শিরোনাম :
Logo স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর Logo ইবিতে ঠিকাদারদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo জবির স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় আয় ১২ কোটি টাকা Logo বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচন সম্পন্ন Logo আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকার উদ্যোগ না নিলে আমরা বসে থাকব না: নাহিদ ইসলাম Logo সার্কের বিকল্প জোট গঠনে কাজ করছে চীন-পাকিস্তান, রয়েছে বাংলাদেশও Logo পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্টের কর্মসূচি ঘিরে হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo নতুন নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য’

এখনো কি আইফোন-ভক্ত আছে ?

  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  • ৭৫৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাজার বিশ্লেষকেরা আইফোনের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। আইফোন বিক্রি কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু অ্যাপল দেখিয়ে দিয়েছে, এখনো আইফোনপ্রেমীর সংখ্যা অনেক।

সম্প্রতি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় ঘোষণা করেছে। গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অ্যাপলের প্রথম প্রান্তিকে মোট ৭ কোটি ৮২ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে। এটি অ্যাপলের জন্য প্রান্তিকের হিসাবে আইফোন বিক্রির রেকর্ড। এর আগে গত কয়েক প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি কমে যাওয়ার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিশ্লেষকেরা। আবার বিক্রি বেড়ে যাওয়ার ধারায় ফিরল অ্যাপল।

অবশ্য গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সঙ্গে তুলনায় এবারের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের মুনাফা ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এ সময় অ্যাপল রেকর্ড ৭৮৪ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। অ্যাপলের আয় ও মুনাফা দুটোই বাজার বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গেছে।

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক বলেন, ‘আমরা এ কথা জানাতে রোমাঞ্চ বোধ করছি যে প্রান্তিকের হিসাবে অ্যাপলের সর্বোচ্চ আয় হয়ে একটি রেকর্ড গড়েছে। আগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি আইফোন বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আইফোন, সেবা, ম্যাক ও অ্যাপল ওয়াচের আয়ও রেকর্ড ছুঁয়েছে।

অ্যাপলের মোট আয়ের সিংহভাগ আসে আইফোন বিক্রি থেকে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের মোট আয়ের ৬৯ শতাংশ এসেছে স্মার্টফোন বিক্রি থেকে, যা গত বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।

আইফোনে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও অ্যাপলের সর্বশেষ ফোন হিসেবে এখনো মানুষ আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস কিনছে। এ বছর আইফোনের দশকপূর্তি উপলক্ষে নতুন আইফোন আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনের সমস্যা বাজারে অ্যাপলকে এগিয়ে দিয়েছে। পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিক ৭ কোটি ৭৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর স্যামসাংকে টপকাল অ্যাপল।

অবশ্য বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভালো করলেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার হিসাবে বাজার বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস দেননি।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার দখলে এ বছর আইফোনের খুব বেশি উন্নতি হবে না। এ বছর বাজারের ৫২ দশমিক ২ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দখলে থাকবে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাজার দখলে শীর্ষস্থানে থাকবে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম।

 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

এখনো কি আইফোন-ভক্ত আছে ?

আপডেট সময় : ০১:০৮:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বাজার বিশ্লেষকেরা আইফোনের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। আইফোন বিক্রি কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু অ্যাপল দেখিয়ে দিয়েছে, এখনো আইফোনপ্রেমীর সংখ্যা অনেক।

সম্প্রতি অ্যাপল কর্তৃপক্ষ তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় ঘোষণা করেছে। গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অ্যাপলের প্রথম প্রান্তিকে মোট ৭ কোটি ৮২ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে। এটি অ্যাপলের জন্য প্রান্তিকের হিসাবে আইফোন বিক্রির রেকর্ড। এর আগে গত কয়েক প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি কমে যাওয়ার বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিশ্লেষকেরা। আবার বিক্রি বেড়ে যাওয়ার ধারায় ফিরল অ্যাপল।

অবশ্য গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সঙ্গে তুলনায় এবারের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের মুনাফা ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। এ সময় অ্যাপল রেকর্ড ৭৮৪ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। অ্যাপলের আয় ও মুনাফা দুটোই বাজার বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গেছে।

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিম কুক বলেন, ‘আমরা এ কথা জানাতে রোমাঞ্চ বোধ করছি যে প্রান্তিকের হিসাবে অ্যাপলের সর্বোচ্চ আয় হয়ে একটি রেকর্ড গড়েছে। আগের চেয়ে সবচেয়ে বেশি আইফোন বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া আইফোন, সেবা, ম্যাক ও অ্যাপল ওয়াচের আয়ও রেকর্ড ছুঁয়েছে।

অ্যাপলের মোট আয়ের সিংহভাগ আসে আইফোন বিক্রি থেকে। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপলের মোট আয়ের ৬৯ শতাংশ এসেছে স্মার্টফোন বিক্রি থেকে, যা গত বছরের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি।

আইফোনে খুব বেশি পরিবর্তন না আনলেও অ্যাপলের সর্বশেষ ফোন হিসেবে এখনো মানুষ আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস কিনছে। এ বছর আইফোনের দশকপূর্তি উপলক্ষে নতুন আইফোন আনতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনের সমস্যা বাজারে অ্যাপলকে এগিয়ে দিয়েছে। পাঁচ বছর ধরে স্মার্টফোনের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। গত অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে স্যামসাং ইলেকট্রনিক ৭ কোটি ৭৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটেজি অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর স্যামসাংকে টপকাল অ্যাপল।

অবশ্য বছরের প্রথম প্রান্তিকে ভালো করলেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার হিসাবে বাজার বিশ্লেষকেরা অ্যাপলের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস দেননি।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ই-মার্কেটার বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার দখলে এ বছর আইফোনের খুব বেশি উন্নতি হবে না। এ বছর বাজারের ৫২ দশমিক ২ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দখলে থাকবে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাজার দখলে শীর্ষস্থানে থাকবে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্ম।