পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫৭১ কোটি টাকার কর মওকুফ !

  • amzad khan
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭
  • ৭৬১ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক:

বেসরকারি খাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার স্ট্যাম্প ফি মওকুফ করা হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড ও জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টের আওতায় সব রেজিস্ট্রেশনে ওই ফি মওকুফ করা হয়।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের স্ট্যাম্প প্রশাসন অধিশাখা থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব পারভীন বানু সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসির আওতায় বেসরকারি খাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থারমাল পাওয়ার প্লান্টের (কয়লাভিত্তিক) প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি(প্রা.) লিমিটেড এবং জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টসের অন্তর্ভুক্ত সব ডকুমেন্টসের রেজিস্ট্রেশনের ওপর আরোপিত স্ট্যাম্প ফি বাবদ ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা মওকুফ করা হলো।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে  ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করছে। ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ঋণ দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে খুব সহজেই কয়লা আমদানি করা হবে। যা ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।

প্রকল্প এলাকায় মধুপাড়া ও নিশানবাড়িয়া মৌজার মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলা, মাছুয়াখালি, গরাৎ খাঁ, চর নিশানবাড়িয়া ও মধ্য দাসের হাওলা গ্রামের ১৩৫টি বাড়িঘর ছিল। যা ইতোমধ্যে শিফট করা হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামগুলোর অন্তত ১২০০ পরিবারের প্রায় এক হাজার একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫৭১ কোটি টাকার কর মওকুফ !

আপডেট সময় : ১১:২৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৬ আগস্ট ২০১৭

নিউজ ডেস্ক:

বেসরকারি খাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার স্ট্যাম্প ফি মওকুফ করা হয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড ও জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টের আওতায় সব রেজিস্ট্রেশনে ওই ফি মওকুফ করা হয়।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের স্ট্যাম্প প্রশাসন অধিশাখা থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব পারভীন বানু সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ৯ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসির আওতায় বেসরকারি খাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থারমাল পাওয়ার প্লান্টের (কয়লাভিত্তিক) প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি(প্রা.) লিমিটেড এবং জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টসের অন্তর্ভুক্ত সব ডকুমেন্টসের রেজিস্ট্রেশনের ওপর আরোপিত স্ট্যাম্প ফি বাবদ ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা মওকুফ করা হলো।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে  ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করছে। ১৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ঋণ দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়া থেকে খুব সহজেই কয়লা আমদানি করা হবে। যা ২০১৯ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে।

প্রকল্প এলাকায় মধুপাড়া ও নিশানবাড়িয়া মৌজার মরিচবুনিয়া, দাসের হাওলা, মাছুয়াখালি, গরাৎ খাঁ, চর নিশানবাড়িয়া ও মধ্য দাসের হাওলা গ্রামের ১৩৫টি বাড়িঘর ছিল। যা ইতোমধ্যে শিফট করা হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামগুলোর অন্তত ১২০০ পরিবারের প্রায় এক হাজার একর কৃষিজমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে দ্বিতীয় ধাপের কাজ। পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।