চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন পৃথক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত অর্থাৎ ১২ ঘন্টার ব্যবধানে এই পৃথক বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৮ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরি গ্রামে পুকুরের চারপাশে অবৈধভাবে পাতা ফাঁদে বৈদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চান মিয়া (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত চান মিয়া ঝাঁঝরি মাঝের গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত আব্বাস আলী পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা আব্বাস আলীর মুদি দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় আব্বাস আলীর পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। শিয়াল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীসহ মাছ চুরি ঠেকাতে তিনি পুকুরের চারপাশে জেআই তার দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেন। প্রায়ই সেখানে কুকুর, শিয়াল ও বিড়ালের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসী বহুবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।
সকালে পুকুরের পাশে ঘাস কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই চাঁন মিয়া মারা যায়।
এদিকে, রোববার সন্ধার দিকে স্কুলছাত্র রকি (১৪) নিজ বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রকি দর্শনা থানাধীন নেহালপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার কৃষক রুহুল আমিনের ছেলে। সে স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নিহত রকির চাচাতো ভাই মুক্তার আলী বলেন, সন্ধার দিকে নিজ বাড়িতে মেইন সুইচ বন্ধ না করেই বৈদ্যুতিক কাজ করছিল রকি। এ সময় অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, দুই ভাই-বোনের মধ্যে রকি ছোট। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা যেন পাগল হয়ে পড়েছেন। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর বলেন, ঝাঝরি ও নেহালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পাতা ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চাঁদ মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।