শিরোনাম :
Logo তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী Logo ভারতের সঙ্গে আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা পাকিস্তানের Logo পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত Logo অসুস্থ শ্রমিককে হুইল চেয়ার উপহার দিলো ইয়ুথ ফোরাম ও চর্যাপদ একাডেমি Logo পাকিস্তান জঙ্গিরাষ্ট্র, পাক সেনাপ্রধান লাদেনের মতোই সন্ত্রাসবাদী, বিস্ফোরক প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তা Logo ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন বিষয়ক ক্যাম্পেইন’ – ল অ্যাওয়ারনেস এন্ড এনালাইটেন্ড সোসাইটি Logo শিক্ষার্থীদের ভাবনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ Logo জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী অ্যালামনাসদের রুয়া’র নির্বাচন বর্জন Logo মুখোমুখি অবস্থানে ভারত-পাকিস্তান, ভারতীয় নৌবাহিনীর মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা Logo কাশ্মীরে হামলার পর তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা পাকিস্তানের

আইফোন-৮ এর জন্য তরুণীর সতীত্ব বিক্রি!

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ৭৫৬ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে অনেকের স্বপ্নের ফোন আইফোন-৮। তাই বলে এর জন্য নিজের সতীত্ব নিলামে উঠানো সত্যিই বিস্ময়কর! এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন চীনের ১৭ বছরের জিয়াও চেন নামের এক তরুণী।
ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

একটি আইফোন-৮ কেনার জন্য দুই হাজার ৩০০ পাউন্ড নগদ অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেবেন একটি অনলাইন ফোরামে এমন অফার লিখেন ওই তরুণী।

ওই ‘অফার’ দেখে আগ্রহী হন একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট যিনি একটি টিভি শো এর পরিচালক। অফার দেখে তিনি ওই তরুণীর একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন।

এরপর নানা নামের ২১ বছরের ওই টিভি শো পরিচালক তরুণীটির সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায় তরুণীটি ওই যুবকের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে দেখা করেন।

জিয়াও চেন বলেন, এক বান্ধবী তাকে সহজ অর্থ উপার্জনের এই পথ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তরুণীটি আরো বলেন, ওই টাকা দিয়ে তিনি একটি আইফোন-৮ অর্ডার করতে চেয়েছিলেন, যা তার অধিকাংশ বন্ধুদের ছিল। যদিও ডেইলি মিররের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সে যে কাজ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সে নিশ্চিত কি না। মেয়েটি তাকে নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাকে ৬০ পাউন্ড অগ্রিম দিয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে স্থান ও দিন নির্ধারণ করে চলে যান।

প্রকৃত অর্থে কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে মেয়েটির কোন ধারণাই ছিল না। কারণ ওই ছেলেটি কাজ করতো মানুষের আচরণ ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। মেয়েটির এই অবস্থার সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। সে মেয়েটিকে জনসম্মুখে লজ্জা দেয়ার জন্য মনে মনে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলো।

ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হয় যখন মেয়েটি তার সতীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে হোটেলে গেল তারপর। রুমে গিয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাতে আইফোন-৮ হ্যান্ডসেট দেন।

এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যামেরা হাতে তিনজন প্রবেশ করে রুমটিতে। তিনজনই একসঙ্গে বলে ওঠে ‘চলো মজা করি। ’
মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দেন।

তখন নানা মেয়েটিকে বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। শুধু একটি হ্যান্ডসেটের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময় করা যায় না, এটি অর্থহীন। ’

কিছুক্ষণ পর নানা বাকিদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারপর তিনি মেয়েটিকে একান্তে কিছু উপদেশ দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কচুয়ায় কৃষকদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী

আইফোন-৮ এর জন্য তরুণীর সতীত্ব বিক্রি!

আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বর্তমানে অনেকের স্বপ্নের ফোন আইফোন-৮। তাই বলে এর জন্য নিজের সতীত্ব নিলামে উঠানো সত্যিই বিস্ময়কর! এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন চীনের ১৭ বছরের জিয়াও চেন নামের এক তরুণী।
ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।

একটি আইফোন-৮ কেনার জন্য দুই হাজার ৩০০ পাউন্ড নগদ অর্থের বিনিময়ে নিজের সতীত্ব বিসর্জন দেবেন একটি অনলাইন ফোরামে এমন অফার লিখেন ওই তরুণী।

ওই ‘অফার’ দেখে আগ্রহী হন একজন অনলাইন এক্টিভিস্ট যিনি একটি টিভি শো এর পরিচালক। অফার দেখে তিনি ওই তরুণীর একটি সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেন।

এরপর নানা নামের ২১ বছরের ওই টিভি শো পরিচালক তরুণীটির সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায় তরুণীটি ওই যুবকের সঙ্গে একটি চায়ের দোকানে দেখা করেন।

জিয়াও চেন বলেন, এক বান্ধবী তাকে সহজ অর্থ উপার্জনের এই পথ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তরুণীটি আরো বলেন, ওই টাকা দিয়ে তিনি একটি আইফোন-৮ অর্ডার করতে চেয়েছিলেন, যা তার অধিকাংশ বন্ধুদের ছিল। যদিও ডেইলি মিররের প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা ওই ভিডিও ফুটেজের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সে যে কাজ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে সে নিশ্চিত কি না। মেয়েটি তাকে নিশ্চয়তা দিলে তিনি তাকে ৬০ পাউন্ড অগ্রিম দিয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে স্থান ও দিন নির্ধারণ করে চলে যান।

প্রকৃত অর্থে কি ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে মেয়েটির কোন ধারণাই ছিল না। কারণ ওই ছেলেটি কাজ করতো মানুষের আচরণ ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। মেয়েটির এই অবস্থার সুযোগ সে লুফে নিয়েছিল। সে মেয়েটিকে জনসম্মুখে লজ্জা দেয়ার জন্য মনে মনে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলো।

ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতি হয় যখন মেয়েটি তার সতীত্ব বিসর্জন দেয়ার জন্য চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে হোটেলে গেল তারপর। রুমে গিয়ে বিশ্বাস অর্জনের জন্য নানা নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটির হাতে আইফোন-৮ হ্যান্ডসেট দেন।

এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যামেরা হাতে তিনজন প্রবেশ করে রুমটিতে। তিনজনই একসঙ্গে বলে ওঠে ‘চলো মজা করি। ’
মেয়েটি ঘটনা বুঝতে পেরে কান্না শুরু করে দেন।

তখন নানা মেয়েটিকে বলেন, ‘অনেক দেরি হয়ে গেছে। শুধু একটি হ্যান্ডসেটের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময় করা যায় না, এটি অর্থহীন। ’

কিছুক্ষণ পর নানা বাকিদের রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারপর তিনি মেয়েটিকে একান্তে কিছু উপদেশ দেন।