শিরোনাম :
Logo বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি Logo জাতীয় প্রতীক শাপলা কি রাজনৈতিক চিহ্ন হতে পারে? Logo চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু Logo কচুয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় মাটি ভেঙ্গে হুমকির মুখে দুটি পরিবার Logo ফরিদগঞ্জে প্রেম করে বিয়ে: ৩ বছর পর গলায় ফাঁস! Logo চাঁদপুরে ভরণপোষণ চাওয়ায় ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার মা-বাবা Logo রাবি নরসিংদী জেলা সমিতির ফল উৎসব Logo আনারসের বাণিজ্যিক চারা উৎপাদনে সাফল্য, কম খরচে চারা দিচ্ছে টিস্যু কালচার Logo স্মার্টফোনে ব্যাক কভার আসলে কতটা প্রয়োজন?

চুয়াডাঙ্গার দুটি ও মেহেরপুর দুটি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৩১:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮
  • ৭৩৮ বার পড়া হয়েছে

সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে ওয়াদা করালেন তারেক রহমান
নিউজ ডেস্ক:গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ এবং মেহেরপুর-১ ও ২ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আধাঘন্টা যাবত কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় তাদের সাক্ষাৎকার নেন মনোনয়ন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সরাসরি মনোনয়ন বোর্ডে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাক্ষাৎকারের শুরুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিকনির্দেশনামূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে তাঁর সঙ্গে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তারেক রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রায় ১০ মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নাই। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য মুক্তির আন্দোলন। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গা’র দু’টি আসনে দু’জনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। আপনারা ওয়াদা করুন মনোনীত প্রার্থীর হয়ে সকলে একসঙ্গে কাজ করবেন।’ উপস্থিত প্রার্থীরা তাঁর কথার সমর্থন জানিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হন। পরে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। তবে কোনও মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ কিংবা বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর কথা হয় চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েক জনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকে কী নির্দেশনা পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য তাকে মুক্ত না করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এই নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করা, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। দল যাকেই মনোনয়ন দিক জয় লাভের আশায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই নির্বাচনে তার হয়ে কাজ করবো আমরা।’
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ^াস বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্তই দিক সবাইকে মানতে হবে। আমিও সেই সিদ্ধান্ত মানবো বলেই সাক্ষাৎকার বোর্ডে গেছি।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ¦ মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের সবাই যোগ্য প্রার্থী। দল থেকে নির্দিষ্ট আসনে একজনকেই নমিনেশন দেয়া হবে। কিন্তু যারা নমিনেশন চেয়েছে সবার দায়িত্ব সেই নির্বাচিত প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসা। কারণ এটি হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এবং নির্বাচন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হয়, দল থেকে যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে আমি তার হয়ে কাজ করবো।’
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা মো. শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, ‘এটি শুধু নির্বাচন নয়, এটি একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে। হাজার হাজার গায়েবী মামলায় দলের নিবেদিত প্রাণ, নেতাকর্মীরা জেলে আছে তাদের মুক্ত করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিতে হবে। কাঁধে কাধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। এই আন্দোলনে জয়ী হতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কাছে আমরা এই অঙ্গিকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকে কী নির্দেশনা পেলেন, কী আলোচনা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার। তিনি বলেন, ‘এখন কিছু বলা যাবে না। নিষেধ করেছে। দলের এখন কঠিন সময়। কোন নিয়ম ভাঙা যাবে না।’


মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, ‘এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন। মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাৎকারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সকলে তাঁর কথা মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।
মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য তাকে মুক্ত না করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এই নির্বাচনে কাজ করবো আমরা।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে এ সাক্ষাৎ গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে বরিশাল বিভাগ ও দুপুর আড়াইটার পর থেকে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের আগ্রহী প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনের অন্তত ৩০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মেহেরপুরের দুটি আসনের বেশ কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি

চুয়াডাঙ্গার দুটি ও মেহেরপুর দুটি আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ

আপডেট সময় : ১০:৩১:৪২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮

সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে ওয়াদা করালেন তারেক রহমান
নিউজ ডেস্ক:গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় দিনে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ এবং মেহেরপুর-১ ও ২ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আধাঘন্টা যাবত কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় তাদের সাক্ষাৎকার নেন মনোনয়ন বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সরাসরি মনোনয়ন বোর্ডে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাক্ষাৎকারের শুরুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিকনির্দেশনামূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে তাঁর সঙ্গে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তারেক রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রায় ১০ মিনিটের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নাই। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য মুক্তির আন্দোলন। এ জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। চুয়াডাঙ্গা’র দু’টি আসনে দু’জনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। আপনারা ওয়াদা করুন মনোনীত প্রার্থীর হয়ে সকলে একসঙ্গে কাজ করবেন।’ উপস্থিত প্রার্থীরা তাঁর কথার সমর্থন জানিয়ে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হন। পরে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। তবে কোনও মনোনয়ন প্রত্যাশীকে ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ কিংবা বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর কথা হয় চুয়াডাঙ্গা-১ ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েক জনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকে কী নির্দেশনা পেলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য তাকে মুক্ত না করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। এই নির্বাচনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করা, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। দল যাকেই মনোনয়ন দিক জয় লাভের আশায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই নির্বাচনে তার হয়ে কাজ করবো আমরা।’
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মুহা. অহিদুল ইসলাম বিশ^াস বলেন, ‘দল যে সিদ্ধান্তই দিক সবাইকে মানতে হবে। আমিও সেই সিদ্ধান্ত মানবো বলেই সাক্ষাৎকার বোর্ডে গেছি।’
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র উপ-কোষাধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ¦ মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ‘সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের সবাই যোগ্য প্রার্থী। দল থেকে নির্দিষ্ট আসনে একজনকেই নমিনেশন দেয়া হবে। কিন্তু যারা নমিনেশন চেয়েছে সবার দায়িত্ব সেই নির্বাচিত প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসা। কারণ এটি হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এবং নির্বাচন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হয়, দল থেকে যে প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে আমি তার হয়ে কাজ করবো।’
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা মো. শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, ‘এটি শুধু নির্বাচন নয়, এটি একটি আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে। হাজার হাজার গায়েবী মামলায় দলের নিবেদিত প্রাণ, নেতাকর্মীরা জেলে আছে তাদের মুক্ত করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিতে হবে। কাঁধে কাধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। এই আন্দোলনে জয়ী হতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের কাছে আমরা এই অঙ্গিকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকার বোর্ড থেকে কী নির্দেশনা পেলেন, কী আলোচনা হলো? এমন প্রশ্নের উত্তর দেননি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোখলেছুর রহমান টিপু তরফদার। তিনি বলেন, ‘এখন কিছু বলা যাবে না। নিষেধ করেছে। দলের এখন কঠিন সময়। কোন নিয়ম ভাঙা যাবে না।’


মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুন বলেন, ‘এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন। মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাৎকারে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সকলে তাঁর কথা মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।
মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য তাকে মুক্ত না করা ছাড়া দ্বিতীয় কোন পথ নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে এই নির্বাচনে কাজ করবো আমরা।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে এ সাক্ষাৎ গ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে বরিশাল বিভাগ ও দুপুর আড়াইটার পর থেকে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের আগ্রহী প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনের অন্তত ৩০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মেহেরপুরের দুটি আসনের বেশ কিছু মনোনয়ন প্রত্যাশী উপস্থিত ছিলেন।