ঝিনাইদহে পরিবহণ ধর্মঘট হচ্ছে নাকি সড়ক অবরোধ?

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
  • ৭৫১ বার পড়া হয়েছে

সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘট চললেও ঝিনাইদহে চলছে সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিকঃ আভিধানিক অর্থে পরিবহণ ধর্মঘট বলতে বোঝায় ‘শ্রমিকরা বা শ্রমিক সংঘ যখন কোন নির্দিষ্ট দাবি দাওয়া আদায় করার জন্য কাজ বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে তখন তাকে ধর্মঘট বলে। আর সড়ক অবরোধ হচ্ছে, দাবি দাওয়া আদায় করার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া। সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘট চললেও ঝিনাইদহে যেন চলছে সড়ক অবরোধ। শ্রমিক নেতাদের ঘোষণা অনুযায়ী সকল ইঞ্জিনচালিত যান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও ঝিনাইদহে চলতে দেওয়া হচ্ছে না ইজিবাইক ও ব্যাটারীচালিত ভ্যান। শহরের বাস টার্মিনাল, আরাপপুর, চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান ইজিবাইকে আসা যাত্রীদের শহরের মুখে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গালি-গালাজ করা হচ্ছে ইজিবাইক চালক ও ভ্যানচালকদের। শ্রমিকদের এই আচরণে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ থেকে মাগুরাগামী যাত্রী রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে একটি ইজিবাইকে উঠেছিলাম। ঝিনাইদহ শহরে আসার আগেই শ্রমিকরা আমাদের ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দেয়। শহর থেকে মাগুরাগামী এক যাত্রী বলেন, ২ কিলোমিটার পথ হেটে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানে উঠেছিলাম। বাস টার্মিনালে আসার পর এখানকার শ্রমিকরা আমাদের নামিয়ে দিয়ে ভ্যানচালকদের গালি-গালাজ শুরু করে। শ্রমিকদের এই আচরণ থেকে বাদ যাইনি পান ব্যবসায়ীরাও। বাস টার্মিনাল এলাকায় এক পান ব্যবসায়ীর পান বোঝায় ভ্যান আটকে দেওয়া হয়। অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ধর্মঘট পালন করবেন আপনার করেন। ইজিবাইক, ভ্যানচালকের চলতে বাঁধা দিচ্ছেন কেন। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলা থেকে ঢাকাগামী পরিবহনসহ দুরপাল্লা ও স্থানীয় সকল রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মঘটের কারনে যানবাহন চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ইজিবাইক ও ভ্যানচলাচলে বাধা দেয়ার ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাগর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা তো ইজিবাইক, ভ্যানচালকের চলতে কোন বাঁধা দিচ্ছি না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে পরিবহণ ধর্মঘট হচ্ছে নাকি সড়ক অবরোধ?

আপডেট সময় : ১১:২৩:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘট চললেও ঝিনাইদহে চলছে সড়ক অবরোধ

ঝিনাইদহ থেকে জাহিদুর রহমান তারিকঃ আভিধানিক অর্থে পরিবহণ ধর্মঘট বলতে বোঝায় ‘শ্রমিকরা বা শ্রমিক সংঘ যখন কোন নির্দিষ্ট দাবি দাওয়া আদায় করার জন্য কাজ বন্ধ রেখে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে তখন তাকে ধর্মঘট বলে। আর সড়ক অবরোধ হচ্ছে, দাবি দাওয়া আদায় করার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া। সারা দেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ৪৮ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘট চললেও ঝিনাইদহে যেন চলছে সড়ক অবরোধ। শ্রমিক নেতাদের ঘোষণা অনুযায়ী সকল ইঞ্জিনচালিত যান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলেও ঝিনাইদহে চলতে দেওয়া হচ্ছে না ইজিবাইক ও ব্যাটারীচালিত ভ্যান। শহরের বাস টার্মিনাল, আরাপপুর, চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান ইজিবাইকে আসা যাত্রীদের শহরের মুখে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গালি-গালাজ করা হচ্ছে ইজিবাইক চালক ও ভ্যানচালকদের। শ্রমিকদের এই আচরণে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ থেকে মাগুরাগামী যাত্রী রাশিদুল ইসলাম বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে একটি ইজিবাইকে উঠেছিলাম। ঝিনাইদহ শহরে আসার আগেই শ্রমিকরা আমাদের ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দেয়। শহর থেকে মাগুরাগামী এক যাত্রী বলেন, ২ কিলোমিটার পথ হেটে একটি ব্যাটারি চালিত ভ্যানে উঠেছিলাম। বাস টার্মিনালে আসার পর এখানকার শ্রমিকরা আমাদের নামিয়ে দিয়ে ভ্যানচালকদের গালি-গালাজ শুরু করে। শ্রমিকদের এই আচরণ থেকে বাদ যাইনি পান ব্যবসায়ীরাও। বাস টার্মিনাল এলাকায় এক পান ব্যবসায়ীর পান বোঝায় ভ্যান আটকে দেওয়া হয়। অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ধর্মঘট পালন করবেন আপনার করেন। ইজিবাইক, ভ্যানচালকের চলতে বাঁধা দিচ্ছেন কেন। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন। জেলা থেকে ঢাকাগামী পরিবহনসহ দুরপাল্লা ও স্থানীয় সকল রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রোববার সকাল থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ধর্মঘটের কারনে যানবাহন চলাচল না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ। ইজিবাইক ও ভ্যানচলাচলে বাধা দেয়ার ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাগর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা তো ইজিবাইক, ভ্যানচালকের চলতে কোন বাঁধা দিচ্ছি না।