শিরোনাম :
Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’ Logo সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, আহত-৩০ Logo খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষ ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ৭০৭ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তান চীন যৌথভাবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেএর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশওধারণা করা হচ্ছে সম্ভাব্য এই জোট দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনাগুলো এখন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক সংযোগ ও ঐক্য বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে জানা গেছে।

চীনের কুনমিং শহরে গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ছিল এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই অংশ। তিন দেশের সিনিয়র কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ভারতের নজর কেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই নতুন উদ্যোগে প্রাক্তন সার্ক সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, কিন্তু তাদের স্বার্থের পার্থক্যের কারণে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলো নতুন এই আঞ্চলিক জোটে যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

জোটের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা। যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সার্ক কার্যত মৃত বলেই বিবেচিত হবে।

সার্ক দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে অকার্যকর ছিল এবং শেষ সম্মেলনটি হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত সম্মেলন ভারত বয়কট করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে একই অবস্থান নেয়।

সম্প্রতি সার্ক আরও এক ধাক্কা খায় যখন পেহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়।

বেশ কিছু মাস ধরেই পাকিস্তান ও চীন নতুন একটি আঞ্চলিক সংগঠন গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছে। তারা মনে করছে, একইমত দেশগুলোকে একত্রে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর জোট তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের স্বার্থের ভিন্নতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) মতো অন্য আঞ্চলিক জোটেও সঠিকভাবে মিশে যেতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিক দুটি ‘এসসিও’ সম্মেলনেই অংশ নেননি।

চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতিতে ‘এসসিও’ প্রায়শই পশ্চিমা শক্তির বিকল্প একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও ভারত ক্রমশ এজেন্ডার সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও

আপডেট সময় : ০৭:০১:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

পাকিস্তান চীন যৌথভাবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছেএর সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বাংলাদেশওধারণা করা হচ্ছে সম্ভাব্য এই জোট দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে

কূটনৈতিক সূত্র মতে, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনাগুলো এখন অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। উভয় দেশই আঞ্চলিক সংযোগ ও ঐক্য বৃদ্ধির জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বলে জানা গেছে।

চীনের কুনমিং শহরে গত ১৯ জুন অনুষ্ঠিত পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক ছিল এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই অংশ। তিন দেশের সিনিয়র কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ভারতের নজর কেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই নতুন উদ্যোগে প্রাক্তন সার্ক সদস্য দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদিও ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, কিন্তু তাদের স্বার্থের পার্থক্যের কারণে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশগুলো নতুন এই আঞ্চলিক জোটে যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

জোটের মূল লক্ষ্য হবে বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করা। যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে সার্ক কার্যত মৃত বলেই বিবেচিত হবে।

সার্ক দীর্ঘদিন ধরে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে অকার্যকর ছিল এবং শেষ সম্মেলনটি হয়েছিল প্রায় এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে নির্ধারিত সম্মেলন ভারত বয়কট করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। সে সময় বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে একই অবস্থান নেয়।

সম্প্রতি সার্ক আরও এক ধাক্কা খায় যখন পেহেলগামে হামলার পর ভারত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়।

বেশ কিছু মাস ধরেই পাকিস্তান ও চীন নতুন একটি আঞ্চলিক সংগঠন গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছে। তারা মনে করছে, একইমত দেশগুলোকে একত্রে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি কার্যকর জোট তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের স্বার্থের ভিন্নতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) মতো অন্য আঞ্চলিক জোটেও সঠিকভাবে মিশে যেতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাম্প্রতিক দুটি ‘এসসিও’ সম্মেলনেই অংশ নেননি।

চীন ও রাশিয়ার উপস্থিতিতে ‘এসসিও’ প্রায়শই পশ্চিমা শক্তির বিকল্প একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও ভারত ক্রমশ এজেন্ডার সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও চীনের নেতৃত্বে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রচেষ্টা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।