শিরোনাম :
Logo সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে : সেনাপ্রধান Logo জীবননগরের উথলীতে আবারও রেললাইনে ফাটল, তবে স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল Logo Alpha connect day প্রতিযোগিতায় দেশসেরা জাককানইবির আশরাফুল ইসলাম Logo চাঁদপুর জেলা পুলিশের সফল অভিযান; গত ৩ মাসে ১০৩ জন কিশোর গ্যাং ও ডাকাত আটক Logo শেরপুরে ৫ দফা দাবিতে মউশিক শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান Logo চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা ও ইফতার মাহফিল Logo ইসবগুল যেভাবে খেলে বেশি উপকার মেলে Logo জিহ্বা দেখেই বুঝে নিন শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে Logo ঈদ উদযাপনে পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা আসিফ মাহমুদ এর Logo মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো জাহাজভর্তি মাটিমিশ্রিত কয়লার চালান

ঢাকা ও কলকাতায় বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা

  • আপডেট সময় : ০৪:০০:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • ৭৭১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বন্ধু ভারত আশ্রয় দিয়েছে এক কোটি শরণার্থীকে। বাংলাদেশের দুঃখের দিনের সঙ্গী। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের চরম দুঃসময়ে তাঁরা রণাঙ্গনে কাঁধে কাঁধ রেখেছেন। এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের মানচিত্র। এনে দিয়েছেন পৃথিবীর বুকে বাংলা ভাষার এক স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় যোদ্ধাদের সেই ত্যাগের ইতিহাস উদযাপন করতেই ভারত সরকারের আমন্ত্রণে, বাংলাদেশের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৬ সামরিক কর্তা-সহ তাঁদের স্ত্রী ও সহযোগীদের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান-এর নেতৃত্বে এই মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদলে তিন জন সাংসদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন কর্তা, কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন আমলা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ভারত সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবেই এই সফর।

তাঁরা ফোর্ট উইলিয়মে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে শামিল ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের সুযোগ পাবেন। প্রতিনিধি দলটি শান্তিনিকেতনও যাবে। ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবে দলটি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২৮ জন ভারতীয় সেনা এবং চার জন সেনাকর্তা তাঁদের স্ত্রী ও সহযোগীদের নিয়ে বুধবারই পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আসছে। এই সেনারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধানদের এবং প্রধান স্টাফ অফিসারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ওয়ার কোর্স ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা ক্লাব আয়োজিত নানা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সামিল যোদ্ধারা।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল জি এস সিহোতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জেনারেল জি এস সিহোতা সেনা কপ্টারগুলির ক্যাপ্টেন ছিলেন। আকাশে যুদ্ধে সমরাস্ত্র চালনা ও উর্ধ্বতন কমান্ডারদের পরিচালনার মাধ্যমে অনেক মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি শ্রীহট্টে হেলিবোর্ন অপারেশনেও প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তাঁর হেলিকপ্টার শত্রুপক্ষের আক্রমণের শিকার হওয়ার পরেও তিনি যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন এবং নিরাপদে সফল ভাবে অবতরণ করতে পেরেছেন। সাহসের সঙ্গে এই সব যুদ্ধ পরিচালনায় অদম্য ভূমিকা নেওয়ার জন্য তাঁকে বীরচক্র সাহসিকতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এয়ার কমোডর চন্দ্র মোহন সিংলা, ১৯৭১-এ ভারতীয় বিমানবাহিনীর আর এক তরুণ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একই ভাবে আকাশপথে ব্যাপক যুদ্ধ করেছেন। তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকেও বীর চক্র প্রদান করা হয়। তাঁর সমসাময়িক সহকর্মী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম, স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলম এবং ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাদের পারস্পরিক এই সফর ২০০৫ সালে শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৮০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ১২৫ জন ভারতীয় সেনা কলকাতা এবং ঢাকায় উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনী সব সময় জুলাই আন্দোলনে আহতদের পাশে থাকবে : সেনাপ্রধান

ঢাকা ও কলকাতায় বিজয় দিবস উদ্‌যাপনে পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা

আপডেট সময় : ০৪:০০:১৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বন্ধু ভারত আশ্রয় দিয়েছে এক কোটি শরণার্থীকে। বাংলাদেশের দুঃখের দিনের সঙ্গী। ১৯৭১-এ বাংলাদেশের চরম দুঃসময়ে তাঁরা রণাঙ্গনে কাঁধে কাঁধ রেখেছেন। এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের মানচিত্র। এনে দিয়েছেন পৃথিবীর বুকে বাংলা ভাষার এক স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় যোদ্ধাদের সেই ত্যাগের ইতিহাস উদযাপন করতেই ভারত সরকারের আমন্ত্রণে, বাংলাদেশের ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৬ সামরিক কর্তা-সহ তাঁদের স্ত্রী ও সহযোগীদের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান-এর নেতৃত্বে এই মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিদলে তিন জন সাংসদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন কর্তা, কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন আমলা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। ভারত সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবেই এই সফর।

তাঁরা ফোর্ট উইলিয়মে বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে শামিল ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের সুযোগ পাবেন। প্রতিনিধি দলটি শান্তিনিকেতনও যাবে। ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরবে দলটি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ২৮ জন ভারতীয় সেনা এবং চার জন সেনাকর্তা তাঁদের স্ত্রী ও সহযোগীদের নিয়ে বুধবারই পাঁচ দিনের সফরে ঢাকায় আসছে। এই সেনারা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনীর প্রধানদের এবং প্রধান স্টাফ অফিসারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের ওয়ার কোর্স ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা ক্লাব আয়োজিত নানা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সামিল যোদ্ধারা।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল জি এস সিহোতা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় জেনারেল জি এস সিহোতা সেনা কপ্টারগুলির ক্যাপ্টেন ছিলেন। আকাশে যুদ্ধে সমরাস্ত্র চালনা ও উর্ধ্বতন কমান্ডারদের পরিচালনার মাধ্যমে অনেক মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি শ্রীহট্টে হেলিবোর্ন অপারেশনেও প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তাঁর হেলিকপ্টার শত্রুপক্ষের আক্রমণের শিকার হওয়ার পরেও তিনি যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন এবং নিরাপদে সফল ভাবে অবতরণ করতে পেরেছেন। সাহসের সঙ্গে এই সব যুদ্ধ পরিচালনায় অদম্য ভূমিকা নেওয়ার জন্য তাঁকে বীরচক্র সাহসিকতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। এয়ার কমোডর চন্দ্র মোহন সিংলা, ১৯৭১-এ ভারতীয় বিমানবাহিনীর আর এক তরুণ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একই ভাবে আকাশপথে ব্যাপক যুদ্ধ করেছেন। তাঁর সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকেও বীর চক্র প্রদান করা হয়। তাঁর সমসাময়িক সহকর্মী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শামসুল আলম, স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলম এবং ক্যাপ্টেন শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সেনাদের পারস্পরিক এই সফর ২০০৫ সালে শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৮০ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধা এবং ১২৫ জন ভারতীয় সেনা কলকাতা এবং ঢাকায় উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন।