শিরোনাম :
Logo বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর Logo কচুয়ার পালাখাল মডেল ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা Logo চাঁদপুরে ২০ হাজার আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সরবারহ বন্ধ Logo কয়রায় জেজেএস এর উদ্যোগে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত। Logo ‘জুলাই সনদ প্রণয়ন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমানের পর নির্বাচন দিতে হবে’ Logo জিয়াউর রহমান ছিলেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনায়ক: রিজভী Logo সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা পোস্টারে নয়, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত Logo শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনসংযোগ করছে রাবি সংস্কার আন্দোলন Logo কচুয়ায় দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা ও পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত Logo বিকাশে ভুল নম্বরে চলে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করল এএসআই কামরুল ইসলাম

হরিণাকুন্ডুর সেই চায়ের দোকানি হত্যা রহস্য ফাঁস, ভাইয়ের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন করা হয় বাদশাকে

  • Nil Kontho
  • আপডেট সময় : ১২:০০:১৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৭৫০ বার পড়া হয়েছে

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ দাম্পত্য কলহে জর্জরিত ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে আকলিমা কবিরাজী করতে দারস্থ হয় চাচা বাদশা খোন্দকারের কাছে। সুযোগ বুঝে ফুফাতো ভাই তমছের আলীর মেয়ের সাথে শারীর সম্পর্ক করার চেষ্টা করে বাদশা। ঘটনাটি ফাঁস করে দেয় ভাতিজি আকলিমা খাতুন। এরপরই হত্যার ছক কষে আকলিমার পিতা, ভাই ও স্বামী। গত ১৫ সেপ্টম্বর বাদশা খোন্দকারকে হরিণাকুন্ডুর সিঙ্গা গ্রাম থেকে ডেকে আনা হয় পায়রাডাঙ্গা গ্রামে। রাতেই টিউবওয়েলের লোহার ডাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর বাদশার লাশ চারাতলা বাজারের কাছে ফেলে রাখা হয়। বাদশাকে হত্যার সময় তমছের আলী, ছেলে তানজির, মেয়ে আকলিমা ও জামাই শাহেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে তমছের আলীর ছেলে তানজির। হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ বাদশা হত্যার ৬ দিনের মাথায় ক্লু ও মোটিভ উদ্ধার করেছে। হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তমছের আলীর জামাই শাহেদ আলী। শাহেদ হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর আমেরচারা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। আদালতে বাদশা হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন শাহেদ আলী। আদালতকে তিনি জানান, তার মায়ের সাথে স্ত্রী আকলিমার বনিবনা হতো না। এ কারণে কবিরাজ দিয়ে মাকে (আকলিমার শ্বাশুড়ি) বশিকরণ করতে স্ত্রী আকলিমা দারস্থ হয় তার শ্বশুরের মামাতো ভাই সিঙ্গা গ্রামের তাজুল মন্ডলের ছেলে বাদশা কবিরাজের। কয়েক দিন যাতায়াতের এক পর্যায়ে বদশা প্রস্তাব করে তার সাথে যেনৈ সম্পর্ক না করলে কবিরাজীতে কাজ হবে না। ফিরে এসে ঘটনাটি আকলিমা তার মা, বাবা, ভাই ও আমাকে জানায়। এরপরই আমরা বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদশা হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি। কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন হন বাদশা। উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টম্বর হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা বাজারের মাঠ থেকে বাদশা কবিরাজের (৪২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁচতে চায় ক্যান্সারে আক্রান্ত নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী মশিউর

হরিণাকুন্ডুর সেই চায়ের দোকানি হত্যা রহস্য ফাঁস, ভাইয়ের মেয়েকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন করা হয় বাদশাকে

আপডেট সময় : ১২:০০:১৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ দাম্পত্য কলহে জর্জরিত ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে আকলিমা কবিরাজী করতে দারস্থ হয় চাচা বাদশা খোন্দকারের কাছে। সুযোগ বুঝে ফুফাতো ভাই তমছের আলীর মেয়ের সাথে শারীর সম্পর্ক করার চেষ্টা করে বাদশা। ঘটনাটি ফাঁস করে দেয় ভাতিজি আকলিমা খাতুন। এরপরই হত্যার ছক কষে আকলিমার পিতা, ভাই ও স্বামী। গত ১৫ সেপ্টম্বর বাদশা খোন্দকারকে হরিণাকুন্ডুর সিঙ্গা গ্রাম থেকে ডেকে আনা হয় পায়রাডাঙ্গা গ্রামে। রাতেই টিউবওয়েলের লোহার ডাটি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর বাদশার লাশ চারাতলা বাজারের কাছে ফেলে রাখা হয়। বাদশাকে হত্যার সময় তমছের আলী, ছেলে তানজির, মেয়ে আকলিমা ও জামাই শাহেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পলাতক রয়েছে তমছের আলীর ছেলে তানজির। হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ বাদশা হত্যার ৬ দিনের মাথায় ক্লু ও মোটিভ উদ্ধার করেছে। হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তমছের আলীর জামাই শাহেদ আলী। শাহেদ হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর আমেরচারা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। আদালতে বাদশা হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন শাহেদ আলী। আদালতকে তিনি জানান, তার মায়ের সাথে স্ত্রী আকলিমার বনিবনা হতো না। এ কারণে কবিরাজ দিয়ে মাকে (আকলিমার শ্বাশুড়ি) বশিকরণ করতে স্ত্রী আকলিমা দারস্থ হয় তার শ্বশুরের মামাতো ভাই সিঙ্গা গ্রামের তাজুল মন্ডলের ছেলে বাদশা কবিরাজের। কয়েক দিন যাতায়াতের এক পর্যায়ে বদশা প্রস্তাব করে তার সাথে যেনৈ সম্পর্ক না করলে কবিরাজীতে কাজ হবে না। ফিরে এসে ঘটনাটি আকলিমা তার মা, বাবা, ভাই ও আমাকে জানায়। এরপরই আমরা বাদশাকে হত্যার পরিকল্পনা করি। হরিণাকুন্ডু থানার ওসি আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাদশা হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছি। কু-প্রস্তাব দেওয়ার কারণেই খুন হন বাদশা। উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টম্বর হরিণাকুন্ডু উপজেলার চারাতলা বাজারের মাঠ থেকে বাদশা কবিরাজের (৪২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।