শিরোনাম :
Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা Logo মডেল সিম্মি হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রেমিক Logo মৃত্যুর গুজবে অভিনেত্রী বললেন ‘আমি বেঁচে আছি’ Logo শান্ত-মুশফিকের ১৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ Logo বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু Logo পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’, তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা Logo গজারিয়ায় দুর্ঘটনা রোধে ইউটার্ন নির্মাণের দাবিতে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মানববন্ধন. Logo ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলা চালানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী Logo ইরানি এমপিদের একযোগে স্লোগান—‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ পাকিস্তান!’

পাহাড় থেকে ধরে পাচার করা হচ্ছিল ১২ হনুমান, বনবিভাগের অভিযানে উদ্ধার

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে

মহেশখালী পাহাড়ে বিচরণ করা হনুমান ধরে খাঁচায় বন্দি করে পাচারের মুহূর্তে পাহাড়ের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১২টি বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী হনুমান উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া নাহিদ।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি এলাকার পাহাড়ের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বিলুপ্ত প্রায় ১২টি বন্যপ্রাণী হনুমান পাচারের উদ্দেশ্যে খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাসহ ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়।

শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া নাহিদ বলেন, মহেশখালীর পাহাড় থেকে বিপুল বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী পাচার করার খবরে বন বিভাগ অভিযান চালিয় ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পাচার চক্রে কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলানের তথ্যমতে, দেশের তিন প্রজাতির হনুমানের দেখা মেলে যার মধ্যে একটি হল কালোমুখ হনুমানের (Hanuman Langur)। বুনো পরিবেশে এদের গড় আয়ু ১৮-৩০ বছর। সাধারণত জুলাই- অক্টোবর বা কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এদের প্রজননকাল।

স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর সাধারণত ১/২টি বাচ্চা প্রসব করে। হনুমানের এই প্রজাতিটি গাছের কঁচিপাতা, শাকসবজি ও ফলমূল, ফুল খায়। তবে বসতবাড়ির কাছাকাছি বসবাস করায় মানুষের খাবারেও এরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তার তথ্যমতে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন)-২০১২ অনুযায়ী হনুমানের এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

মহেশখালী উপজেলার সবচেয়ে বেশি পাহাড়ি অঞ্চল শাপলাপুর ও ছোট মহেশখালী। এসব পাহাড়ি এলাকায় এখনো বন্যপ্রাণীর বিচরণ হয়েছে। পাহাড় কাটা এবং বন্যপ্রাণী নিধনের কারণে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য এখন বিলুপ্ত প্রায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা

পাহাড় থেকে ধরে পাচার করা হচ্ছিল ১২ হনুমান, বনবিভাগের অভিযানে উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:৫১:২৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মহেশখালী পাহাড়ে বিচরণ করা হনুমান ধরে খাঁচায় বন্দি করে পাচারের মুহূর্তে পাহাড়ের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ১২টি বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী হনুমান উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি পাহাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে এসব হনুমান উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া নাহিদ।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাপলাপুরের বারিয়ারছড়ি এলাকার পাহাড়ের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বিলুপ্ত প্রায় ১২টি বন্যপ্রাণী হনুমান পাচারের উদ্দেশ্যে খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাসহ ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়।

শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া নাহিদ বলেন, মহেশখালীর পাহাড় থেকে বিপুল বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী পাচার করার খবরে বন বিভাগ অভিযান চালিয় ১২টি হনুমান উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পাচার চক্রে কারা জড়িত তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলানের তথ্যমতে, দেশের তিন প্রজাতির হনুমানের দেখা মেলে যার মধ্যে একটি হল কালোমুখ হনুমানের (Hanuman Langur)। বুনো পরিবেশে এদের গড় আয়ু ১৮-৩০ বছর। সাধারণত জুলাই- অক্টোবর বা কোনো-কোনো ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এদের প্রজননকাল।

স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর সাধারণত ১/২টি বাচ্চা প্রসব করে। হনুমানের এই প্রজাতিটি গাছের কঁচিপাতা, শাকসবজি ও ফলমূল, ফুল খায়। তবে বসতবাড়ির কাছাকাছি বসবাস করায় মানুষের খাবারেও এরা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তার তথ্যমতে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন)-২০১২ অনুযায়ী হনুমানের এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

মহেশখালী উপজেলার সবচেয়ে বেশি পাহাড়ি অঞ্চল শাপলাপুর ও ছোট মহেশখালী। এসব পাহাড়ি এলাকায় এখনো বন্যপ্রাণীর বিচরণ হয়েছে। পাহাড় কাটা এবং বন্যপ্রাণী নিধনের কারণে পাহাড়ের জীববৈচিত্র্য এখন বিলুপ্ত প্রায়।