থাইল্যান্ডের সঙ্গে ১০ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে থাইল্যান্ড থেকে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চাহিদা অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) এ চাল আমদানি করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন এ চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে প্রতিবছর ২ কোটি ৫০ থেকে ৭০ লাখ টন চালের চাহিদা রয়েছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টন। কিন্তু এ বছর বন্যার কারণে উৎপাদনের সমস্যা হয়েছে। তাই চাল আমদানি করতে হবে।

এ চুক্তির ফলে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা যাবে। তবে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আমদানি করব। এটা ১ লাখ টনও হতে পারে ৫ লাখ টনও হতে পারে। দামও নির্ধারণ হবে দুদেশের সংশ্লিষ্টদের আলোচনা মাধ্যমে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি মজুদ বাড়াতে প্রাথমিকভাবে পাঁচ দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মোট ১২ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে তিনটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। ভিয়েতনামের সঙ্গে আড়াই লাখ টনের পর আন্তর্জাতিক দরপত্রে আরও ২ লাখ টন আমদানির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শিগগিরই ওই চাল দেশে আসবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ১০ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি !

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে থাইল্যান্ড থেকে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

চাহিদা অনুযায়ী ২০২১ সাল পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) এ চাল আমদানি করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের উপস্থিতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী আপিরাদি তানট্রাপর্ন এ চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে প্রতিবছর ২ কোটি ৫০ থেকে ৭০ লাখ টন চালের চাহিদা রয়েছে। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টন। কিন্তু এ বছর বন্যার কারণে উৎপাদনের সমস্যা হয়েছে। তাই চাল আমদানি করতে হবে।

এ চুক্তির ফলে প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ লাখ টন চাল থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা যাবে। তবে আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আমদানি করব। এটা ১ লাখ টনও হতে পারে ৫ লাখ টনও হতে পারে। দামও নির্ধারণ হবে দুদেশের সংশ্লিষ্টদের আলোচনা মাধ্যমে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি মজুদ বাড়াতে প্রাথমিকভাবে পাঁচ দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মোট ১২ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে তিনটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত হয়েছে। ভিয়েতনামের সঙ্গে আড়াই লাখ টনের পর আন্তর্জাতিক দরপত্রে আরও ২ লাখ টন আমদানির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। শিগগিরই ওই চাল দেশে আসবে।