অপরিচিত স্থানে ঘুমের সমস্যা হয় কেন ?

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

অনেকে অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হয়।

তবে অপরিচিত জায়গায় ঘুম ভালো হয় না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু কেন এমন হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। অপরিচিত জায়গায় ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের বাম দিক সম্ভাব্য বিপদের জন্য সতর্ক থাকে। তাই নাকি ভালো ঘুম হয় না। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের বাম দিক শব্দের প্রতি অধিক প্রতিক্রিয়াশীল থাকে। গবেষণায় ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রোএনসিফালোগ্রাফি, ম্যাগনেটোএনসিফালোগ্রাফি এবং ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং ব্যবহার করেন।

এরপর বিজ্ঞানীরা দেখেন, অপরিচিত স্থানে মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ অধিক সজাগ থাকে। ঠিক একই রকম আচরণ লক্ষ্য করা যায় সামুদ্রিক প্রাণি ও কিছু পাখির মধ্যেও। নতুন স্থানে প্রথম রাতেই শুধু তা লক্ষ্য করা যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক যুকা সাসাকি বলেন, ‘এর মাধ্যমে মানুষ তাদের ‘নাইটওয়াচম্যান’ ফাংশন বন্ধ করা শিখতে পারে।

‘কারেন্ট বায়োলজি’ জার্নালে তিনি আরো লিখেন, ‘মানবমস্তিস্ক খুবই নমনীয়। কোনো অপরিচত জায়গায় প্রথম রাতে ঘুম না হলেও আস্তে আস্তে তা ঠিক হয়ে যায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অপরিচিত স্থানে ঘুমের সমস্যা হয় কেন ?

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩১ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

অনেকে অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হয়।

তবে অপরিচিত জায়গায় ঘুম ভালো হয় না বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু কেন এমন হয় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। অপরিচিত জায়গায় ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের বাম দিক সম্ভাব্য বিপদের জন্য সতর্ক থাকে। তাই নাকি ভালো ঘুম হয় না। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কের বাম দিক শব্দের প্রতি অধিক প্রতিক্রিয়াশীল থাকে। গবেষণায় ৩৫ জন অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রোএনসিফালোগ্রাফি, ম্যাগনেটোএনসিফালোগ্রাফি এবং ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমেজিং ব্যবহার করেন।

এরপর বিজ্ঞানীরা দেখেন, অপরিচিত স্থানে মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধ অধিক সজাগ থাকে। ঠিক একই রকম আচরণ লক্ষ্য করা যায় সামুদ্রিক প্রাণি ও কিছু পাখির মধ্যেও। নতুন স্থানে প্রথম রাতেই শুধু তা লক্ষ্য করা যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক যুকা সাসাকি বলেন, ‘এর মাধ্যমে মানুষ তাদের ‘নাইটওয়াচম্যান’ ফাংশন বন্ধ করা শিখতে পারে।

‘কারেন্ট বায়োলজি’ জার্নালে তিনি আরো লিখেন, ‘মানবমস্তিস্ক খুবই নমনীয়। কোনো অপরিচত জায়গায় প্রথম রাতে ঘুম না হলেও আস্তে আস্তে তা ঠিক হয়ে যায়।