শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা Logo চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ Logo কয়রায় জেজেএস এর উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। Logo ‘জুলাই সনদ প্রণয়ন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে’ Logo জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী Logo সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা পোস্টারে নয়, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত Logo শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংযোগ করছে রাবি সংস্কার আন্দোলন Logo কচুয়ায় দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করল এএসআই কামরুল ইসলাম

ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে আনাচে কানাচে অবৈধ কারখানায় অবৈধ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরির রমরমা ব্যবসা, দেখার যেন কেউ নেই!

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৫২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে আনাচে কানাচে অবৈধ কারখানায় চলছে অবৈধ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরির রমরমা ব্যবসা, দেখার যেন কেউ নেই! জেলা জুড়ে শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, লাটাহাম্বার ও আলম সাধু তৈরীর প্রায় ৫০টির উপরে অবৈধ কারখানা। শোনা যায়, আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছে এই সমস্থ অবৈধ কারখানায় নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, আলম সাধু ও লাটাহাম্বার তৈরির রমরমা ব্যবসা। জেলার ৬টি উপজেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসকল কারখানার মালিক হয়ে রাতারাতি বিপুল অর্থের মালিক বনে যাচ্ছেন। অভিযোগ আছে শুধু কালীগঞ্জ শহরেই গড়ে উঠেছে এ ধরনের ছোট বড় প্রায় ১০ টি কারখানা। এ সমস্থ কারখানাগুলো পুলিশ প্রশাসন দেখলেও না দেখার ভান করে থাকেন। এলাকাবাসীর জোর দাবী, মাঝে মাঝে এসব কারখানাগুলোতে জেলা প্রশাসনের তদারকিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে এই সমস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করাসহ কারখানা মালিকদের জেল জরিমানা ব্যবস্থা করা উচিৎ। সূত্রমতে, মালিক পক্ষ অনেক বেশি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কিছুদিন পর পর মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের কারখানায় অবৈধ যান তৈরির রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এধরনের কারখানায় অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরীর নেই কোনো বৈধ সরকারি অনুমতিপত্র। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাকবাংলা বাজারের বড় মসজিদের পাশে বাটুলের ওয়ার্কসপ, কালীগঞ্জ কলা হাটার পশ্চিমে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের গা ঘসে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত সবচেয়ে বড় রেজাউল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ। ওয়ার্কসপের মালিক রেজাউল ইসলাম এই কারখানা করে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। রেজাউলের ছোট ভাই গাজির বাজারে রফিকুলের গ্যারেজ, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ওলিয়ারের গ্যারেজ, কুদ্দুসের গ্যারেজ, সাইফুলের গ্যারেজ, রবিউলের গ্যারেজ, আজমেরী ওয়ার্কসপসহ অনেক ছোট-বড় বেশ কয়েকটি অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত কারখানা। এসকল কারখানায় সরকারী কোনো অনুমতি ছাড়াই দিনরাত চলেছে ইঞ্জিনভ্যান তৈরির কাজ। এতে করে সরকার একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাপক শব্দ দুষণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কারখানার এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, আমরা প্রশাসনসহ সবাইকে টাকা দিই। ফলে এটা পত্রিকায় লিখে কোন কিছুই হবে না। আমাদের কাজ চলবেই। কেমন লাভ হয় জিজ্ঞেস করলে জানায়, আমরা মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান, করিমন, আলমসাধূ ও লটাহাম্বার তৈরী করে থাকি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করতে সকল খরচ বাদে মালিকের লাভ হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। শহরের এত কাছাকাছি সরকারের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ নসিমন, করিমন, ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান তৈরি হলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ সব অবৈধ কারখানায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। আর এ কারনে প্রতিনিয়ত মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য পথচারীসহ সব বয়সী মানুষ। এসকল অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়িগুলোর নেই কোনো হর্ন, ব্রেক ও গিয়ার। তাছাড়া অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, লটাহাম্বার, ব্যাটারি চালিত আটো ভ্যানের চালকরা অধিকাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও অদক্ষ চালক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব অবৈধ যান তৈরি ও চলাচলে বিধি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা না দেখার ভান করে রমরমা ভাবে চালাতে সাহায্য করছে অবৈধ যান তৈরির কারখানা। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, এসব অবৈধ যান তৈরির কারখানা বন্ধসহ অনতি বিলম্বে সড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েই চলবে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে অকালে পথচারীদের প্রাণ হানি বেড়েই চলবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, থ্রি-হুইলার ইঞ্জিন চালিত কোন যানবাহন মহাসড়কে চলার কোন অনুমতি নেই । এগুলো এভাবে তৈরী করার কোন নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর

ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে আনাচে কানাচে অবৈধ কারখানায় অবৈধ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরির রমরমা ব্যবসা, দেখার যেন কেউ নেই!

আপডেট সময় : ১২:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে আনাচে কানাচে অবৈধ কারখানায় চলছে অবৈধ ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরির রমরমা ব্যবসা, দেখার যেন কেউ নেই! জেলা জুড়ে শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, লাটাহাম্বার ও আলম সাধু তৈরীর প্রায় ৫০টির উপরে অবৈধ কারখানা। শোনা যায়, আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছে এই সমস্থ অবৈধ কারখানায় নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, আলম সাধু ও লাটাহাম্বার তৈরির রমরমা ব্যবসা। জেলার ৬টি উপজেলায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসকল কারখানার মালিক হয়ে রাতারাতি বিপুল অর্থের মালিক বনে যাচ্ছেন। অভিযোগ আছে শুধু কালীগঞ্জ শহরেই গড়ে উঠেছে এ ধরনের ছোট বড় প্রায় ১০ টি কারখানা। এ সমস্থ কারখানাগুলো পুলিশ প্রশাসন দেখলেও না দেখার ভান করে থাকেন। এলাকাবাসীর জোর দাবী, মাঝে মাঝে এসব কারখানাগুলোতে জেলা প্রশাসনের তদারকিতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে এই সমস্থ প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করাসহ কারখানা মালিকদের জেল জরিমানা ব্যবস্থা করা উচিৎ। সূত্রমতে, মালিক পক্ষ অনেক বেশি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কিছুদিন পর পর মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের কারখানায় অবৈধ যান তৈরির রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এধরনের কারখানায় অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরীর নেই কোনো বৈধ সরকারি অনুমতিপত্র। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডাকবাংলা বাজারের বড় মসজিদের পাশে বাটুলের ওয়ার্কসপ, কালীগঞ্জ কলা হাটার পশ্চিমে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের গা ঘসে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত সবচেয়ে বড় রেজাউল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ। ওয়ার্কসপের মালিক রেজাউল ইসলাম এই কারখানা করে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। রেজাউলের ছোট ভাই গাজির বাজারে রফিকুলের গ্যারেজ, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ওলিয়ারের গ্যারেজ, কুদ্দুসের গ্যারেজ, সাইফুলের গ্যারেজ, রবিউলের গ্যারেজ, আজমেরী ওয়ার্কসপসহ অনেক ছোট-বড় বেশ কয়েকটি অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত কারখানা। এসকল কারখানায় সরকারী কোনো অনুমতি ছাড়াই দিনরাত চলেছে ইঞ্জিনভ্যান তৈরির কাজ। এতে করে সরকার একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাপক শব্দ দুষণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কারখানার এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, আমরা প্রশাসনসহ সবাইকে টাকা দিই। ফলে এটা পত্রিকায় লিখে কোন কিছুই হবে না। আমাদের কাজ চলবেই। কেমন লাভ হয় জিজ্ঞেস করলে জানায়, আমরা মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান, করিমন, আলমসাধূ ও লটাহাম্বার তৈরী করে থাকি। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করতে সকল খরচ বাদে মালিকের লাভ হয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। শহরের এত কাছাকাছি সরকারের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ নসিমন, করিমন, ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান তৈরি হলেও পুলিশ প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ সব অবৈধ কারখানায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা। আর এ কারনে প্রতিনিয়ত মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ফলে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য পথচারীসহ সব বয়সী মানুষ। এসকল অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়িগুলোর নেই কোনো হর্ন, ব্রেক ও গিয়ার। তাছাড়া অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, লটাহাম্বার, ব্যাটারি চালিত আটো ভ্যানের চালকরা অধিকাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও অদক্ষ চালক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব অবৈধ যান তৈরি ও চলাচলে বিধি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা না দেখার ভান করে রমরমা ভাবে চালাতে সাহায্য করছে অবৈধ যান তৈরির কারখানা। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, এসব অবৈধ যান তৈরির কারখানা বন্ধসহ অনতি বিলম্বে সড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েই চলবে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে অকালে পথচারীদের প্রাণ হানি বেড়েই চলবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা বলেন, থ্রি-হুইলার ইঞ্জিন চালিত কোন যানবাহন মহাসড়কে চলার কোন অনুমতি নেই । এগুলো এভাবে তৈরী করার কোন নিয়ম নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ এর বিরুদ্ধে অবশ্যই মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিব।