শিরোনাম :
Logo আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা” Logo সনদ ইস্যুসহ দুই দফা দাবিতে ইবি উপাচার্যকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি Logo ‘নুরুল হুদার সঙ্গে মব জাস্টিসে দলের কেউ জড়ি‌ত থাকলে ব্যবস্থা নেবে বিএনপি’ Logo জুবাইদা রহমান ভোটার হচ্ছেন, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি Logo জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এমন নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা Logo সাবেক সিইসিসহ আ. লীগের ৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানালো ডিএমপি Logo মব সৃষ্টিতে পুলিশের ভুল থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo কচুয়ায় নিন্দপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর হাই স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান Logo রাবিতে ঐতিহাসিক পলাশী দিবস পালন Logo শেরপুর সরকারি কলেজে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মমতার বাগড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা

  • নীলকন্ঠ ডেস্ক: নীলকন্ঠ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
  • ৭৪০ বার পড়া হয়েছে

তিস্তার মতো গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে খোদ তার নিজের রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল নেত্রীর এমন মনোভাবে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন মমতার রাজ্যের বর্ষীয়ান সাংবাদিকরা।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে নাম ঘোষণার পর বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিলের কারণ তিস্তা চুক্তিতে তার সায় না থাকা।

২০১১ থেকে ২০২৪। গেল প্রায় ১৩ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের অধিকার থাকলেও সেই পানির ন্যায্য ভাগও পায়নি ভাটির দেশের লাখ লাখ মানুষ। যার ফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গে কখনো বন্যা, কখনো তীব্র খরা।

তিস্তার বাগড়া দেয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের নজর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের দিকেও। লোকসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে ফারাক্কার ব্যারাজ লাগোয়া মানুষকে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সরাসরি তিস্তা-গঙ্গা চুক্তি নিয়ে রণংদেহী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

এতেই মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যারা কাজ করেন, সেই বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই ধরনের আচরণ প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভারতীয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, মমতা নিজে মনে করছেন তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনিই একজন প্রধানমন্ত্রী। তার এই চিন্তা-ভাবনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি ভেস্তে দেয়ার পেছনে মমতার অবস্থানের সমালোচনা করেন। বলেন, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন তিনবার মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু মমতা বোঝেননি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতার চরম বৈরি সম্পর্ক। বিশেষ করে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে যেভাবে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার অভিযান শুরু করেছে।

একের পর এক মমতার মন্ত্রী, নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সঙ্গে রেশন, সরকারি বাড়ি বরাদ্দসহ নানা সরকারি চাকরি চুরির কারণে মমতা সরকারকে কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখার মতো কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে মোদি প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কের কারণেই গঙ্গা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার কঠোর অবস্থান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আসছে সিফাত নুসরাতের নতুন বই “অগ্নিকন্যা”

মমতার বাগড়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:০৩:৫৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

তিস্তার মতো গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাবের কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে খোদ তার নিজের রাজ্যজুড়ে। তৃণমূল নেত্রীর এমন মনোভাবে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন মমতার রাজ্যের বর্ষীয়ান সাংবাদিকরা।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে নাম ঘোষণার পর বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফর বাতিলের কারণ তিস্তা চুক্তিতে তার সায় না থাকা।

২০১১ থেকে ২০২৪। গেল প্রায় ১৩ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। বাংলাদেশের অধিকার থাকলেও সেই পানির ন্যায্য ভাগও পায়নি ভাটির দেশের লাখ লাখ মানুষ। যার ফল স্বরূপ উত্তরবঙ্গে কখনো বন্যা, কখনো তীব্র খরা।

তিস্তার বাগড়া দেয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের নজর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির নবায়নের দিকেও। লোকসভা ভোটের সময় মুর্শিদাবাদে প্রচারে গিয়ে ফারাক্কার ব্যারাজ লাগোয়া মানুষকে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সরাসরি তিস্তা-গঙ্গা চুক্তি নিয়ে রণংদেহী রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী।

এতেই মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে যারা কাজ করেন, সেই বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এই ধরনের আচরণ প্রতিবেশী দুই দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ভারতীয় বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, মমতা নিজে মনে করছেন তিনি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নন, তিনিই একজন প্রধানমন্ত্রী। তার এই চিন্তা-ভাবনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি ভেস্তে দেয়ার পেছনে মমতার অবস্থানের সমালোচনা করেন। বলেন, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন তিনবার মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু মমতা বোঝেননি।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতার চরম বৈরি সম্পর্ক। বিশেষ করে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে যেভাবে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার অভিযান শুরু করেছে।

একের পর এক মমতার মন্ত্রী, নেতাকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সঙ্গে রেশন, সরকারি বাড়ি বরাদ্দসহ নানা সরকারি চাকরি চুরির কারণে মমতা সরকারকে কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখার মতো কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে মোদি প্রশাসন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কের কারণেই গঙ্গা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার কঠোর অবস্থান।