শিরোনাম :
Logo পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’, তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা Logo গজারিয়ায় দুর্ঘটনা রোধে ইউটার্ন নির্মাণের দাবিতে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মানববন্ধন. Logo ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলা চালানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী Logo ইরানি এমপিদের একযোগে স্লোগান—‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ পাকিস্তান!’ Logo রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে সবাই একমত: আমীর খসরু Logo সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে ঐকমত্য সৃষ্টি: সালাহউদ্দিন Logo সারোয়ার তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির Logo ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে তানোর উপজেলা যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কী শুধু শোক প্রকাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ!

হাসিনা-কামালকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিততেই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। 

এর আগে সোমবার (১৭ জুন) আগামী সাত দিনের মধ্যে পলাতক শেখ‌ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তজা মজুমদার এ আদেশ দেন।

শেখ‌ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন। সে দিন আসামিরা উপস্থিত না হলে, আইন অনুযায়ী তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু করা হবে।

এ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই দুই আসামি ভারতে পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এছাড়া এ দিন এই মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি সাবেক আইজিপি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে পহেলা জুন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সে দিন কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪শ’ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তার নির্দেশ, উসকানি, প্ররোচনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরনঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

হাসিনা-কামালকে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিততেই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ। 

এর আগে সোমবার (১৭ জুন) আগামী সাত দিনের মধ্যে পলাতক শেখ‌ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তজা মজুমদার এ আদেশ দেন।

শেখ‌ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাইয়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন। সে দিন আসামিরা উপস্থিত না হলে, আইন অনুযায়ী তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ শুরু করা হবে।

এ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এই দুই আসামি ভারতে পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

এছাড়া এ দিন এই মামলার একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি সাবেক আইজিপি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এর আগে পহেলা জুন শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। সে দিন কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪শ’ ছাত্র-জনতাকে হত্যার দায় শেখ হাসিনার। তার নির্দেশ, উসকানি, প্ররোচনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ।

শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরনঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে।