নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর গতকাল সোমবার (১৬ জুন) মডেল সিম্মি চৌধুরীর (শীতল) ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের সোনিপথের পুলিশ। একটি গানের ভিডিও শুটিং করতে গিয়ে ‘গলা কাটা লাশ’ হন ২৩ বছর বয়সী এ মডেল। এ ঘটনায় তার কথিত প্রেমিককে আটক করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকা সিম্মিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সুনীল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে সুনীল ও সিম্মির মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়, যা পরে শারীরিক নির্যাতনে রূপ নেয়। সুনীল তাকে বেধড়ক মারধর ও একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মরদেহ গাড়িসহ খালে ফেলে দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে অংশ নিতে পানিপাতের আহার গ্রামে যান অভিনেত্রী। রাত সাড়ে ১০টায় সেখানে পৌঁছান সুনীল। সুনীল তাকে নিজের গাড়িতে নিয়ে যান।
কিছু পানীয় পান করার পর তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। রাত দেড়টায় শীতল তার বোন নেহাকে ভিডিও কলে জানান সুনীল তাকে মারধর করেছে। কিছুক্ষণ পর নেহা তার বোনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি, কারণ ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সুনীল মডেল সিম্মিকে হত্যা করে গাড়িসহ মরদেহ খালে ফেলে দেন।
রোববার হরিয়ানা পুলিশ সোনিপাতের একটি খাল থেকে সুনীলের গাড়ি উদ্ধার করে। তবে গাড়ির ভেতরে সিম্মি ছিলেন না। এদিকে সুনীল হাসপাতালে পৌঁছে দাবি করেন যে গাড়িটি খালে পড়ে গিয়েছিল। তিনি কোনোমতে সাঁতরে প্রাণ বাঁচালেও সিম্মি ডুবে যান। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময়েও শীতলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সোমবার পানিপাত জেলার খারখোদার রিলায়েন্স খাল থেকে গলা কাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাতে ও বুকে উল্কিচিত্র দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। মরদেহে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
এরপর সুনীলকে আটক করা হলে ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন তিনি। তাছাড়া পুলিশ আরও জানিয়েছে, সিম্মি ও সুনীলের মধ্যে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল। সুনীল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সুনীল বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা হওয়ার কথা জানার পর শীতল তা প্রত্যাখ্যান করেন। তবে মডেল সিম্মিও বিবাহিত ছিলেন এবং তার পাঁচ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।
তবে সিম্মি তার প্রেমিক ছাড়া আর কাদের সাথে গানের শুটিং করতে বাড়ি থেকে বের হন তা এখনও জানা যায়নি। তবে তার বোন নেহা মাতলাউড়া থানায় মডেলের নিখোঁজ হওয়ার একটি অভিযোগ দায়ের করেন দুই দিন আগে।