ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশ গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
  • ৭২৮ বার পড়া হয়েছে

আকন্দবাড়িয়া আবাসনের আনোয়ারা!
অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে স্বামী সন্তানকে দেশে রেখে প্রবাশে পাড়ি জমায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবাসন প্রকল্পের তিন সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগম ওরফে আনু (৪৫)। সে একই ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত তাছেদ আলীর জামাই একই গ্রামের ঘোনাপাড়ার দালাল আদমব্যবসায়ী আলেপ আলীর মাধ্যমে সৌদি পাড়ি জমায় গত ৯ মাস আগে। ভাল কাজ ও বেশি বেতন দেয়ার প্রলোভনে সেই সময়ে আনুকে বিদেশে পাঠায় আলেপ আলী। সেই আশায় বুকবেঁধে স্বামী সাইরুল ও তিন সন্তান মন্টু, লাল্টু ও কন্যা শান্তনা খাতুনকে রেখে যায় আনোয়ারা আনু। এরমধ্যে কন্যা জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে বিবাহ হওয়ার সুবাদে শ্বশুর বাড়িতে সংসার করলেও দুই ছেলে থেকে যায় আবাসনে। কিন্তু সে ভাগ্যেরও গুড়ে বালি। সৌদি পৌছে চাকুরী নেয়ার পর থেকে সেখানে বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে দুঃসহ জীবনযাপন শুরু হয়। এরই একপর্যায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে পরিবারের লোকজনের। এ দুঃখ ও কষ্টের কথা প্রকাশ করে মোবাইল ফোনে জানায় একই আবাসনের একই নামের আনোয়ারা নামের এক বান্ধবীকে। এসময় সে একটি ছবি ও পাঠায়। সে ঘটনাটি দিন পনের আগের কথা। বান্ধবীর সাথে ফোনালাপ ও ছবি পাঠানের পরের দিন আবারও নির্যাতনের শিকার হয় এবং ওইদিন জীবনের শেষ অবসান ঘটে। সৌদিতে কর্মরত পরিবারে সদস্যদের নির্যাতনে গত ১৫ দিন আগে নিহত হন। এরপর গত বৃহস্পতিবার তার লাশ পৌছায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া ডালিয়া প্রকল্পে। তার পরিবারের কাছ লাশ পৌঁছালে পরদিন গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বেদনাবিধুর পরিবেশের মধ্যদিয়ে নিহতের লাশের নামাজের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয় আবাসন এলাকার কবরস্থানে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশ গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো

আপডেট সময় : ১০:৩২:৪৭ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

আকন্দবাড়িয়া আবাসনের আনোয়ারা!
অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে স্বামী সন্তানকে দেশে রেখে প্রবাশে পাড়ি জমায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবাসন প্রকল্পের তিন সন্তানের জননী আনোয়ারা বেগম ওরফে আনু (৪৫)। সে একই ইউনিয়নের রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের মৃত তাছেদ আলীর জামাই একই গ্রামের ঘোনাপাড়ার দালাল আদমব্যবসায়ী আলেপ আলীর মাধ্যমে সৌদি পাড়ি জমায় গত ৯ মাস আগে। ভাল কাজ ও বেশি বেতন দেয়ার প্রলোভনে সেই সময়ে আনুকে বিদেশে পাঠায় আলেপ আলী। সেই আশায় বুকবেঁধে স্বামী সাইরুল ও তিন সন্তান মন্টু, লাল্টু ও কন্যা শান্তনা খাতুনকে রেখে যায় আনোয়ারা আনু। এরমধ্যে কন্যা জীবননগর উপজেলার সিংনগর গ্রামে বিবাহ হওয়ার সুবাদে শ্বশুর বাড়িতে সংসার করলেও দুই ছেলে থেকে যায় আবাসনে। কিন্তু সে ভাগ্যেরও গুড়ে বালি। সৌদি পৌছে চাকুরী নেয়ার পর থেকে সেখানে বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে দুঃসহ জীবনযাপন শুরু হয়। এরই একপর্যায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে পরিবারের লোকজনের। এ দুঃখ ও কষ্টের কথা প্রকাশ করে মোবাইল ফোনে জানায় একই আবাসনের একই নামের আনোয়ারা নামের এক বান্ধবীকে। এসময় সে একটি ছবি ও পাঠায়। সে ঘটনাটি দিন পনের আগের কথা। বান্ধবীর সাথে ফোনালাপ ও ছবি পাঠানের পরের দিন আবারও নির্যাতনের শিকার হয় এবং ওইদিন জীবনের শেষ অবসান ঘটে। সৌদিতে কর্মরত পরিবারে সদস্যদের নির্যাতনে গত ১৫ দিন আগে নিহত হন। এরপর গত বৃহস্পতিবার তার লাশ পৌছায় চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া ডালিয়া প্রকল্পে। তার পরিবারের কাছ লাশ পৌঁছালে পরদিন গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বেদনাবিধুর পরিবেশের মধ্যদিয়ে নিহতের লাশের নামাজের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয় আবাসন এলাকার কবরস্থানে।