রলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, নিহত ১ Logo রাবিতে শিবিরের দেওয়া কোরবানির জব্দ করে তৎকালীন প্রশাসন ; ৩ বছরেও মেলেনি হদিস

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল

‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন–এই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস জুড়ে দেশব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১২ মে, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ‘জুলাই গণহত্যা’র বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেয় যে, ২০ এপ্রিল-এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, আরও দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়সীমা দুই মাস নির্ধারণ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকাণ্ড চালায়, যার ফলে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

ট্যাগস :

বাগেরহাটে জামায়াত কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৪৪ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

‘জুলাই গণহত্যা’ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন–এই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার-এর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস জুড়ে দেশব্যাপী সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে ‘প্রধান নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত করে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ১২ মে, তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা ‘জুলাই গণহত্যা’র বিষয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ছিলেন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা।

এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেয় যে, ২০ এপ্রিল-এর মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর, আরও দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্তের সময়সীমা দুই মাস নির্ধারণ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা এবং হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ছিলেন শেখ হাসিনা। আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকাণ্ড চালায়, যার ফলে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।