১৩০ টিরও বেশি দাতব্য সংস্থা এবং এনজিও বিতর্কিত ইসরায়েল ও মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে। মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনগুলো জানিয়েছে, মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েলের তিন মাসের অবরোধের পর থেকে জিএইচএফ সাহায্য চাইতে গিয়ে ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রায় চার হাজার জন আহত হয়েছে।
অক্সফাম, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং অ্যামনেস্টিসহ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সাহায্য চাইতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের উপর ‘নিয়মিত’ গুলি চালায়।
ইসরায়েল তার সেনাদের ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ গ্রহীতাদের উপর গুলি চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং জিএইচএফ ব্যবস্থাকে সমর্থন করে জানিয়েছে, সংস্থাটি হামাসের হস্তক্ষেপকে উপেক্ষা করে যাদের প্রয়োজন তাদের সরাসরি সহায়তা প্রদান করে।বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম দাতব্য সংস্থার মঙ্গলবারের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশন মানবিক কাজের সব নিয়ম লঙ্ঘন করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০ লাখ মানুষকে জনাকীর্ণ এবং সামরিকায়িত অঞ্চলে জোর করে পাঠানো যেখানে তারা প্রতিদিন গুলিবর্ষণের মুখোমুখি হয়।
গাজায় জিএইচএফ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে, প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে এই স্থানগুলোতে সাহায্যপ্রার্থী মানুষদের হত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জিএইচএফ সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা ইসরায়েল-হামাসের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় পরিচালিত ৪০০টি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রের পরিবর্তে মাত্র চারটি সামরিক-নিয়ন্ত্রিত বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, যার মধ্যে তিনটি গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং একটি মধ্য গাজায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আজ, গাজার ফিলিস্তিনিরা একটি অসম্ভব পরিস্থিতির মুখোমুখি: তাদের পরিবারের জন্য খাবার পৌঁছানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করার সময় অনাহারে থাকা অথবা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছে। নিহতদের মধ্যে এতিম শিশু এবং বৃদ্ধরা রয়েছেন, এই স্থানগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর অর্ধেকেরও বেশি হামলায় শিশুরা আহত হয়েছে।”
জাতিসংঘের সংস্থাগুলি জিএইচএফের ত্রাণ ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়েছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এটিকে ‘স্বভাবতই অনিরাপদ’ বলে অভিহিত করেছেন।