শিরোনাম :
Logo ইবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সিওয়াইবির তদারকি Logo ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হলে আবার জ্বলে উঠবে আগ্নেগিরির মতো তরুণ প্রজন্ম- পঞ্চগড়ে ছাত্র শিবির সভাপতি Logo চুয়াডাঙ্গায় শিকারি পাখি সহ ধরা, মোবাইল কোর্টে জরিমানা Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ

নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৭১৮ বার পড়া হয়েছে

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সিওয়াইবির তদারকি

নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আরব মার্কিনীরা

আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধের শোক আর ক্ষোভ নিয়ে আগামী মার্কিন নির্বাচনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরব-আমেরিকানরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে গিয়ে তারা ক্রমাগত দ্বিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

মিশিগানের গুরুত্বপূর্ণ আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ে এই মুহূর্তে চলছে হতাশা আর ক্ষোভের ঝড়। এই সম্প্রদায়ের নেত্রী লায়লা এলাবেদ বলেন, ‘আমরা শোকাহত, ক্ষুব্ধ। আমাদের হৃদয় ভাঙা। আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ভোট দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, যেখানে কোনো প্রার্থীরই ইসরায়েল যে বোমাবর্ষণ করছে, তা বন্ধের পরিকল্পনা নেই।’

লায়লা এলাবেদ দীর্ঘদিন ধরে ‘আনকমিটেড মুভমেন্ট’-এর নেত্রী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে চাপ দিয়ে আসছেন। তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের ভোটটি তিনি ফাঁকা রাখবেন। ‘আমি ভোট দিবো না, কারণ যারা স্পষ্ট করে বলেননি যে বোমা বর্ষণ বন্ধ হবে, তাদের জন্য আমার সমর্থন নেই।’

অনেক আরব-আমেরিকান যদিও কমলাকে সমর্থন করছেন, কারণ তারা মনে করেন অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে ভালো। তবুও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাবার তার প্রতিশ্রুতির জন্য অনেকেই আবার তাকে সমর্থন দিতে দ্বিধাগ্রস্ত। অন্যদিকে, কিছু আরব আমেরিকান ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত এবং যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে আশার আলো হিসেবে দেখছেন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে কমলাকে শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন।

আরব আমেরিকানদের আরেকটি দল কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষে। এমনকি কেউ কেউ গ্রিন পার্টির প্রার্থী জিল স্টেইনের জন্যও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

ভোটের প্রচারণায় আরব আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো উত্তেজনা না থাকা এটাই প্রমাণ করছে যে, কৌশলগতভাবে তারা এখনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

লেবানিজ আমেরিকান আলিসা হাকিম বলেন, ‘ভোট নিয়ে আমার কোন আশাই নেই।’ ২০২০ সালে তিনি বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন, কিন্তু চার বছরের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি ‘কম খারাপ’ পছন্দের ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে, মিশিগানের ডিয়ারবর্ন শহর, যেখানে আরব আমেরিকানদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য, সেখানে কমলার প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে। ২০২০ সালে বাইডেন ডিয়ারবর্নে ৮০ শতাংশেরও বেশি আরব ভোট পেয়েছিলেন, কিন্তু এবার কমলার প্রচারণা সেখানে প্রত্যাশিত ফলাফল পাচ্ছে না। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা