প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখা ঝুঁকিপূর্ণ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বেশির ভাগ মানুষই মোবাইল ফোনটিকে রেখে দেন প্যান্টের পকেটে। এভাবে মোবাইল ফোনটি পকেটে রাখলে মানব শরীরে যে ক্ষতি হয়, সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা। পকেটে মোবাইল ফোন রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে মানুষে শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ও প্রজনন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার একদল গবেষক।

লিগ অব নেশন হেলফ অর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিকোলাই কনোরোভ সম্প্রতি মোবাইল ফোন পকেটে রাখার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানের মানুষ যতটা তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণের শিকার হয় এর ৭০ শতাংশই ঘটে নিজের মোবাইল ফোন থেকে।

আর বিভিন্ন গবেষণায় এটি প্রমাণিত, এমন বিকিরণের প্রতি মানুষের শরীর প্রতিক্রিয়াশীল। গবেষকদের মতে, তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণের প্রাথমিক শিকার হয় মানুষের স্নায়ুতন্ত্র। এ ছাড়া প্রজনন অঙ্গও এমন বিকিরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি করে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের। নিকোলাই কনোরোভ অবশ্য স্বীকার করেছে মোবাইল ফোনসেটের তড়িৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণে মানব শরীরের ওপর ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। তবে এটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, মোবাইল ফোনসেট ব্যবহারের অন্তত কিছুটা সতর্কতা মানা উচিত।

স্বাস্থ্য বিশেষক ওয়েবসাইট হেলদিফুডহাউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ফোন হাতে বা ব্যাগে রাখা এবং স্বল্পতম সময়ে কথা শেষ করার মাধ্যমে তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ক্ষতি অনেকাংশেই কমানো যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখা ঝুঁকিপূর্ণ !

আপডেট সময় : ০৫:৪১:৫৫ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৮ মার্চ ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বেশির ভাগ মানুষই মোবাইল ফোনটিকে রেখে দেন প্যান্টের পকেটে। এভাবে মোবাইল ফোনটি পকেটে রাখলে মানব শরীরে যে ক্ষতি হয়, সে বিষয়টি অনেকেরই অজানা। পকেটে মোবাইল ফোন রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এর তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে মানুষে শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ও প্রজনন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার একদল গবেষক।

লিগ অব নেশন হেলফ অর্গানাইজেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিকোলাই কনোরোভ সম্প্রতি মোবাইল ফোন পকেটে রাখার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানের মানুষ যতটা তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণের শিকার হয় এর ৭০ শতাংশই ঘটে নিজের মোবাইল ফোন থেকে।

আর বিভিন্ন গবেষণায় এটি প্রমাণিত, এমন বিকিরণের প্রতি মানুষের শরীর প্রতিক্রিয়াশীল। গবেষকদের মতে, তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণের প্রাথমিক শিকার হয় মানুষের স্নায়ুতন্ত্র। এ ছাড়া প্রজনন অঙ্গও এমন বিকিরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রে সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি করে শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের। নিকোলাই কনোরোভ অবশ্য স্বীকার করেছে মোবাইল ফোনসেটের তড়িৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বিকিরণে মানব শরীরের ওপর ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। তবে এটি কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে, মোবাইল ফোনসেট ব্যবহারের অন্তত কিছুটা সতর্কতা মানা উচিত।

স্বাস্থ্য বিশেষক ওয়েবসাইট হেলদিফুডহাউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ফোন হাতে বা ব্যাগে রাখা এবং স্বল্পতম সময়ে কথা শেষ করার মাধ্যমে তড়িৎ-চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের ক্ষতি অনেকাংশেই কমানো যায়।