শিরোনাম :
Logo কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে Logo কেটিএমের নতুন বাইক ভারতের বাজারে আসবে কাল! Logo আপনারেই কিন্তু রিপেয়ার করে দিব, নির্বাহী প্রকৌশলীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসছে নতুন রাজনৈতিক দল, নাম নির্ধারণ Logo জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর ধর্মাচার: হেফাজত Logo ছিনতাইকারীর কবলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী Logo চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসির বাংলা পরীক্ষায় অনুপস্থিত ১১৭৩ জন Logo যথাসময়ে নামাজ পড়ার পুরস্কার Logo ইসলামের দৃষ্টিতে চুপ থাকা

ধূমপান সংশ্লিষ্ট মারণরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে জেনে নিন !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:২৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারে ধূমপানসংশ্লিষ্ট নানা রোগ হতে পারে-এমনটাই চিকিৎসকদের মত। আজকাল যেভাবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ! যেহেতু সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিন ধীরে ধীরে ফুসফুসকে খারাপ করে। ফলে একটা সময়ে গিয়ে ফুসফুস এর ক্যান্সার সহ একাধিক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুলফুস। এটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এরপরই লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে বহন করে পৌঁছে দেয় শরীরের বাকি অংশে। এই প্রক্রিয়াটির করণেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন তো ফুসফুস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।
তাহলে এখন প্রশ্ন নিকোটিনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কেমন ভাবে বাঁচবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ে নিন বাকি লেখাটুকু-

১. একটা বড় মাপের আদার টুকরো নিন
আদায় জিঞ্জেরল নামের একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ফুসফুসকে চাঙ্গা করতেও দারুন কাজে আসে।
২. দুই চামচ হলুদ
এতে রয়েছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। এটিতে একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৩. চারটে ছোট পিঁয়াজ
অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৪. চিনি
ওষুধটি বানাতে প্রায় ২৫০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন পড়বে।
৫. পানি
এক লিটার পানি লাগবে ফুসফুস পরিষ্কার করার এই ঘরোয় ওষুধটি বানাতে।

যে ভাবে ওষুধটি তৈরি করবেন-

১. একটা প্যানে এক লিটার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি মেশান। তারপর পানিটা ফোটান।

২. পানি ফুটতে থাকাকালীনই আদার টুকরোটা পানিতে দিয়ে দিন।
৩. এবার পেঁয়াজটা মেশান। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজগুলি ছোট করে কেটে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. অল্প সময় পর হলুদ মেশান। ততক্ষণ পর্যন্ত পানিটা ফোটান যতক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
৫. এবার আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে এই পানিটি পান করুন টানা কয়েক মাস। তাহলেই দেখবেন ফুসফুস সুস্থ হয়ে উঠবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কর্মস্থলে অনুপস্থিত কর্মচারীকে বেতনসিটে উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন বিল তৈরির অভিযোগ যবিপ্রবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ধূমপান সংশ্লিষ্ট মারণরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে জেনে নিন !

আপডেট সময় : ১২:৫৮:২৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সারে ধূমপানসংশ্লিষ্ট নানা রোগ হতে পারে-এমনটাই চিকিৎসকদের মত। আজকাল যেভাবে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত সাবধান না হলে কিন্তু বিপদ! যেহেতু সিগারেটের তামাকে থাকা নিকোটিন ধীরে ধীরে ফুসফুসকে খারাপ করে। ফলে একটা সময়ে গিয়ে ফুসফুস এর ক্যান্সার সহ একাধিক মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো ফুলফুস। এটি বিশুদ্ধ অক্সিজেনকে লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এরপরই লোহিত রক্ত কণিকা অক্সিজেনকে বহন করে পৌঁছে দেয় শরীরের বাকি অংশে। এই প্রক্রিয়াটির করণেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দেওয়া সম্ভব হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন তো ফুসফুস যদি ঠিক না থাকে, তাহলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে যাবে।
তাহলে এখন প্রশ্ন নিকোটিনের পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে কেমন ভাবে বাঁচবেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ে নিন বাকি লেখাটুকু-

১. একটা বড় মাপের আদার টুকরো নিন
আদায় জিঞ্জেরল নামের একটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। যা শরীরে প্রদাহ কমাতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ফুসফুসকে চাঙ্গা করতেও দারুন কাজে আসে।
২. দুই চামচ হলুদ
এতে রয়েছে কার্কিউমিন নামের একটি উপাদান। এটিতে একই সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
৩. চারটে ছোট পিঁয়াজ
অ্যান্টি-ক্যান্সার প্রপার্টিজ থাকার কারণে নিকোটিনের প্রভাব কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, পিঁয়াজ ফুসফুসের থেকে সব ক্ষতিকর বিষ বের করে দেয়। ফলে ফুসফুস ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৪. চিনি
ওষুধটি বানাতে প্রায় ২৫০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন পড়বে।
৫. পানি
এক লিটার পানি লাগবে ফুসফুস পরিষ্কার করার এই ঘরোয় ওষুধটি বানাতে।

যে ভাবে ওষুধটি তৈরি করবেন-

১. একটা প্যানে এক লিটার পানি নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো চিনি মেশান। তারপর পানিটা ফোটান।

২. পানি ফুটতে থাকাকালীনই আদার টুকরোটা পানিতে দিয়ে দিন।
৩. এবার পেঁয়াজটা মেশান। প্রসঙ্গত, পেঁয়াজগুলি ছোট করে কেটে নিতে ভুলবেন না যেন!
৪. অল্প সময় পর হলুদ মেশান। ততক্ষণ পর্যন্ত পানিটা ফোটান যতক্ষণ না অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে।
৫. এবার আঁচটা বন্ধ করে পানিটা ছেঁকে নিন। যখন দেখবেন পানিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক চামচ করে এই পানিটি পান করুন টানা কয়েক মাস। তাহলেই দেখবেন ফুসফুস সুস্থ হয়ে উঠবে।