মেহেরপুরে শ্বাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতার আমৃত্যু জেল

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুরে শ্বাশুড়িকে হত্যার দায়ে জামাতা আজিরুলকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের জেল দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ গাজী রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আজিরুল মেহেরপুর সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানাগেছে সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের আজিরুল তার স্ত্রী জাহারন নেছার উপর নির্যাতন করায় জাহারন ও তার শ্বাশুড়ি ছায়রা খাতুন ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই পাশ্বর্বতি বৈকন্ঠপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করতে যাবার পথে আজিরুল তার শ্বাশুড়ি ছায়রা খাতুনকে বৈকন্ঠপুর মাঠের মধ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ছায়রা খাতুনের মৃত্যু হয়। এঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ২৮। সেশন কেস নং ১০৩ / ২০০৮, জি আর কেস নং ৩২৮/০৮। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষ প্রদান করেন। এতে আসামী দোষী প্রমানিত হওয়ায় তাকে এ সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. মীনা পাল কৌসুলী ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মেহেরপুরে শ্বাশুড়ি হত্যার দায়ে জামাতার আমৃত্যু জেল

আপডেট সময় : ১১:৩৬:০০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

মেহেরপুর প্রতিনিধি ॥ মেহেরপুরে শ্বাশুড়িকে হত্যার দায়ে জামাতা আজিরুলকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের জেল দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ গাজী রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আজিরুল মেহেরপুর সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরনে জানাগেছে সদর উপজেলার উত্তর শালিকা গ্রামের আজিরুল তার স্ত্রী জাহারন নেছার উপর নির্যাতন করায় জাহারন ও তার শ্বাশুড়ি ছায়রা খাতুন ২০০৮ সালের ৩১ জুলাই পাশ্বর্বতি বৈকন্ঠপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ করতে যাবার পথে আজিরুল তার শ্বাশুড়ি ছায়রা খাতুনকে বৈকন্ঠপুর মাঠের মধ্যে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ছায়রা খাতুনের মৃত্যু হয়। এঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ২৮। সেশন কেস নং ১০৩ / ২০০৮, জি আর কেস নং ৩২৮/০৮। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষ প্রদান করেন। এতে আসামী দোষী প্রমানিত হওয়ায় তাকে এ সাজা দেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষে পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. মীনা পাল কৌসুলী ছিলেন।