দীর্ঘ কয়েক বছর পূর্বে পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় দুটি পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। বসতভিটা ভেঙ্গে যাওয়ায় জীবনের ঝুকি নিয়ে রাত কাটান দুটি পরিবারের মোট ২৫জন সদস্য। প্রভাব খাটিয়ে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করাতে বসতভিটা ও ঘরের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে তলিয়ে গেছে।
এতে করে নিরুপায় হয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খন্দকার কচুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার সেঙ্গুয়া খন্দকার বাড়ির সিরাজুল ইসলাম,অলি উল্যাহ খন্দকার,খলিল খন্দকার,মিজানুর রহমান, আলী আহমেদ এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের খন্দকার বাড়িতে প্রভাব খাটিয়ে পুকুরে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় দুটি পরিবারের বসবাসের ঘর ও অন্যান্য স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু গাছ-পালা টিউবওয়েল, রান্নাঘর ও সৌচাগার ভেঙ্গে পুকুরে তলিয়ে গেছে। এতে ভুক্তভোগী পরিবারের ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খন্দকার,সোলেয়মান,রফিক খন্দকার, ২০১৫ সালে উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, আজগর আলীর ছেলে মিজানুর রহমান ও সাহের আলীর ছেলে আলী আহম্মেদ গংরা পার্শবর্তী খিলমেহের ড্রেজার চালক মকবুল পাঠানের মাধ্যমে সেঙ্গুয়া খন্দকার বাড়ির পুকুরের বালু দিয়ে জায়গা ভরাট করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করে। ফলে পুকুরের পূর্ব পার্শের মালিক নিরীহ জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ও সোলাইমান খন্দকারের গাছ-গাছালি ও বাড়ি-ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং পুকুরে ভেঙ্গে পড়ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ও সোলইমান খন্দকারের পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হবে। আমরা বিষয়টি সমাধানে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা চাই।
প্রতিপক্ষের বক্তব্য জানতে তাদের বাড়ি গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রবাসী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী কুহিনুর বেগম জানান, অনেক বছর পূর্বে এ পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। এ বিষয়ে অন্যান্যরা জানে, আমি তেমন কিছুই জানি না।
বর্তমানে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে পড়ার আশংক্ষা থেকে রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকাবাসী দ্রুত সহযোগিতা কামনা করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ছবি-২: কচুয়ার সেঙ্গুয়া খন্দকার বাড়িতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় হুমিকের মুখে দুটি পরিবার।