শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা Logo চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ Logo কয়রায় জেজেএস এর উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। Logo ‘জুলাই সনদ প্রণয়ন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে’ Logo জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী Logo সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা পোস্টারে নয়, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত Logo শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংযোগ করছে রাবি সংস্কার আন্দোলন Logo কচুয়ায় দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করল এএসআই কামরুল ইসলাম

জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী

  • নীলকন্ঠ অনলাইন নীলকন্ঠ অনলাইন
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ৭০৬ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব মৌলিক অবদান রাখা প্রয়োজন, তা জাতির জন্য বাস্তবায়ন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি কেবল একজন রাষ্ট্রপ্রধান নন, বরং এক স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সাদা দলের আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

“শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি” শীর্ষক এ আয়োজনে অংশ নিয়ে রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি’। তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন, কিন্তু কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি। বরং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন, যা গণতন্ত্রের প্রকৃত উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি—সব ক্ষেত্রেই তিনি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেছিলেন। আজ তাঁকে নিয়ে নানা কথা বলা হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে তিনি একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।”

রিজভীর ভাষ্য অনুযায়ী, জিয়াউর রহমানের গতিশীল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে ফারাক্কা ইস্যু জাতিসংঘ পর্যন্ত গিয়েছিল। চীন এতে নিন্দা জানায় এবং জাতিসংঘও প্রতিবাদ জানায়, যা ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দক্ষতার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান সবসময় দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেন। তিনি ছিলেন চামচামিহীন, গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত এক সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক।”

রিজভী আরও বলেন, “জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা কূটনৈতিকভাবে এবং স্ট্রিক্ট অ্যান্ড টেরর পদ্ধতিতে মোকাবিলা করেছিলেন। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করেছেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড রোধে তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, “একদিকে জিয়াউর রহমান যেখানে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী ছিলেন, সেখানে আরেকজন সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে চারটি বাদে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন।”

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক ও ঢাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর

জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী

আপডেট সময় : ০৬:১৩:১৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব মৌলিক অবদান রাখা প্রয়োজন, তা জাতির জন্য বাস্তবায়ন করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি কেবল একজন রাষ্ট্রপ্রধান নন, বরং এক স্বনির্ভর বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সাদা দলের আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

“শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি” শীর্ষক এ আয়োজনে অংশ নিয়ে রিজভী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি’। তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন, কিন্তু কখনোই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি। বরং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন, যা গণতন্ত্রের প্রকৃত উদাহরণ।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি—সব ক্ষেত্রেই তিনি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে একটি শক্ত ভিত্তির ওপর রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করেছিলেন। আজ তাঁকে নিয়ে নানা কথা বলা হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে তিনি একজন দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্বীকৃত।”

রিজভীর ভাষ্য অনুযায়ী, জিয়াউর রহমানের গতিশীল কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে ফারাক্কা ইস্যু জাতিসংঘ পর্যন্ত গিয়েছিল। চীন এতে নিন্দা জানায় এবং জাতিসংঘও প্রতিবাদ জানায়, যা ছিল তাঁর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক দক্ষতার প্রতিফলন।

তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান সবসময় দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেন। তিনি ছিলেন চামচামিহীন, গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত এক সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক।”

রিজভী আরও বলেন, “জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা কূটনৈতিকভাবে এবং স্ট্রিক্ট অ্যান্ড টেরর পদ্ধতিতে মোকাবিলা করেছিলেন। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সীমান্ত সুরক্ষায় কাজ করেছেন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড রোধে তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”

তিনি ইঙ্গিত করে বলেন, “একদিকে জিয়াউর রহমান যেখানে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাসী ছিলেন, সেখানে আরেকজন সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে চারটি বাদে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন।”

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহ্বায়ক ও ঢাবির ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।