শিরোনাম :
Logo মডেল সিম্মি হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রেমিক Logo মৃত্যুর গুজবে অভিনেত্রী বললেন ‘আমি বেঁচে আছি’ Logo শান্ত-মুশফিকের ১৩৭ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ Logo বিমান দুর্ঘটনায় ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যু Logo পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘রিমঝিম’, তিন বিভাগে বন্যার শঙ্কা Logo গজারিয়ায় দুর্ঘটনা রোধে ইউটার্ন নির্মাণের দাবিতে নানা শ্রেনী পেশার মানুষের মানববন্ধন. Logo ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলা চালানোর বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী Logo ইরানি এমপিদের একযোগে স্লোগান—‘ধন্যবাদ, ধন্যবাদ পাকিস্তান!’ Logo রমজানের আগে নির্বাচনের ব্যাপারে সবাই একমত: আমীর খসরু

ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক

  • rahul raj
  • আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮
  • ৭৩৪ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরে ঈদে স্বামীর কাছে পছন্দের পাখি ড্রেস কিনে দেবার জন্য বার বার চাপ

নিউজ ডেস্ক: কোরবানির ঈদে স্বামীর কাছে পছন্দের পাখি ড্রেস কিনে দেবার জন্য বার বার চাপ দেওয়ায় মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়ায় গুলশান আরা (২৭) নামের এক গৃহবধুকে তার স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী মহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গুলশান আরা গাংনী উপজেলার সহগলপুর গ্রামের বাবলু আলীর মেয়ে। ঘাতক স্বামী মাহিরুল ইসলাম সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে এবং সে পেশায় দর্জির কাজ করে। গত ৮ মাস আগে গুলশান আরাকে ২য় বিয়ে করে মাহিরুল ইসলাম। এর আগের সংসারে গুলশান আরার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

বিয়ের পরে মায়ের কাছে থাকতো মেয়ে মায়া আক্তার। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে গুলশান আরাকে শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাসায় তার স্বামী মাহিরুল ইসলাম গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরে তার লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে তার কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে পুলিশ আটক করে। পরে সদর থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত গুলশান আরার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মেয়ে মায়া জানান, সকালে তার সৎ পিতা ঘরের মধ্য তার সামনে গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তার গুলশান আরাকে মৃত ঘোষণা করলে ঘাতক স্বামী লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। আটককৃত স্বামী মাহিরুল ইসলাম জানান, আট মাস আগে গুলশান আরাকে সে ২য় বিয়ে করে। পরে শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। গত কয়েক দিন ধরে তার কাছে গুলশান আরা ঈদে পাখি জামা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে।

রোববার সকালেও সে পাখি জামা নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করলে দুই জনের মধ্য ঝগড়া শুরু হয়। এসময় সে গুলশান আরাকে খাটের উপরে ফেলে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পর নিহতের স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে এবং ঘাতক স্বামী পুলিশের কাছে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মেহেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, মহিরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মডেল সিম্মি হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন প্রেমিক

ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা : ঘাতক স্বামী আটক

আপডেট সময় : ০৯:০২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২০ আগস্ট ২০১৮

মেহেরপুরে ঈদে স্বামীর কাছে পছন্দের পাখি ড্রেস কিনে দেবার জন্য বার বার চাপ

নিউজ ডেস্ক: কোরবানির ঈদে স্বামীর কাছে পছন্দের পাখি ড্রেস কিনে দেবার জন্য বার বার চাপ দেওয়ায় মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়ায় গুলশান আরা (২৭) নামের এক গৃহবধুকে তার স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী মহিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গুলশান আরা গাংনী উপজেলার সহগলপুর গ্রামের বাবলু আলীর মেয়ে। ঘাতক স্বামী মাহিরুল ইসলাম সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের মিয়াজান আলীর ছেলে এবং সে পেশায় দর্জির কাজ করে। গত ৮ মাস আগে গুলশান আরাকে ২য় বিয়ে করে মাহিরুল ইসলাম। এর আগের সংসারে গুলশান আরার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।

বিয়ের পরে মায়ের কাছে থাকতো মেয়ে মায়া আক্তার। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে পারিবারিক কলহের জের ধরে গুলশান আরাকে শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাসায় তার স্বামী মাহিরুল ইসলাম গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরে তার লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ফেলে রেখে থানায় হাজির হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে তার কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে পুলিশ আটক করে। পরে সদর থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহত গুলশান আরার লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মেয়ে মায়া জানান, সকালে তার সৎ পিতা ঘরের মধ্য তার সামনে গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে ও তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তার গুলশান আরাকে মৃত ঘোষণা করলে ঘাতক স্বামী লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। আটককৃত স্বামী মাহিরুল ইসলাম জানান, আট মাস আগে গুলশান আরাকে সে ২য় বিয়ে করে। পরে শহরের ক্যাশবপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। গত কয়েক দিন ধরে তার কাছে গুলশান আরা ঈদে পাখি জামা কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরে।

রোববার সকালেও সে পাখি জামা নেওয়ার জন্য চাপাচাপি করলে দুই জনের মধ্য ঝগড়া শুরু হয়। এসময় সে গুলশান আরাকে খাটের উপরে ফেলে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মেহেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পর নিহতের স্বামীকে পুলিশ আটক করেছে এবং ঘাতক স্বামী পুলিশের কাছে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মেহেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান বলেন, মহিরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছে। তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।